কম্বোডিয়া গণহত্যা নিয়ে নির্মিত ছবির প্রদর্শনী আজ

ফার্স্ট দে কিলড মাই ফাদার ছবির পোস্টার
ফার্স্ট দে কিলড মাই ফাদার ছবির পোস্টার

দুটি কারণে আজকের দিনটি ইতিহাসের পাতায় গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণ করেছিল, যে সরকারের নেতৃত্বে পাকিস্তানি নিপীড়ন ও গণহত্যার বিরুদ্ধে বাঙালি মুক্তিযুদ্ধ করেছিল। গণহত্যার ইতিহাসে ১৭ এপ্রিল আরেকটি গুরুত্ব বহন করে, ১৯৭৫ সালের এই দিন কম্বোডিয়ায় পল পট সরকার শুরু করেছিল গণহত্যা। সত্তরের দশকে কম্বোডিয়ায় ১০ লাখের বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল।

কম্বোডিয়ায় সংঘটিত গণহত্যা নিয়ে হলিউড অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ২০১৭ সালে বানিয়েছিলেন ‘ফার্স্ট দে কিলড মাই ফাদার’ ছবিটি। কম্বোডিয়ায় গণহত্যা স্মরণ করে আজ ১৭ এপ্রিল চলচ্চিত্রটি বিশ্বব্যাপী প্রদর্শিত হবে। বিশ্বের সঙ্গে একাত্ম হয়ে আজ বিকেল চারটায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরেও প্রদর্শিত হবে ফার্স্ট দে কিলড মাই ফাদার। প্রদর্শনী শেষে রয়েছে উন্মুক্ত আলোচনা। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের কর্মসূচি সমন্বয়ক রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে আমরাও বিশ্ববাসীর সঙ্গে গণহত্যার ইতিহাস স্মরণ করব এবং গণহত্যা প্রতিরোধে সংহতি গড়ে তুলব।’

কম্বোডিয়া যুদ্ধে খেমাররুজ বাহিনীর হাতে নির্যাতনের সাক্ষী এক কিশোর লং উংয়ের অভিজ্ঞতার বর্ণনা আছে এই ছবিতে। খেমাররুজ বাহিনীর অত্যাচারে লং উংয়ের পরিবারের শহর ছেড়ে আত্মগোপন করা, ভাইবোনদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া, শিশু সৈনিক হিসেবে ওয়ার্ক ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ নেওয়ার ঘটনা নিয়ে লেখা একই নামের স্মৃতিকথাভিত্তিক বইটি প্রকাশিত হয় ২০০০ সালে।

‘ফার্স্ট দে কিলড মাই ফাদার’ চলচ্চিত্রটিতে জোলি খুবই দক্ষতার সঙ্গে তুলে ধরেছেন যুদ্ধের নির্মমতা। বিদেশি গণমাধ্যমে জোলি বলেন, ‘আমি শুধু যুদ্ধের দিকেই নজর দিইনি। একটি পরিবারের প্রতি ভালোবাসা ও একটি দেশের সৌন্দর্যের ওপরও আমি গুরুত্ব দিয়েছি। দেখাতে চেয়েছি আমার পালিত ছেলের কম্বোডীয় পিতা–মাতা কী সব কষ্টের ভেতর দিয়ে দিন কাটিয়েছিলেন।’

এর আগে ২০১১ সালে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি বসনীয় যুদ্ধ নিয়ে তৈরি করেছিলেন ‘ইন দ্য ল্যান্ড অব ব্লাড অ্যান্ড হানি’ ছবিটি।