যুদ্ধকে উৎসাহ দিয়ে বিপাকে প্রিয়াঙ্কা

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া

ভারতশাসিত জম্মু-কাশ্মীরে ১৪ ফেব্রুয়ারি বোমা হামলায় দেশটির সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) ৪৯ জন সদস্য নিহত হয়েছেন। সেদিন রাজ্যের পুলওয়ামা জেলার আওয়ান্তিপুরা এলাকায় বাইপাসের কাছে গোরিপোরায় জম্মু-শ্রীনগর ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে এ হামলার ঘটনা ঘটে। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় ভারতীয় বাহিনীর ওপর এটাই সবচেয়ে বড় হামলা। পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মুহাম্মদ এক ভিডিও বার্তায় এ হামলার দায় স্বীকার করেছে। এরপর ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের অভ্যন্তরে বিভিন্ন জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা করে ভারতের বিমানবাহিনী। তাদের ১২টি মিরেজ ২০০০ জেট বিমান এ হামলায় অংশ নেয় এবং ১ হাজার কেজি বোমা বর্ষণ করে জঙ্গিদের অনেক স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়ার দাবি করা হয়।

পাকিস্তানে এই বিমান হামলাকে স্বাগত জানিয়েছে ভারতের চলচ্চিত্রের তারকারা। টুইটারে ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রশংসা করেছেন হলিউড ও বলিউডের জনপ্রিয় তারকা প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। তিনি ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত। এদিকে প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূতের দায়িত্ব থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছে পাকিস্তান। এরই মধ্যে আবেদনটি অনলাইনে প্রকাশ করা হয়েছে। পাশাপাশি তা ইউনিসেফ ও জাতিসংঘকে ট্যাগ করা হয়েছে। প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে ২০১৬ সালে ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

বার্তা সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, পাকিস্তানের এই আবেদনে বলা হয়েছে, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া যুদ্ধকে উৎসাহ দিয়েছেন। তাই তিনি শুভেচ্ছাদূতের দায়িত্বে থাকার অধিকার হারিয়েছেন। দুটি পারমাণবিক শক্তিসম্পন্ন দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুধু ক্ষয়ক্ষতি আর মৃত্যু ডেকে আনবে। ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার নিরপেক্ষ থাকা উচিত ছিল। কিন্তু তিনি ভারতীয় বিমানবাহিনীর পক্ষে টুইট করেছেন। তাই তিনি এখন আর শুভেচ্ছাদূত থাকতে পারেন না।

তবে এ আবেদনের ব্যাপারে ইউনিসেফ কিংবা প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার কাছ থেকে এখনো কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।