নতুন মৌসুমে দুরন্ততে নতুন চমক

দুরন্ত টিভির সংবাদ সম্মেলনে ‘মনের জাদুকর’ ধারাবাহিকের লাকী ইনাম, দীপংকর দীপন, মাতিয়া বানু শুকু, মোহাম্মদ আলী হায়দার ও শিশুশিল্পীরা
দুরন্ত টিভির সংবাদ সম্মেলনে ‘মনের জাদুকর’ ধারাবাহিকের লাকী ইনাম, দীপংকর দীপন, মাতিয়া বানু শুকু, মোহাম্মদ আলী হায়দার ও শিশুশিল্পীরা

দুরন্ত টেলিভিশনের সপ্তম মৌসুম শুরু হচ্ছে ১৪ এপ্রিল। নতুন মৌসুমে দর্শকদের জন্য নতুন চমক নিয়ে আসছে ছোটদের কাছে দারুণ জনপ্রিয় এই টিভি চ্যানেল। প্রতিষ্ঠানটির অনুষ্ঠান প্রধান মোহাম্মদ আলী হায়দার বললেন, ‘ষষ্ঠ মৌসুম শেষে আমরা সপ্তম মৌসুম শুরু করতে যাচ্ছি। দেশি-বিদেশি নতুন নতুন অনেক অনুষ্ঠান যুক্ত হচ্ছে। সব বয়সী দর্শকদের জন্য নতুন ও বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান তৈরি করছি। পাশাপাশি এটাও খেয়াল রেখেছি, যেন ছোটরা আনন্দের সঙ্গে কিছু শিখতে পারে।’

নতুন মৌসুম উপলক্ষে রাজধানীর বনানীতে দুরন্ত টেলিভিশনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এখানে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ আলী হায়দার এবং ধারাবাহিক নাটক ‘গুড্ডুবুড়া’র পরিচালক তোফায়েল সরকার, ‘মনের জাদুকর’ ধারাবাহিক নাটকের পরিচালক দীপংকর দীপন ও অভিনয়শিল্পী লাকী ইনাম, ‘ছুটির দিনে’ অনুষ্ঠানের পরিচালক বদরুল আলম রিয়েল ও শিল্পী মুনীর হাসান এবং ‘আনন্দ উৎসব’ অনুষ্ঠানের পরিচালক ফাহিমা আহমেদ চৈতী, বিদেশি অনুষ্ঠানের প্রযোজক বাকার বকুলসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের শিল্পী, পরিচালক, প্রযোজক, কলাকুশলী এবং দুরন্ত টেলিভিশনের কর্মকর্তারা।

‘মনের জাদুকর’ ধারাবাহিক নিয়ে পরিচালক দীপংকর দীপন বলেন, ‘নাটকটির ভেতর অভিনবত্ব রয়েছে। পুরো নাটকের কাহিনি নির্মিত হয়েছে মানুষের মনের আবেগকে ঘিরে। একটা শিশুর মনের ভেতর কী আছে? সে কখনো রাগ করছে, কখনো আনন্দিত হচ্ছে। এগুলো সবই মনের আবেগের প্রকাশ। এই আবেগগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে তৈরি হয়েছে এই নাটক।’ নাটকটির কাহিনি লিখেছেন মাতিয়া বানু শুকু। তিনি বলেন, ‘নাটকটি প্রতিটি মানুষের সঙ্গেই সম্পৃক্ত। একটু অন্য রকম গল্প বলতে চেয়েছি।’ নাটকের অন্যতম চরিত্র লাকী ইনাম বলেন, ‘এই নাটকে কাজ করতে এসে শিশুদের সঙ্গে দারুণ সময় কেটেছে। শিশুদের সঙ্গে কাজ করতে খুব ভালো লেগেছে। আমি এখানে কলেজের অধ্যক্ষ। আমার চেষ্টা থাকে শিশুদের শুদ্ধ উচ্চারণে কথা বলা শেখানো।’

ধারাবাহিক নাটক ‘গুড্ডুবুড়া’র পরিচালক তোফায়েল সরকার বলেন, ‘ছোট্ট ছেলে গুড্ডুবুড়াকে ঘিরে যেসব মজার ঘটনা ঘটে, সেগুলো নিয়েই নাটক। এই গুড্ডুবুড়ার আজব আজব কাজ আর কথা সবাইকেই আনন্দ দেবে।’

‘ছুটির দিনে’ অনুষ্ঠান নিয়ে পরিচালক বদরুল আলম রিয়েল বলেন, ‘শিশুরা ছুটির দিনে কী করে, কীভাবে সময়টা কাটাতে পছন্দ করে—সেগুলো উঠে এসেছে এখানে। এই অনুষ্ঠানের কোনো ধরাবাঁধা স্ক্রিপ্ট নেই। ওরা যা করে, যেভাবে ছুটির দিন কাটায়, তা-ই স্ক্রিপ্ট।’

বিদেশি কার্টুনের প্রযোজক বাকার বকুল বলেন, ‘আমরা সব সময় এমন কার্টুন নির্বাচনের চেষ্টা করি, যা শিশুরা পছন্দ করবে। যেকোনো কার্টুনই প্রচার করতে পারি না। তারপর সেই কার্টুনগুলোর ভাষা শিশুদের উপযোগী করে অনুবাদ করা হয়। এবারের নতুন আকর্ষণ “স্পঞ্জবব”, “চ্যাপলিন”, “ল্যাসি” ও “দ্য জাঙ্গল বুক”। আশা করছি, এবারের কার্টুনগুলো শিশুদের খুব ভালো লাগবে।’