পরীক্ষা বা ক্লাস নয়, কার্জন হলে এবার মঞ্চ নাটক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা মনে এলেই অনেকেরই একটি ভবনের ছবি চোখের সামনে ভেসে ওঠে, আর সেটি হচ্ছে কার্জন হল। কার্জন হল বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক ভবন, যা পুরাকীর্তি হিসেবে স্বীকৃত। এটি বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও জীববিজ্ঞান অনুষদের কিছু শ্রেণিকক্ষ ও পরীক্ষার হল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে কোনো একসময় এখানে নাটক হতো। সেই ইতিহাসে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি কড়া নাড়ল বুধবার সন্ধ্যায়। এখানে হয়ে গেল নাটকের উৎসব।

দেশের নানা জেলায় কিছু নাট্যমঞ্চ শতবর্ষ অতিক্রম করেছে। এসব মঞ্চে শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ‘বাংলাদেশের শতবর্ষী নাট্যমঞ্চে নাট্যোৎসব ২০১৯’ চলছে, যার অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের নাট্যমঞ্চে ৬টি নাট্যদলের পরিবেশনায় নাট্যোৎসব অনুষ্ঠিত হলো। মূলত এটি ছিল ৬টি নাটকের কোলাজ। এতে অংশ নেওয়া নাটকগুলো হলো—লোক নাট্যদলের ‘মুজিব মানে মুক্তি’, শিল্পকলা একাডেমির ‘হ্যামলেট’, ঢাকা পদাতিকের ‘কথা ৭১’, থিয়েটার আর্ট ইউনিটের ‘জনম দুঃখী মা’, ঢাকা থিয়েটারের ‘রাই কথকতা’ ও আরণ্যক নাট্যদলের ‘মাটির মহাজন’। প্রতিটি নাটকের বিশেষ কিছু অংশ মঞ্চস্থ হয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে উৎসব শুরু হয়। শুরুতে ছিল সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মো. আখতারুজ্জামান। শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ঢাকা জেলার জেলা প্রশাসক আবু সালেহ মো. ফেরদৌস খান। সম্মানিত অতিথি ছিলেন মঞ্চসারথি আতাউর রহমান।

দেশের ২৬টি জেলার ৩৫টি নাট্যমঞ্চে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

দেশের শতবর্ষী নাট্যমঞ্চগুলোর ইতিহাস, ঐতিহ্য ও অবদানকে দেশবাসীর সামনে উপস্থাপনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি একটি গ্রন্থও প্রকাশ করেছে। এই গ্রন্থের মধ্য দিয়ে দেশের ঐতিহ্যবাহী এবং শতবর্ষ অতিক্রান্ত ৩৫টি মঞ্চের ইতিহাস তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।