সুবীর নন্দীর অবস্থা এখনো সংকটাপন্ন

সুবীর নন্দী
সুবীর নন্দী

বরেণ্য সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দীর শারীরিক অবস্থা এখনো সংকটাপন্ন। তাঁর মস্তিস্কের অবস্থা ভালো না। ফুসফুসের প্রদাহ নিয়ে এখনো ঝুঁকি রয়েই গেছে।

আজ শনিবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বিষয়টি জানিয়েছেন জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জাতীয় সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন। পরিবারের পক্ষ থেকে তিনি সুবীর নন্দীর চিকিৎসার বিষয়টি সমন্বয় করছেন।

একুশে পদকপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দী দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে অসুস্থ। তিনি ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. তৌফিক এলাহির তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন।

ঢাকার সিএমএইচের পাশাপাশি সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন বলে জানান সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, ‘সুবীরের মস্তিস্কের সমস্যা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেও ফুসফুসের প্রদাহ মোটেও ভালো না। আজ তাঁকে এক ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছে। সিঙ্গাপুর হাসপাতালেও চিকিৎসার যাবতীয় প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। সব মিলিয়ে এটা বলতে হয়, তার শারীরিক অবস্থা মোটেও ভালো না।

দেশের বরেণ্য এই শিল্পীর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন বলে জানান সামন্ত লাল সেন।

সুবীর নন্দীর জামাতা রাজেশ সিকদার প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, ১২ এপ্রিল পরিবারের সবাই মিলে মৌলভীবাজারে আত্মীয়ের বাড়িতে যান। সেখানে একটি অনুষ্ঠান ছিল। ঢাকায় ফেরার ট্রেনে ওঠার জন্য বিকেলে মৌলভীবাজার থেকে শ্রীমঙ্গলে আসেন তাঁরা। ট্রেনেই অসুস্থ হয়ে পড়েন সুবীর নন্দী। সেখানে একজন চিকিৎসক থাকায় তাঁর পরামর্শে সুবীর নন্দীকে নিয়ে তাঁরা ঢাকার বিমানবন্দর স্টেশনে নেমে যান। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাত ১১টার দিকে তাঁকে দ্রুত সিএমএইচে নিয়ে যাওয়া হয়।

দীর্ঘদিন ধরে কিডনি ও হার্টের অসুখে ভুগছিলেন সুবীর নন্দী। দীর্ঘ ৪০ বছরের সংগীতজীবনে আড়াই হাজারের বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। অসুস্থ হওয়ার আগে পর্যন্ত রেডিও, টেলিভিশন, চলচ্চিত্রে নিয়মিত গান করেছেন। ১৯৮১ সালে তাঁর প্রথম একক অ্যালবাম ‘সুবীর নন্দীর গান’ প্রকাশিত হয়। ১৯৭৬ সালে ‘সূর্যগ্রহণ’ চলচ্চিত্রে তিনি প্রথম গান করেন। সুবীর নন্দী জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন চারবার। সংগীতে অবদানের জন্য এ বছর একুশে পদক পান তিনি।