আমি স্টার হতে চাই না: সানিয়া

ফটোগ্রাফ ছবিতে সানিয়া ও নওয়াজুদ্দিন
ফটোগ্রাফ ছবিতে সানিয়া ও নওয়াজুদ্দিন
দঙ্গল, পটাকা, বাধাই হোর পর এবার পরিচালক রীতেশ বাত্রা পরিচালিত ফটোগ্রাফ ছবিতে কাজ করলেন সানিয়া মালহোত্রা। এই ছবিতে তাঁর বিপরীতে আছেন নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকীসানিয়ার মুখোমুখি প্রথম আলো।

‘ফটোগ্রাফ’-এর মতো সিরিয়াস প্রেমের ছবি করার কারণ কী?

প্রথমত রীতেশের মতো পরিচালক, আর নওয়াজের মতো অভিনেতার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ লুফে নিয়েছি। আর দঙ্গল-এর পর আমি এই ছবিতে সাইন করি। দঙ্গল-এর মতো ছবি করার পর আমার ওপর অনেক চাপ ছিল। সবাই চেয়েছিলেন আমি যেন কোনো ভালো পরিচালক, ভালো অভিনেতার ছবিতে কাজ করার সুযোগ পাই। আমি খুবই ভাগ্যবতী যে ফটোগ্রাফ-এর মতো ছবিতে কাজ করার সুযোগ পাই।

সানিয়া মালহোত্রা
সানিয়া মালহোত্রা

নওয়াজুদ্দিনের মতো দাপুটে অভিনেতার বিপরীতে কাজ করা সহজ কথা নয়। এর জন্য কোনো রকম প্রস্তুতি কি নিয়েছিলেন?
প্রথমত রীতেশ চাননি আমি আর নওয়াজ শুটিংয়ের আগে দেখা করি। আমরা একসঙ্গে বসে নিজেদের চরিত্র নিয়ে কখনো আলোচনাও করিনি। অবশ্য এর পেছনের কারণ রীতেশই জানেন। তাই আমাদের সেটেই দেখা হতো। আমি নওয়াজের অভিনয়ের খুব বড় ভক্ত। আমি খুবই ভয়ে ভয়ে ছিলাম। আমি চাইনি তাঁর সামনে অভিনয় করতে গিয়ে ঘাবড়ে যেতে। তাই শুটিংয়ের আগে নওয়াজের প্রচুর সাক্ষাৎকার দেখেছিলাম। সেসব সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে আমি জানতে চেষ্টা করেছিলাম, তিনি নিজেকে কীভাবে একটা চরিত্রের জন্য প্রস্তুত করেন। এভাবে আমার ভয় কাটাই।
তাহলে নওয়াজের সঙ্গে প্রথম সেটেই দেখা?
ঠিক তা নয়। আগে আমার সঙ্গে নওয়াজের একবার জিমে দেখা হয়েছিল। আমি তাঁকে শুধু ‘হ্যালো স্যার’ বলে সম্বোধন করি। ব্যস, আর কিছু না। (সশব্দে হেসে)
আমির খানের সঙ্গে ক্যারিয়ারের প্রথম ছবি। এরপর নওয়াজের সঙ্গে কাজ করলেন। তাই অভিনেত্রী হিসেবে নিশ্চয় অনেক কিছু শেখার সুযোগ ছিল।
নিশ্চয়ই। তাঁদের মতো অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করা মানে কিছু না কিছু শেখা। আর আমি তো অভিনয় শিখে আসিনি। আমি নিজেকে আজও অভিনেত্রী হিসেবে মনে করি না। প্রতিটা ছবির চরিত্র থেকে আমি কিছু না কিছু শিখি। পটাকা ছবির সময় বিশাল ভরদ্বাজের থেকেও অনেক কিছু শিখেছি। এই ছবিতে আমার অভিনীত চরিত্রটা বেশ শক্ত ছিল।
আমির খানের সঙ্গে চিত্রনাট্য নিয়ে আলোচনা করেন?
আমির খুবই ব্যস্ত থাকেন। আলোচনা করার সময় হয় না। তবে তাঁকে ট্রেলারের লিংক পাঠাই। দঙ্গল বলে আমাদের একটা হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ আছে। আমরা সবাই সেখানে সবকিছু জানাই।
শুনেছি, রীতেশ পরিচালক হিসেবে খুবই খুঁতখুঁতে...
আসলে রীতেশ চাননি আমরা অভিনয় করি। তিনি চেয়েছিলেন আমরা যেন পর্দায় স্বাভাবিক লাগি। তাই এক–একটা দৃশ্য বারবার রিটেক করাতেন। ‘গেটওয়ে অব ইন্ডিয়া’র দৃশ্য কমপক্ষে ৩৫ বার রিটেক হয়েছিল।
তারকা হতে চান, না অভিনেত্রী?
আমি অভিনেত্রী হতেই এসেছি। আজ যে আমি অভিনেত্রী হতে পেরেছি, এটাই আমার জন্য যথেষ্ট। লাইট, সেট, ক্যামেরা—এই সবকিছু আমার দারুণ লাগে। আমি স্টার হতে চাই না।