সহিংসতা নিয়ে তরুণদের ভাবনা
ঢাকায় শুরু হয়েছে আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসব
বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে আছে সহিংসতা। আর সেই সহিংসতা রোধে কাজ করতে পারে তরুণেরা। সহিংসতামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে কী ভাবছে বাংলাদেশের তরুণেরা? তরুণদের এই ভাবনাকে জানতেই বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও চলচ্চিত্র উৎসব, ‘আলোর পথে প্রীতির সাথে’।
কিশোর আলো, প্রথম আলো বন্ধুসভা ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সম্মিলিত প্রকল্প ‘সম্প্রীতি’–এর আওতায় অনুষ্ঠিত এ উৎসব উদ্বোধন করেন কিশোর আলোর সম্পাদক ও প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হক, চলচ্চিত্র নির্মাতা রেদওয়ান রনি, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার শাহাজাদী বেগম এবং প্রথম আলো বন্ধুসভা জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সাইদুজ্জামান রওশন।
আনিসুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশ সম্প্রীতির দেশ, এই দেশের মানুষ একে অন্যের কাজে সুখে-দুঃখে এগিয়ে আসে। এই দেশে সহিংসতা ও উগ্রবাদ কখনো প্রশ্রয় পায় না। এই সম্প্রীতির একটি ইতিবাচক প্রচেষ্টা আমরা ছবির মধ্য দিয়ে তুলে আনার চেষ্টা করেছি।’
শাহাজাদী বেগম বলেন, ‘আমরা যখন সহিংসতা প্রতিরোধে কাজ করি, আমরা তরুণদের নিয়েই কাজ করি কিন্তু আমরা জানি না তরুণেরা কী ভাবছে। এই আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও চলচ্চিত্র উৎসবের মধ্য দিয়ে আমাদের জানার সুযোগ হচ্ছে তরুণেরা সহিংসতা প্রতিরোধে কী ভাবছে। তারা কেমন দেশ দেখার প্রত্যাশা করছে।’
এই উৎসবে শখানেক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও চার শ আলোকচিত্র জমা পড়ে। এসব থেকে স্বল্পদৈর্ঘ্য বিভাগে নির্মাতা রেদওয়ান রনি, গীতিকার কবির বকুল এবং চলচ্চিত্র সমালোচক শামীম আকতার শ্রেষ্ঠ ১৩ চলচ্চিত্র বেছে নেন। অপরদিকে পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ আবীর আবদুল্লাহ চার শ আলোকচিত্র থেকে প্রদর্শনীর জন্য ৪৫টি বাছাই করেন। আলোকচিত্র বিভাগে কিউরেটরের দায়িত্ব পালন করেন প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ আলোকচিত্রী সুমন ইউসুফ।
৩০ মার্চ পর্যন্ত চলা উৎসবে আলোকচিত্র ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর পাশাপাশি অনুষ্ঠিত হবে কনসার্ট। উদ্বোধনী দিনে গান পরিবেশন করে শিল্পী সন্ধি ও সভ্যতা। প্রদর্শনী চলবে প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। কিশোর আলোর ফেসবুক পেজ www.facebook.com/kishor.alo/ -এ উৎসব সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।