সুবীর নন্দীর অবস্থা অপরিবর্তিত, বাইরে নেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়নি

সুবীর নন্দী
সুবীর নন্দী

পাঁচ দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি বরেণ্য গায়ক সুবীর নন্দীর শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত। শ্রীমঙ্গল থেকে ঢাকায় ফেরার পথে ট্রেনে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে গত রোববার রাতে তাঁকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। এখন পর্যন্ত তাঁর শারীরিক অবস্থার উল্লেখ করার মতো কোনো অগ্রগতি হয়নি। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রথম আলোকে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান জানান, ‘আমার কাছে বিকেলে চারটা পর্যন্ত যে তথ্য আছে তাতে এটুকু বলতে পারি, তাঁর শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত।’

এদিকে সকাল থেকেই একুশে পদকপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দীকে নিয়ে নানা গুজব ছড়ায়। কেউ কেউ এ–ও বলেন, উন্নত চিকিৎসার ব্যাপারে তাঁকে নাকি যুক্তরাষ্ট্রেও নেওয়া হচ্ছে। এই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে রাশেদুল আলম বলেন, ‘এই ধরনের কোনো সংবাদ আমার জানা নেই।’

এর আগে রাশেদুল আলম খান জানিয়েছিলেন, হাসপাতালে আনার পর সুবীর নন্দীকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। প্রয়োজনীয় সব চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এখনো তাঁর লাইফ সাপোর্ট আছে বলে জানা গেছে।

সুবীর নন্দী এখন সিএমএইচে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. তৌফিক এলাহির তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন।

সুবীর নন্দীর জামাতা ড. রাজেশ সিকদার প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, গত শুক্রবার পরিবারের সবাই মিলে মৌলভীবাজারে আত্মীয়ের বাড়িতে যান। সেখানে একটা অনুষ্ঠান ছিল। ঢাকায় ফেরার ট্রেনে ওঠার জন্য বিকেলে মৌলভীবাজার থেকে শ্রীমঙ্গলে আসেন তাঁরা। ট্রেনেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ভাগ্যক্রমে সেখানে একজন চিকিৎসক থাকায় তাঁর পরামর্শে সুবীর নন্দীকে নিয়ে তাঁরা ঢাকার বিমানবন্দর স্টেশনে নেমে যান। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাত ১১টার দিকে তাঁকে দ্রুত সিএমএইচে নিয়ে যাওয়া হয়।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কিডনি ও হার্টের অসুখে ভুগছিলেন সুবীর নন্দী। দীর্ঘ ৪০ বছরের সংগীতজীবনে আড়াই হাজারেরও বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। রেডিও, টেলিভিশন, চলচ্চিত্রে নিয়মিত গাইছেন এখনো। ১৯৮১ সালে তাঁর প্রথম একক অ্যালবাম ‘সুবীর নন্দীর গান’ প্রকাশিত হয়। চলচ্চিত্রে তিনি প্রথম গান করেন ১৯৭৬ সালে ‘সূর্যগ্রহণ’ চলচ্চিত্রে। সুবীর নন্দী জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন চারবার। সংগীতে অবদানের জন্য এ বছর একুশে পদক পান তিনি।