বাবা আর মায়ের পর ছেলেকে চায় বিজেপি

পুনে বিমানবন্দরে তোলা সানি দেওল আর অমিত শাহর এই ছবিকে ঘিরে তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া
পুনে বিমানবন্দরে তোলা সানি দেওল আর অমিত শাহর এই ছবিকে ঘিরে তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া

পুনে বিমানবন্দরে গতকাল শনিবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহর সঙ্গে বলিউড তারকা সানি দেওলের বৈঠক হয়েছে। বিমানবন্দরের লাউঞ্জে মাত্র পাঁচ মিনিটের এই বৈঠককে ঘিরে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো এরই মধ্যে কয়েকটি সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো, সানি দেওলকে অমৃতসর থেকে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী করতে চায় বিজেপি। সানি দেওলের বাবা ধর্মেন্দ্র ২০০৪ সালে রাজস্থান থেকে সাংসদ হয়েছিলেন। তখন তিনি বিজেপির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন। ধর্মেন্দ্রের দ্বিতীয় স্ত্রী হেমা মালিনী গত লোকসভা নির্বাচনে মথুরা থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন। একই আসন থেকে তিনি এবারও বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন। অনেকেই মনে করছেন, ধর্মেন্দ্রর পরিবারের তৃতীয় সদস্য হিসেবে সানি দেওল হয়তো বিজেপির সঙ্গে যুক্ত হতে যাচ্ছেন।

আগেই জানা গেছে, পাঞ্জাবের অমৃতসর, গুরুদাসপুর আর হোশিয়ারপুরে বিজেপি এখনো কোনো প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। এসব এলাকায় শিরোমণি আকালি দলের সঙ্গে জোট বেঁধে বিজেপি নির্বাচন করেছে। কিন্তু এখন এসব এলাকায় এই দুটি রাজনৈতিক দলের তেমন জনপ্রিয়তা নেই। তাই দলের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনাতে এবং আসনগুলোতে জয়ী হওয়ার জন্য বলিউড তারকাদের কথা ভাবা হচ্ছে। এরপরই পুনে বিমানবন্দরে অমিত শাহ আর সানি দেওলের বৈঠক অনেকের মনেই নানা প্রশ্ন তৈরি করেছে।

যাকে নিয়ে এত জল্পনা, সেই সানি দেওল কী ভাবছেন? সানি দেওল কিন্তু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি। তিনি বললেন, ‘আমার রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নিয়ে অনেক কথা শুনেছি। তবে যে ছবিটিকে ঘিরে সবাই নানা কিছু ভাবতে শুরু করেছেন, সেটা আসলে শুধু ছবি। বিমানবন্দরে অমিত শাহর সঙ্গে দেখা হয়েছে। আমরা একসঙ্গে ছবি তুলেছি।’

ধর্মেন্দ্র প্রথম বিয়ে করেন ১৯৫৪ সালে, ১৯ বছর বয়সে, প্রকাশ কাউরকে। এই দম্পতির দুই সন্তান, সানি দেওল ও ববি দেওল। মুম্বাইয়ে চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর ধর্মেন্দ্র বলিউডের বরেণ্য অভিনেত্রী হেমা মালিনীকে বিয়ে করেন।

অমৃতসরের পর এবার শোনা যাচ্ছে, গুরুদাসপুর থেকে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা আছেন বলিউডের প্রয়াত বরেণ্য অভিনেতা বিনোদ খান্নার ছেলে অক্ষয় খান্নার। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত এই আসনের সাংসদ ছিলেন বিনোদ খান্না। তাঁর মৃত্যুর পর এই আসনে জয়ী হন কংগ্রেসের সুনীল জাখর। কংগ্রেসের জন্য শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত গুরুদাসপুরে বলিউড তারকা অক্ষয় খান্নাকে প্রার্থী করে চমক দেওয়ার পাশাপাশি সেখানে জয়ী হওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি।