'আসুন, সবাই মিলে বসি'

আলমগীর
আলমগীর

সিনেমা হল বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে হলমালিকদের চলচ্চিত্রের সবার সঙ্গে বসা উচিত ছিল। তাঁরা যদি নিজেদের চলচ্চিত্রের মানুষ মনে করেন, তাহলে এগিয়ে আসা উচিত। আসুন, আমরা সবাই মিলে বসে ভাবি, কী করা যায়। হলমালিকদের সমস্যা আছে, তাঁদের লোকসান হচ্ছে, ঠিক আছে। প্রযোজকদেরও লোকসান হচ্ছে, তাঁরা তো কোটিপতি হয়ে যাচ্ছেন না। হলমালিকেরা ছবির মান নিয়ে প্রশ্ন করেছেন। এখন যদি দেবী কিংবা আয়নাবাজির কথা বলি, তাহলে কী দাঁড়ায়! এগুলো তো সুপারহিট ছবি। কিন্তু আমরা কি আসলেই জানি, প্রযোজকেরা কত টাকা পেয়েছেন? এমনকি শাকিব খান এখন একমাত্র সুপারহিট নায়ক। তাঁর ছবিগুলো দিয়ে প্রযোজকেরা কত পাচ্ছেন, এটা কি আমরা জানি? আমাদের যে সিনেমা হল, কিছু হল ছাড়া এগুলোর মান কি ভালো?

প্রযোজকেরা চলচ্চিত্রের মানুষ, শিল্পীরা চলচ্চিত্রের মানুষ, হলমালিকদেরও চলচ্চিত্রের মানুষ হওয়া উচিত। আমরা এর চেয়ে অনেক বড় বড় সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি। একত্রে বসে আলোচনা করে এর একটা সুরাহা করতে হবে। বন্ধ করে দিলে তো আর সমাধান হলো না। ভারতীয় ছবি আনার জন্য এটা চলচ্চিত্রের প্রতি হুমকি হয়ে যাচ্ছে। সরকার সাফটা চুক্তিতে ছবি আনতে অনুমতি দিয়েছে।

আমি একজন সিনিয়র শিল্পী হিসেবে বলতে চাই, সবাইকে একসঙ্গে বসে এই সমস্যার সমাধান বের করতে হবে। সরকারি তহবিলে যে টাকাটা যায় ভ্যাটের মাধ্যমে, এই ভ্যাটের টাকা প্রযোজকের দিতে হয়। এই ভ্যাটের স্লিপ কিন্তু হলমালিকের দিতে হবে প্রযোজককে। কজন হলমালিক এই ভ্যাটের স্লিপ দেখিয়েছেন?

একজন হলমালিকের উচিত পরিচালকের কাছে আসা। বলা উচিত, ‘ভাই, আপনি ছবি বানিয়েছেন। এটি আমার হলে চালাব।’ ব্যবসাটা দুজনের পারস্পরিক কথাবার্তা অনুযায়ী হবে। কিন্তু দেখা যায়, এখানে একটা গ্রুপকে তাঁরা পাঠিয়ে দেন। প্রতিটি বুকিংয়ে তাঁদের প্রযোজককে দিতে হবে ১০ হাজার টাকা করে। এটা কেন? আমার কাছে মনে হয়, হলমালিকেরা যদি চলচ্চিত্রের শুভাকাঙ্ক্ষী হন, তাহলে আসুন, সবাই মিলে বসি। এখানে ঢাকার, মফস্বলের হলমালিক ভাইয়েরা আছেন। তাঁরা কিন্তু একসময় প্রযোজক ছিলেন। তাঁরা ছবি প্রযোজনা করেন না কেন? এটা আমার প্রশ্ন। বঙ্গবন্ধু চলচ্চিত্রকে ভালোবাসতেন, প্রধানমন্ত্রীও ভালোবাসেন। সরকারের প্রতি আমি বিশ্বাস রাখি। এই সময়ে তাঁরা সাহায্য করবেনই।