সানি দেওলও বিজেপিতে

পুনে বিমানবন্দরে তোলা সানি দেওল আর অমিত শাহর এই ছবিকে ঘিরে তৈরি জল্পনা এবার সত্যি হলো। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া
পুনে বিমানবন্দরে তোলা সানি দেওল আর অমিত শাহর এই ছবিকে ঘিরে তৈরি জল্পনা এবার সত্যি হলো। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া

সংবাদমাধ্যমের ধারণাই সত্যি হলো! আজ মঙ্গলবার দুপুরে জানা গেছে, বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বলিউড তারকা সানি দেওল। তাঁকে ফুলের তোড়া দিয়ে বিজেপিতে বরণ করে নেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এ সময় তিনি বলেন, ‘সানি দেওল তাঁর “বর্ডার” চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে জাতীয়তাবাদ ও দেশপ্রেম ছড়িয়ে দিয়েছেন। বিষয়গুলো এই সিনেমায় দারুণভাবে উঠে এসেছে এবং তা সবার মধ্যে সেই বোধের উদয় করেছে।’ আর সানি দেওল বললেন, ‘যেমন আমার বাবা অটল বিহারি বাজপেয়ির হয়ে নির্বাচনে প্রচারণা চালিয়েছিলেন, তেমনি আমিও নরেন্দ্র মোদির পক্ষে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি পিএম নরেন্দ্র মোদিকে আরও পাঁচ বছরের জন্য চাই।’

পুনে বিমানবন্দরে গত শনিবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহর সঙ্গে বলিউড তারকা সানি দেওলের বৈঠক হয়। বিমানবন্দরের লাউঞ্জে মাত্র পাঁচ মিনিটের এই বৈঠককে ঘিরে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো কয়েকটি সম্ভাবনার কথা জানায়। এর মধ্যে একটি হলো, সানি দেওলকে অমৃতসর থেকে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী করতে চায় বিজেপি। কিন্তু এখন শোনা যাচ্ছে, পাঞ্জাবের গুরুদাসপুরে বিজেপির প্রার্থী হচ্ছেন সানি দেওল। তবে বিজেপি কিংবা সানি দেওলের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা এখনো আসেনি।

আগেই জানা গেছে, পাঞ্জাবের অমৃতসর, গুরুদাসপুর আর হোশিয়ারপুরে বিজেপি এখনো কোনো প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। এসব এলাকায় শিরোমণি আকালি দলের সঙ্গে জোট বেঁধে বিজেপি নির্বাচন করেছে। কিন্তু এখন এসব এলাকায় এই দুটি রাজনৈতিক দলের তেমন জনপ্রিয়তা নেই। তাই দলের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে এবং আসনগুলোয় জয়ী হওয়ার জন্য বলিউড তারকাদের কথা ভাবা হচ্ছে। এরপরই পুনে বিমানবন্দরে অমিত শাহ আর সানি দেওলের বৈঠক অনেকের মনেই নানা প্রশ্ন তৈরি করে।

তখন সানি দেওল বলেছেন, ‘আমার রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নিয়ে অনেক কথা শুনেছি। তবে যে ছবিটিকে ঘিরে সবাই নানা কিছু ভাবতে শুরু করেছেন, সেটা আসলে শুধু ছবি। বিমানবন্দরে অমিত শাহর সঙ্গে দেখা হয়েছে। আমরা একসঙ্গে ছবি তুলেছি।’

সানি দেওলের বাবা ধর্মেন্দ্র ২০০৪ সালে রাজস্থান থেকে সাংসদ হয়েছিলেন। তখন তিনি বিজেপির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন। ধর্মেন্দ্রের দ্বিতীয় স্ত্রী হেমা মালিনী গত লোকসভা নির্বাচনে মথুরা থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন। একই আসন থেকে তিনি এবারও বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন। ধর্মেন্দ্রর পরিবারের তৃতীয় সদস্য হিসেবে সানি দেওল বিজেপির সঙ্গে যুক্ত হলেন।

ধর্মেন্দ্র প্রথম বিয়ে করেন ১৯৫৪ সালে, ১৯ বছর বয়সে, প্রকাশ কাউরকে। এই দম্পতির দুই সন্তান—সানি দেওল ও ববি দেওল। মুম্বাইয়ে চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর ধর্মেন্দ্র বলিউডের বরেণ্য অভিনেত্রী হেমা মালিনীকে বিয়ে করেন।

এর আগে শোনা গিয়েছিল, গুরুদাসপুর থেকে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলিউডের প্রয়াত বরেণ্য অভিনেতা বিনোদ খান্নার ছেলে অক্ষয় খান্নার। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত এই আসনের সাংসদ ছিলেন বিনোদ খান্না। তাঁর মৃত্যুর পর এই আসনে জয়ী হন কংগ্রেসের সুনীল জাখর। কংগ্রেসের জন্য শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত গুরুদাসপুরে বলিউড তারকা অক্ষয় খান্নাকে প্রার্থী করে চমক দেওয়ার পাশাপাশি সেখানে জয়ী হওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি।