আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন প্যারিস?

প্যারিস জ্যাকসন
প্যারিস জ্যাকসন

ঘুম থেকে উঠেই মাথা ঘুরে গেল প্যারিস জ্যাকসনের! তিনি নাকি আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন। অথচ নিজেই জানেন না সে কথা। গত শনিবার এক অনলাইন পোর্টাল থেকে নিজের আত্মহত্যাচেষ্টার খবর জানার পর হতবাক হয়ে গেছেন প্রয়াত পপ তারকা মাইকেল জ্যাকসনের মেয়ে। তারপর টুইটারে সেই পোর্টালকে অকথ্য গালি উপহার দিয়েছেন তিনি।

টিএমজেড অনলাইনের দাবি, আত্মহত্যাচেষ্টার পর শনিবার সকালে প্যারিসকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। মডেল ও অভিনেত্রী প্যারিস সেই খবরের লিংক শেয়ার করে লিখেছেন, ‘ডাহা মিথ্যে।’ টিএমজেডকে মিথ্যাবাদী আখ্যা দিয়ে টুইটারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। সূত্র জানিয়েছে, শনিবার হাসপাতালে ঠিকই গিয়েছিলেন প্যারিস। শারীরিক সমস্যা হলেই মানুষ হাসপাতালে যায়। তবে সেটা আত্মহত্যাচেষ্টার ঘটনায় কি না, সেটা নিশ্চিত করে বলতে পারেনি তারা। মিথ্যে এ খবর প্রকাশের জন্য পোর্টালটিকে উদ্দেশ করে নোংরা ভাষায় টুইট করেছেন জ্যাকসন-কন্যা।

মাইকেল জ্যাকসনের কথিত যৌন হয়রানির ওপর ভিত্তি করে ‘লিভিং নেভারল্যান্ড’ ছবিটি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে গত শুক্রবার রাত পর্যন্ত কোনো মন্তব্যই করেননি প্যারিস। পরে তিনি বলেছেন, বাবার এসব বিষয় নিয়ে বক্তব্য দেওয়া তাঁর কাজ নয়।

গত ২৫ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের সানডান্স চলচ্চিত্র উৎসবে প্রথমবারের মতো প্রদর্শিত হয়েছে ‘লিভিং নেভারল্যান্ড’ নামের একটি তথ্যচিত্র। সেখানে বক্তব্য দিয়েছেন শৈশবে জ্যাকসনের কাছে যৌন হয়রানির শিকার দুই তরুণ। ছবিটির তীব্র সমালোচনা করেছে মাইকেল জ্যাকসনের পরিবার ও তত্ত্বাবধায়কেরা। এক বিবৃতিতে তাঁরা বলেছিলেন, ‘সারা জীবন এ রকম নোংরা আক্রমণ মোকাবিলা করতে হয়েছে মাইকেল জ্যাকসনকে। মৃত্যুর পরও নিস্তার নেই তাঁর।’ তথ্যচিত্রে বক্তব্য দেওয়া দুই তরুণের উদ্দেশে তাঁরা বলেছেন, ‘তথ্যচিত্রে ওয়েড রবসন ও জিমি সেফচাককে এত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে যে, জ্যাকসনের ঘনিষ্ঠ অন্য সবাই সেখানে রীতিমতো উপেক্ষিত। অথচ জ্যাকসন কখনোই শিশুদের সঙ্গে বাজে আচরণ করতেন না। বরং সব সময় তিনি তাদের আদর করতেন।’

এসব ঘটনার পর টুইটারে প্যারিস জ্যাকসনকে নীরবতা ভাঙার আহ্বান জানিয়ে মাইকেল জ্যাকসনের এক ভক্ত লিখেছিলেন, ‘এই তথ্যচিত্রের মধ্য দিয়ে আপনার বাবার সম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে, তাঁকে নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে। কিন্তু তাতে কার কী আসে যায়!’ উত্তরে প্যারিস সেই ভক্তকে উদ্দেশ করে লিখেছিলেন, ‘তাহলে ভালোবাসা বা শান্তির বদলে আপনাদের কাছে একটা নেতিবাচক বার্তাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেল? বাবার সারা জীবনের কীর্তির চেয়ে ট্যাবলয়েড গোছের একটা তথ্যচিত্রই বড় হয়ে গেল?’ বিলবোর্ড, ভ্যানিটি ফেয়ার ও অন্যান্য