বিয়ের ভিডিওগ্রাফার আমির

বলিউডের ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’ কিন্তু মোহাম্মদ আমির হুসেইন খান। হ্যাঁ, যাঁকে আমির খান নামে চেনেন, তাঁর পুরো নাম এটাই। এমন আরও অনেক তথ্য থাকতে পারে আমির সম্পর্কে, যা অনেকে জানেন না কিংবা নতুন করে জানবেন। আজ এই দঙ্গল অভিনেতার জন্মদিন। তাই তাঁর ব্যাপারে অপরিচিত কথাগুলো জানতে ক্ষতি নেই তো?

সবাই জানেন তিনটি বলিউড চলচ্চিত্র লগন, তারে জামিন পার আর থ্রি ইডিয়টস-এর জন্য আমির খান জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। কিন্তু তাঁর রাখ (১৯৮৯) ছবিটির কথা হয়তো কেউ মনে করতে পারবেন না। এই ছবি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়লেও সমালোচকেরা আমির খানের বেশ প্রশংসা করেছেন। রাখ-এর জন্য তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের বিশেষ জুরি সম্মাননা পান।


মেলা ছবির শুটিং করতে গিয়ে টুইঙ্কেল খান্নার সঙ্গে খুব ভালো বন্ধুত্ব হয়ে যায় আমিরের। আমির বন্ধু টুইঙ্কেলকে কথা দিয়েছিলেন, তাঁর বিয়েতে বিশেষ উপহার দেবেন। সেই কথা রেখেছেন আমির। অক্ষয় কুমার আর টুইঙ্কেল খান্নার পুরো বিয়ের ভিডিও নিজে শুট করে নবদম্পতিকে সে সময় উপহার দিয়েছিলেন আমির।


কেয়ামত সে কেয়ামত তক চলচ্চিত্র দিয়ে আমির খানের বিখ্যাত হওয়া শুরু হয়। অথচ এই ছবির বাজেট এত কম ছিল যে আমির নিজেই অন্যদের সঙ্গে বাস, অটোরিকশায় পোস্টার লাগিয়ে প্রচারণার কাজ করেছেন।


ছোটবেলায় বাড়ির লোকজন আমিরকে ডাকত ‘কানাইলাল’ বলে। কারণ ‘কানাই’ বা কৃষ্ণের মতো বেশির ভাগ সময় মেয়েরা তাঁর সঙ্গে খেলা করত।


শুধু নিজ দেশ ভারতেই নয়, পাকিস্তানেও সামাজিক কাজে ব্যস্ত হতে দ্বিধা করেননি আমির। পাকিস্তানের শওকত খানম হাসপাতালের জন্য অর্থ তহবিল সংগ্রহের কাজ করেছেন।


স্ত্রী কিরণ রাওয়ের মতে, আমিরের খাওয়ার ‘রোগ’ আছে। সারাক্ষণই কিছু না কিছু খেতে থাকেন তিনি।


সাজন ছবিতে সঞ্জয় দত্ত, ডর ছবিতে শাহরুখ খান এবং জোশ ছবিতে চন্দ্রচূড় সিংয়ের চরিত্রগুলোর জন্য প্রথমে আমির খানকে প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু নিজেকে বেমানান লাগবে মনে করে প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। এমনকি রোবো ২.০-এর শুটিংয়ের সময় রজনীকান্ত অসুস্থ হয়ে পড়লে সুপারস্টারের চরিত্রটি আমিরকে করতে বলা হয়। তখনো আমির তা ফিরিয়ে দেন। তিনি জানতেন ছবিটি ব্যবসাসফল হবে, কিন্তু এই চরিত্রে রজনীকান্ত ছাড়া আর কাউকে মানাবে না।


স্বাধীন ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ ছিলেন তাঁর প্রপিতামহ। মাওলানা আজাদ নামেই যাঁকে চেনেন সবাই। তাঁকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে ছোট ছেলের নাম রাখেন আজাদ রাও খান।


কাট্টি বাট্টি ছবিটি দেখে আবেগে কেঁদে ফেলেছিলেন আমির খান। ছবিটি নাকি তাঁর নিজের প্রেমকাহিনি মনে করিয়ে দিয়েছিল।

১০
আমিরকে যদিও শিশুশিল্পী হিসেবে দেখা যায় ১৯৭৩ সালের ইয়াদো কি বারাত ছবিতে, পুরোদস্তুর অভিনয় শুরু করেন ১৮ বছর বয়সে। শৈশবের বন্ধু আদিত্য ভট্টাচার্যের স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি প্যারানয়াতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। সেখান থেকেই সুযোগ পেয়ে যান বাণিজ্যিক ছবি হোলিতে। বাজেট কম ছিল। তাই আমিরের ওই প্রথম ছবি কখনো মুক্তিই পায়নি।

গ্রন্থনা: সৈয়দা সাদিয়া শাহরীন
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, ডেইলি হান্ট, সোশ্যাল