আট নির্মাতাকে ৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা

কবরী, আকরাম খান, মীর সাব্বির ও হৃদি হক
কবরী, আকরাম খান, মীর সাব্বির ও হৃদি হক

২০১৮-১৯ অর্থবছরের অনুদান পাওয়া চলচ্চিত্রের নাম জানা গেছে। তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ইকরামুল হকের স্বাক্ষর করা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে অনুদান পাওয়া ছবির নাম ঘোষণা করা হয়। এবার আটজন নির্মাতাকে দেওয়া হয়েছে ৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা। টানা তিন বছর অনুদানের জন্য আবেদন করেছেন বরেণ্য চিত্রনায়িকা কবরী। এবার তাঁর চিত্রনাট্য অনুমোদন করেছে জুরিবোর্ড। তাঁর ছবির নাম ‘এই তুমি সেই তুমি’। ছবির গল্প ও চিত্রনাট্য তিনি নিজেই লিখেছেন।

কবরী ছাড়া এবারের আসরে ছবি নির্মাণের অনুমোদন পেয়েছেন টেলিভিশন নাটকের অভিনয়শিল্পী ও পরিচালক মীর সাব্বির ও হৃদি হক। অনুদান পাওয়া অন্য পরিচালকেরা হলেন আবু রায়হান জুয়েল, আকরাম খান ও হোসনে মোবারক রুমি। প্রামাণ্যচিত্র শাখায় অনুদান পেয়েছে হুমায়রা বিলকিসের ‘বিলকিস এবং বিলকিস’ ও পূরবী মতিনের ‘খেলাঘর’।

২০১৮-১৯ অর্থবছরে অনুদান পাওয়া চলচ্চিত্রগুলোর নাম মীর সাব্বিরের ‘রাত জাগা ফুল’, আকরাম খানের ‘বিধবাদের কথা’, আবু রায়হান জুয়েলের ‘নসু ডাকাত কুপোকাত’, হোসনে মোবারক রুমির ‘অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া’, হৃদি হকের ‘১৯৭১ সেই সব দিন’।

সরকার এ বছর একটি শিশুতোষ চলচ্চিত্র, দুটি প্রামাণ্যচিত্র ও সাধারণ শাখায় পাঁচটি চলচ্চিত্র নির্মাণে অনুদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে এসব তথ্য জানানো হয়। সরকারি অনুদান হিসেবে ‘নসু ডাকাত কুপোকাত’, ‘বিধবাদের কথা’ ও ‘রাত জাগা ফুল’ প্রতিটি চলচ্চিত্র পাবে ৬০ লাখ টাকা। ‘১৯৭১ সেই সব দিন’, ‘অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া’ ও ‘এই তুমি সেই তুমি’ চলচ্চিত্র পাবে ৫০ লাখ টাকা করে। আর প্রামাণ্যচিত্রের জন্য দেওয়া হচ্ছে ৩০ লাখ টাকা।

১৯৭৬-৭৭ অর্থবছর থেকে দেশীয় চলচ্চিত্রে সরকারি অনুদানের প্রথা চালু হয়। এরপর থেকে প্রতিবছরই সরকারি অনুদানে সিনেমা নির্মিত হয়েছে।

বরেণ্য অভিনয়শিল্পী কবরী ২০০৬ সালে প্রথম নির্মাণ করেছিলেন ‘আয়না’। এটি তাঁর দ্বিতীয় চলচ্চিত্র। প্রথম আলোকে কবরী জানান, নভেম্বরে তিনি ছবির কাজটি শুরু করতে যাচ্ছেন। ছবির গল্পের চাহিদায় ৫০ লাখ টাকায় পুরো শুটিং শেষ করা সম্ভব নয়। তাই আরও প্রযোজক এই ছবিতে যুক্ত হতে পারেন। ছবির শুটিং শুরুর আগে ছবির গানসহ অন্যান্য কাজকর্ম সেরে নিতে চান তিনি। এই ছবিতে বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতীয় অভিনয়শিল্পীর কাজ করার সম্ভাবনা রয়েছে।