চলচ্চিত্রে দেখা যাবে তৈমুরকে?

তৈমুর আলী খান
তৈমুর আলী খান

২০১২ সালে মুক্তি পাওয়া ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’ ছবির কথা বলিউড ভুলে যায়নি। এই ছবি দিয়েই করণ জোহর পরিচয় করিয়ে দেন বলিউডের আজকের তিন জনপ্রিয় ও ব্যস্ত তারকা আলিয়া ভাট, বরুণ ধাওয়ান আর সিদ্ধার্থ মালহোত্রাকে। এবার এই সুপার–ডুপার হিট ছবির সিক্যুয়েলে দেখা যাবে টাইগার শ্রফ, তারা সুতারিয়া ও অনন্যা পান্ডেকে। পুরোদস্তুর বলিউডি সিনেমার সূত্র মেনে ত্রিভুজ প্রেমের এই ছবির ট্রেলারে অ্যাকশন, কমেডি, নাচ, গান, রোমান্স—সবকিছুই দেখা গেছে। আগামী ১০ মে সিনেমাটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে। করণ জোহরের ধর্মা প্রোডাকশনের ব্যানারে তৈরি ছবিটি পরিচালনা করেছেন পুনিত মালহোত্রা।

সম্প্রতি বলিউডের এই পরিচালক ছবিটি নিয়ে কথা বলার সময় মজা করে বললেন, ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার টেন’ ছবিতে নিশ্চিতভাবে তৈমুর আলী খানকে দেখা যাবে।

মা কারিনা কাপুর খান বা বাবা সাইফ আলী খান কখনো ছেলে তৈমুর আলী খানকে মিডিয়ার সামনে আসতে অনুপ্রাণিত করেননি। তবু কীভাবে কীভাবে যেন তৈমুর ‘পারফেক্ট মিডিয়া সেলিব্রিটি’ হয়ে গেছে। ক্যামেরা বা পাপারাজ্জিদের সঙ্গে তার সম্পর্ক যেকোনো তারকার চেয়ে অধিকতর মধুর। তারা যে যা জিজ্ঞেস করে, তৈমুর সুন্দর করে উত্তর দেয়। শুধু তাই-ই না, তৈমুরও মাঝেমধ্যে জানতে চায়, টাটা কেমন আছে, দুপুরে কী খেয়েছে ইত্যাদি। সাংবাদিকেরা যেভাবে পোজ দিতে বলে, তৈমুর সেভাবেই দাঁড়ায়, পোজ দেয়।

শুধু ছবি না, বরং তৈমুরকে নিয়ে লেখা ফিচারের পাঠকসংখ্যা যেকোনো সেলিব্রিটি থেকে কোনো অংশে কম না। বরং যে যেখানে যেভাবে পারে, ফলো করে তৈমুরকে। ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, টুইটার—সবখানে তৈমুরের জয়জয়কার। আকারে বা বয়সে ছোট হলেও সে বলিউডের বিশাল ‘ক্রেজ’। আর তাই তো পরিচালক পুনিত মালহোত্রা জোর গলায় বললেন, যদি কখনো ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার টেন’ নির্মিত হয়, তাহলে সেখানে অবশ্যই দেখা যাবে পতৌদি পরিবারের সবচেয়ে ছোট এই সদস্যকে।

এর আগে বলিউডের চিরসবুজ অভিনেতা অনিল কাপুর বলেছিলেন, ‘গুন্ডে টু’ ছবিতে তৈমুর থাকবে এবং তবেই তিনি সেখানে অভিনয় করবেন। এটি আবার তখন টুইট করেছিলেন অনিল কাপুর।

কারিনা কাপুর ও তৈমুর
কারিনা কাপুর ও তৈমুর

তৈমুরের জনপ্রিয়তা নিয়ে বাবা-মা যারপরনাই চিন্তিত। তৈমুরকে একটা স্বাভাবিক শৈশব দেওয়া এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই তারকা দম্পতির জন্য। কিছুদিন আগে এয়ারপোর্টে তো সাইফ ফটোসাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘এবার ক্ষান্ত দাও বন্ধুরা, ছেলেটা তো অন্ধ হয়ে যাবে।’ এরপর বাধ্য হয়ে বাসার সামনে পুলিশ পাহারা বসাতেও বাধ্য হন এই দম্পতি। অবশ্য কারিনা অস্বীকার করে বলেছেন, তিনি ডাকেননি তাঁদের। তখন বিরক্ত সাইফ আলী খান প্রশ্ন করেছিলেন, ‘বাসার বাইরে পাপারাজ্জিদের উপস্থিতি আমার একদম ভালো লাগে না। তাঁদের বেশির ভাগই তৈমুরের ছবি তোলার জন্য অপেক্ষা করেন। একটা বাচ্চাকে এভাবে বিরক্ত করা ঠিক?’

সম্প্রতি বলিউডের সাংবাদিক রাজীব মাসান্দকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তৈমুরকে নিয়ে কারিনা কাপুর খান বলেন, ‘ও একটা আতঙ্ক। ভয়ংকর দুষ্টু। সব সময় বলতেই থাকে, মা, হাসবা না। মা, কাশবা না। মা, এটা করবা না। মা, ওটা করবা না। এগুলো সে বলে, কারণ তাঁকে আমি বলি, ‘তৈমুর, এটা করবা না।’ ওই যে আমি নিষেধ করি, তাই প্রতিশোধ নিতে সে-ও এগুলো বলে।’

কারিনা কাপুর, সাইফ আলী খান ও তৈমুর
কারিনা কাপুর, সাইফ আলী খান ও তৈমুর

যদিও ‘হিউম্যানস অব বোম্বে’র জন্য মাতৃত্ব নিয়ে কারিনা সম্প্রতি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন, ‘আমার সঙ্গে এ পর্যন্ত যা ঘটেছে, এর ভেতর মাতৃত্বই সবচেয়ে সেরা। তৈমুর আমার অংশ। আমি তাকে ছাড়া এক ঘণ্টাও থাকতে পারি না। আমি যেখানেই থাকি না কেন, ও আমার সঙ্গে থাকে। সে আমাকে প্রতিদিন আগের দিনের চেয়ে বেশি পরিশ্রম করতে অনুপ্রাণিত করে।’