হেলিকপ্টার থেকে অনন্ত জলিলের লাফ

ঢাকার অদূরে রূপগঞ্জে ‘দিন, দ্য ডে’ সিনেমার শুটিংয়ে অনন্ত জলিল। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকার অদূরে রূপগঞ্জে ‘দিন, দ্য ডে’ সিনেমার শুটিংয়ে অনন্ত জলিল। ছবি: সংগৃহীত

‘অসম্ভবকে সম্ভব করাই অনন্তর কাজ’—যাঁরা বাংলা সিনেমা দেখেন, তাঁরা এই সংলাপের সঙ্গে বেশ পরিচিত। ব্যবসায়ী থেকে চিত্রনায়ক হিসেবে নাম লেখানোর পর কত-কী তিনি দেখিয়েছেন। ‘নিঃস্বার্থ ভালোবাসা’ সিনেমায় তো হার্ট বের করার দৃশ্যে অভিনয় করে ব্যাপক আলোচনায় আসেন। সে হিসেবে অনেকে বলেন, অনন্ত জলিলের সিনেমা মানেই অন্য রকম কিছু। নতুন সিনেমা ‘দিন: দ্য ডে’র শুটিংয়ে আজ মঙ্গলবার তিনি ঢাকার অদূরে রূপগঞ্জে হাজির হন হেলিকপ্টারে চড়ে। মারপিটের দৃশ্য যেহেতু, আগে থেকেই শুটিং স্পটে তৈরি ছিলেন সহশিল্পীরা। হেলিকপ্টার থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় গোলাগুলি। মারামারির এই দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে হেলিকপ্টার থেকে লাফ দিয়ে নেমে পড়েন অনন্ত জলিল

সাধারণত, চলচ্চিত্রে মারপিটের দৃশ্যে অভিনয় করেন স্টান্টম্যানরা। দেশের খুব কম নায়কই আছেন, ঝুঁকিপূর্ণ দৃশ্যে নিজেরাই অভিনয় করেন। চিত্রনায়ক অনন্ত বরাবরই ঝুঁকিপূর্ণ দৃশ্যে নিজেই অভিনয় করেন। আজও তাঁর ব্যতিক্রম হয়নি। বলেন, ‘আমার কাছে স্টান্টম্যান ব্যবহার করা পছন্দ না। আমি মনে করি, শুটিংয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দৃশ্যে নিজে যখন অভিনয় করব, তখন দৃশ্যের সঙ্গে একাত্ম হতে পারব। তাই আমি নিজেই এই ধরনের দৃশ্যে অভিনয় করি। এই ছবিরই একটি ঝুঁকিপূর্ণ দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে তো আহতও হয়েছিলাম।’

‘দিন: দ্য ডে’ ছবির শুটিং শুরুর কথা ছিল সকালে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে ঠিক সময় শুটিং শুরু করতে পারেনি ইউনিট। প্রথম আলোকে অনন্ত বলেন, ‘আজ ছিল আমাদের মারপিটে দৃশ্যধারণ। সারা দিনের জন্য আমরা হেলিকপ্টার ভাড়া করে নিই। হেলিকপ্টার ঘিরেই পুরোটা সময় শুটিং করেছি। আমরা কোনো ধরনের আপস করিনি। আজকের শুটিংয়ের জন্য শুধু হেলিকপ্টার ভাড়াই দিয়েছি কয়েক লাখ টাকা।’

হেলিকপ্টারে অনন্ত জলিলের অ্যাকশন দৃশ্য ক্যামেরায় ধারণ করছিলেন ইরানি পরিচালক মুর্তজা অতাশ জমজম। এর আগে ইরান ও আফগানিস্তানের সীমান্তে টানা ১৪ দিন শুটিং করেছেন। সাত দিন ধরে বাংলাদেশে চলছে দ্বিতীয় লটের শুটিং, একটানা চলবে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত। রমজান মাসে তুরস্কে দুই সপ্তাহের মতো শুটিং হবে এই ছবির।

বাংলাদেশ ও ইরানের যৌথ প্রযোজনার এই ছবির বাংলাদেশ অংশের প্রযোজকও অনন্ত জলিল। ছবিতে অনন্ত জলিলের নায়িকা বর্ষা। এই ছবির গল্প প্রসঙ্গে অনন্ত বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুসলমানদের ওপর যে নির্যাতন হচ্ছে, তা-ই তুলে ধরা হবে ছবিতে।’