ফারুকীর জন্মদিনে তিশার যে উপহার

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও নসুরাত ইমরোজ তিশা
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও নসুরাত ইমরোজ তিশা

ফারুকী ও তিশার বিয়ের বয়স নয় হতে চলল। এই সময়ে ৯ বার ফারুকীর জন্মদিন পেয়েছেন। প্রতিবারই কোনো না কোনো সারপ্রাইজ দিয়েছেন। কিন্তু এবারই প্রথম কোনো সারপ্রাইজ দেওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ, এবারের জন্মদিনে তিশা নেই স্বামী ফারুকীর সঙ্গে। শুটিংয়ের কারণে তার এই থাকতে না পারা। তাই বলে জন্মদিন উদযাপন তো আর থেমে থাকবে না। ব্যাংককে সহশিল্পীদের নিয়ে ঠিকই কেক কেটেছেন। আর বাংলাদেশে বসে ভিডিও কলে সেই কেকের মোমের আগুন ফুঁ দিয়ে নিভিয়েছেন ফারুকী!

স্বামী মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর জন্মদিনে তিশা যে সারপ্রাইজ দেন, তা ভক্তদের কাছে অজানা নয়। পাঁচ বছর আগের এক জন্মদিনে কক্সবাজারে ফারুকীর শুটিংয়ে সারপ্রাইজ দিতে হেলিকপ্টারে করে হাজির হয়েছিলেন। এবারের পথটা বহুদূরের হওয়াতে ও শুটিংয়ের কমিটমেন্টে আটকা পড়ে তিশা কোনোভাবে সময় বের করতে পারেননি। দূরে থাকলে তো মন থেকে দূরে নয়। তাই তো জন্মদিনের প্রথম প্রহরে স্বামীকে নিয়ে নিজের মনের কিছু কথা ফেসবুকে লিখে জানালেন। সেই লেখায় না থাকতে পারার আফসোসও প্রকাশ পেয়েছে।

তিশা লিখেছেন, ‘মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, আমাদের একসঙ্গে পথচলার ১৪ বছর হয়ে গেল! এই ১৪ বছরে অনেকবার তোমাকে সারপ্রাইজ দিয়েছি কিন্তু এই প্রথম তোমার জন্মদিনে আমার শুটিংয়ের কারণে সারপ্রাইজ দিতে পারলাম না। অনেক কিছু লিখতে ইচ্ছে করছিল কিন্তু আজ এতটুকুই বলতে চাই, অনেক অনেক ভালো থাকো, যেমন আছো তেমন থাকো, অনেক ভালোবাসি, ইউ আর এ ওয়ান্ডারফুল গিফট ইন মাই লাইফ। শুভ জন্মদিন।’

দেশের বাইরে থাকা স্ত্রী ও জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী তিশার উদ্দেশে ফারুকী বলেন, ‘এবারের জন্মদিন শুরু হইছে ডিজিটাল কেক কাটার মধ্য দিয়ে। তিশা বিদেশে শুটিং করছে। সেখানে পুরো ইউনিট নিয়ে সে কেক কাটছে, আমি বাংলাদেশ থেকে ফুঁ দিছি! ছবির কেকটা হচ্ছে সেই বিদেশি কেক যেটা কাটছি আমি, খাইছে ওরা।’

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও নসুরাত ইমরোজ তিশা
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও নসুরাত ইমরোজ তিশা

জন্মদিনে নিজের জীবন নিয়ে উপলব্ধির কথা ফারুকী বললেন এভাবেই, ‘এই হলো আমাদের একটা জীবন। যে জীবনের অতীত এবং ভবিষ্যতের ওপর আমাদের কোনো হাতই নাই। জন্মের আগে কই ছিলাম আর পরে কই যামু তার কোনো দিশা করতে পারলাম না আমরা এখনো। বর্তমানের ওপরও কতটা হাত আছে বোঝা মুশকিল। তো এই রকম একটা জীবন লইয়া মোটামুটি পঁয়তাল্লিশ বছর কাটায়া দিলাম। ভালো-মন্দ, ভুল-শুদ্ধ মিলে মিশেই কাটল সময়টা। এর মধ্যে কাউকে হয়তো কমফোর্ট দিছি, কাউকে আহত করছি। কারও জীবনে কোনো অর্থ তৈরি করছি, কারো জীবনে করি নাই। জন্মদিনের এই দিনে নিজের কাছে এই প্রত্যাশাই আমার, যেনো মানুষকে আরো বেশি ভালোবাসতে পারি । কারো উপকারে যদিওবা না আসি, অপকারে যেনো না লাগি। অতীতের ভুল যেনো বারবার না করি। এই হইল আমার জন্মদিনের রেজুলোশন।’

জন্মদিনে অনেক ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীর শুভেচ্ছায় ভেসেছেন নন্দিত পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ফারুকী বলেন, ‘যারা যারা আমার জন্মদিনে উইশ করছেন পোস্ট করে, কল দিয়ে, মেসেজ দিয়ে তাদের সবার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা। আপনাদের ভালোবাসা আমার কাছে অনেক ম্যাটার করে। আপাত-অর্থহীন জীবনটা তখন একটু অর্থময় মনে হয়, চোখের কোনায় পানি আসে। কৃতজ্ঞতা আবারও।’

জন্মদিনে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ব্যস্ত বিজ্ঞাপনচিত্রের শুটিং নিয়ে। এদিকে তাঁর সিনেমা ‘স্যাটারডে আফটারনুন বা শনিবার বিকেল’ মুক্তির অপেক্ষায় আছে। সেই সঙ্গে ফারুকীর প্রথম ইংরেজি ভাষার চলচ্চিত্র ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’-এর প্রি প্রোডাকশনের কাজও চলছে।