বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ুক শান্তির বার্তা

রোমিও জুলিয়েট নাটকের দৃশ্য। গতকাল  শিল্পকলার মিলনায়তনে।  প্রথম আলো
রোমিও জুলিয়েট নাটকের দৃশ্য। গতকাল শিল্পকলার মিলনায়তনে। প্রথম আলো

দিন দিন অষহিষ্ণু হয়ে উঠছে সবাই। একমাত্র বই পারে অষহিষ্ণুতা দূর করে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিতে। গতকাল শনিবার বিকেলে নগরের জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ‘স্বাধীনতা উৎসব ও লেখক পাঠক সম্মিলন’ শিরোনামের আয়োজনে এ কথা বলেন বক্তারা।
বিকেল সাড়ে তিনটায় কবিতা পাঠের মাধ্যমে শুরু হয় পাঁচ দিনব্যাপী আয়োজনের দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠান। এরপর বিকেল সাড়ে চারটায় বসে বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ ও মোহিত কামালের সংবর্ধনার আয়োজন। হরিশংকর জলদাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন কবি সুজন বড়ুয়া, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আহমেদ মাওলা ও চট্টগ্রাম লেডিস ক্লাবের প্রেসিডেন্ট খালেদা আউয়াল। এ সময় বক্তারা বলেন, কবি-সাহিত্যিকদের সমাজে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিতে হবে তাঁদের লেখনীর মাধ্যমে। কথামালা পর্ব শেষে মঞ্চে আবৃত্তি পরিবেশন করেন রুমকি গাঙ্গুলি।
উৎসবের তৃতীয় দিনে আজকের আয়োজনে থাকবে শিশু-কিশোরদের চিত্রাংকন, আবৃত্তি ও সংগীত প্রতিযোগিতা। এ ছাড়াও মঞ্চে থাকবে কবিতা পাঠ ও নৃত্যানুষ্ঠানের আয়োজন।

তির্যকের নতুন নাটকের মঞ্চায়ন
উইলিয়াম শেকসপিয়রের অমর গাথা রোমিও-জুলিয়েট মঞ্চে এনেছে তির্যক নাট্য গোষ্ঠী। তির্যকের ৩৪তম এ প্রযোজনাটির প্রথম মঞ্চায়ন হয়ে গেল গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় নগরের জেলা শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে। সুভাংশু রঞ্জন ঘোষ অনূদিত নাটকটির পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় ছিলেন অসীম দাশ।
২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট স্থায়ী এ নাটকে রোমিও আর জুলিয়েটের প্রণয় কাহিনী তুলে ধরা হয়। নানা নাটকীয়তায় এগিয়ে যায় তাদের প্রেম। সবশেষে প্রেমিক যুগলের বিষপানে আত্মহত্যার মাধ্যমে যবনিকা হয় নাটকের। এতে রোমিও চরিত্রে জিল্লুর রহমান এবং জুলিয়েট চরিত্রে মূর্ছনা ঐশী দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। এ ছাড়াও অভিনয় করেন রাবেয়া বসরী, রতন দাশ, রাশেদা আক্তার, মুশফিকুর রহমান, হৈমন্তী শুক্লা, অমিত চৌধুরী, ওমর ফারুক, জাহাঙ্গীর লুসাই প্রমুখ।

দুই বাংলার শিল্পীদের গানের আসর
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরের ফুলকির একে খান স্মৃতি মিলনায়তনে বসে গানের আসর। এতে সুরের মূর্ছনায় দর্শকদের মাতিয়ে তোলেন পশ্চিমবঙ্গের সংগীতশিল্পী অদিতি মুখার্জী ও বাংলাদেশের সংগীতশিল্পী শুভাগত চৌধুরী, সুমিত্রা বিশ্বাস ও শ্রাবণী দাশগুপ্ত।
সন্ধ্যা সাতটায় ‘তুমি রবে নীরবে’ শিরোনামের গান পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হয় আয়োজন। আয়োজনে নয়টি গান পরিবেশন করেন পশ্চিমবঙ্গের সংগীতশিল্পী অদিতি মুখার্জী। এ ছাড়াও বাংলাদেশের সংগীতশিল্পী শুভাগত চৌধুরী ছয়টি এবং সুমিত্রা বিশ্বাস ও শ্রাবণী দাশগুপ্ত দুইটি করে গান পরিবেশন করেন। এ সময় শুভাগত চৌধুরী ও অদিতি মুখার্জী দ্বৈত কণ্ঠে পরিবেশন করেন ‘তোমার খোলা হাওয়া’ শিরোনামের গান।