চলচ্চিত্র কুশলীর 'আত্মপচানিমূলক' বই

ওয়াহিদ ইবনে রেজা ও তাঁর বইয়ের প্রচ্ছদ
ওয়াহিদ ইবনে রেজা ও তাঁর বইয়ের প্রচ্ছদ

হলিউডের সিনেমায় ভিজ্যুয়াল ইফেক্টের কাজ করে আলোচিত বাংলাদেশের ওয়াহিদ ইবনে রেজা। চলচ্চিত্রের মাধ্যমে দেশের বাইরে নিজেকে উজ্জ্বলভাবে মেলে ধরেছেন তিনি। হলিউডের বিখ্যাত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সনি পিকচার্স ইমেজওয়ার্কসের অ্যাসোসিয়েট প্রোডাকশন ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছেন তিনি। ওয়াহিদ ‘ব্যাটম্যান ভার্সেস সুপার-ম্যান: ডন অব জাস্টিস’ ছবির প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ছিলেন। ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা: সিভিল ওয়ার’ ও ‘ডক্টর স্ট্রেঞ্জ’ ছবির ভিজ্যুয়াল টিমেও কাজ করেছেন। এইচবিও চ্যানেলের সিরিজ ‘গেম অব থ্রোনস’, হলিউডের ‘ফিউরিয়াস সেভেন’, ‘ফিফটি শেডস অব গ্রে’ ও ‘নাইট অ্যাট দ্য মিউজিয়াম: সিক্রেট অব দ্য টম্ব’ ছবির ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস টিমেও ছিলেন তিনি। ওয়াহিদের আরও একটা পরিচয় আছে! তিনি কবিতা লেখেন, বইও বেরিয়েছে কয়েকটি। এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় ওয়াহিদের নতুন আরেকটি বই প্রকাশিত হয়েছে। কথা প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এমনটাই জানালেন ওয়াহিদ ইবনে রেজা।

অন্বেষা প্রকাশনের ব্যানারে প্রকাশিত তাঁর বইটির নাম ‘আত্মপচানিমূলক রস’। ওয়াহিদ ইবনে রেজার এই বইতে মজার কিছু গল্প রয়েছে। বইটি লেখার পেছনে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছেন তাঁর মা সুরাইয়া করিম। রেজা বলেন, ‘নিজেকে নিয়ে যে রসিকতা করা যায় তা, আম্মুর কাছ থেকে আমি শিখি। আমার কাছে সব সময় মনে হয়, কেউ যদি নিজেকে নিয়ে মজা করতে পারে, তাহলে সে পৃথিবীর যেকোনো কিছু নিয়ে মজা করতে পারবে।’

ভিজ্যুয়াল ইফেক্টসে ওয়াহিদের করা ছবি ‘ডক্টর স্ট্রেইঞ্জ’ ২০১৭ সালে অস্কারে নমিনেশন পেয়েছিল। ২০০৬ সালে বুয়েট থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক শেষ করেন ওয়াহিদ। তারপর যোগ দেন একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থায়। নয়টা-পাঁচটার চাকরি ভালো না লাগায় ছেড়ে দেন তিনি। ২০১০ সালে কানাডায় পড়তে যান ওয়াহিদ। ফিল্ম প্রোডাকশন বিষয়ে পড়ার জন্য ভর্তি হন ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায়। এই ইউনিভার্সিটি থেকে ইন্টার্নশিপের জন্য যান মার্কিন প্রতিষ্ঠান এনবিসি ইউনিভার্সেলে। সেখানে তাঁর প্রথম কাজ ছিল টেলিভিশন ধারাবাহিক ‘স্যুটস ও ডিফায়েন্সে’। সেখানে টিভি শো করার দারুণ একটা অভিজ্ঞতা হয়েছিল। এরপর ফাইনাল ইয়ারের প্রজেক্ট হিসেবে নির্মাণ করেন একটা শর্ট ফিল্ম। ‘হোয়াট আই অ্যাম ডুয়িং হেয়ার’ নামের ওই শর্ট ফিল্মের জন্য ‘পারসিসটেন্স অব ভিশন ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’-এ ওয়াহিদের হাতে উঠেছিল বেস্ট সিনেমাটোগ্রাফি অ্যাওয়ার্ড।