ডিজনি মানেই কল্পনা আর বাস্তবের মিশেল। একবার ডিজনির রাজ্যে প্রবেশ করলে কাল্পনিক জেনেও হারিয়ে যাবেন আপনি। এ যেন জাদু দিয়ে ভরা এক অন্য রকম পৃথিবী। সেখানে মন খারাপ নেই, শেষ না হওয়া গল্প নেই, কষ্টে মাখা সমাপ্তি নেই। ‘ডাম্বো’ এই ডিজনি দুনিয়ারই এক মায়ায় ভরা চরিত্র। গোলগাল এক হাতির শাবক। হাতি বলতেই উপমা চলে আসে, ‘কুলোর মতো কান’। ডাম্বোর কান অবশ্য কুলোর চেয়েও বেশি বড়। সেই কানের সাহায্যে উড়তে পারে সে! সার্কাসের একেবারে অন্য রকম এই হাতি ডাম্বোকে নিয়েই লেখা হয়েছিল ডিজনির গল্প ‘ডাম্বো’।
র যাত্রা শুরু হয়েছিল সেই ১৯৪১ সালে। হেলেন অ্যাবারসন ও হ্যারল্ড পার্লের উপন্যাস অনুকরণে ওয়াল্ট ডিজনি সেবার অ্যানিমেশন মুভি ডাম্বো নির্মাণ করেন। ২০১৪ সালে নতুন করে ডাম্বোকে পর্দায় আনার চিন্তা করা হয়। তবে এবার অ্যানিমেশন নয়, সাধারণ চলচ্চিত্র হিসেবে। কাজ শুরু হয়। কিন্তু বেশ লম্বা সময় বিরতি নিয়ে একেকটি কাজ করতে থাকে ডিজনি। ২০১৫ সালে পরিচালক হিসেবে টিম বার্টনের নাম জানায় তারা। ২০১৭ সালের ভেতরে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নামও চূড়ান্ত করে তারা। আর ওই বছরের শেষের দিকেই শুরু হয় চলচ্চিত্রের নির্মাণকাজ।
গল্পটা আমাদের সবারই কমবেশি জানা। ডাম্বো সার্কাসের দলে জন্মায়। তার মা সেই দলে কাজ করে। সার্কাসের মালিক ম্যাক্স মেডিসি এমনিতেই সার্কাস নিয়ে আর্থিক সমস্যায় ছিলেন। তার মধ্যে বিশাল কানের অধিকারী ডাম্বো তাঁর জন্য পুরো ব্যাপারটিকে আরও কঠিন করে তোলে। ডাম্বোর যত্ন নেওয়ার জন্য হল্ট ফেরিয়ারকে নিয়োগ দেয় ম্যাক্স। তবে নিজের কানের জন্য সবার কাছে হাসির পাত্র হয়ে ওঠে ডাম্বো। এমন সময় হল্টের দুই সন্তান আবিষ্কার করে যে, ডাম্বো তার বিশাল কান ব্যবহার করে উড়তে পারে! ব্যস, যেই এ কথা জানল সার্কাসের মালিক, সেই ডাম্বোকে ব্যবহার করে টাকা আয় করার নানা রকম রাস্তা খোঁজা শুরু করল সে। একটা সময় ডাম্বোকে তার মায়ের কাছ থেকে আলাদা করে নেওয়া হলো। ডাম্বো কি তার মাকে ফিরে পাবে? শেষ পর্যন্ত কী হবে? টানটান উত্তেজনা নিয়ে পর্দায় আসতে চলেছে ডাম্বো। সঙ্গে থাকছেন অভিনেতা কলিন ফারেল, মাইকেল কিটন, ড্যানি ডেভিটো, ইভা গ্রিন, অ্যালান আরকিনসহ আরও অনেকে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২৯ মার্চ মুক্তি পাবে ডাম্বো। দেখতে যাচ্ছেন তো উড়তে জানা হাতি ডাম্বোকে?
সাদিয়া ইসলাম
আইএমডিবি, ডিজনি, স্ল্যাশনিউজ অবলম্বনে