বাবাকে ছাড়াই এগিয়ে যাচ্ছেন প্রিন্স জ্যাকসন

মাইকেল জ্যাকসনের বড় ছেলে প্রিন্স জ্যাকসন স্নাতক হলেন। পাশে তাঁর আইনি অভিভাবক টি জে জ্যাকসন
মাইকেল জ্যাকসনের বড় ছেলে প্রিন্স জ্যাকসন স্নাতক হলেন। পাশে তাঁর আইনি অভিভাবক টি জে জ্যাকসন

জীবন নাকি কারও জন্য আটকে থাকে না। ১০ বছর ধরে মাইকেল জ্যাকসনহীন পৃথিবী ঘুরছে তার নিজস্ব গতিতে। সন্তানেরাও বড় হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় বাবাকে ছাড়াই। জ্যাকসন যখন মারা যান, তখন বড় ছেলে প্রিন্স জ্যাকসনের বয়স ছিল মাত্র ১২। সেই ছোট্ট প্রিন্স জ্যাকসন এবার স্নাতক সম্পন্ন করেছেন, ক্যালিফোর্নিয়ার বিখ্যাত লয়োলা ম্যারিমাউন্ট বিশ্ববিদ্যালয় (এলএমইউ) থেকে।

প্রিন্স জ্যাকসন কিন্তু আসল নাম নয় এই জ্যাকসনপুত্রের। তাঁর আসল নাম মাইকেল জোসেফ জ্যাকসন জুনিয়র। ১১ মে অনুষ্ঠিত হয় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন। এখান থেকে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগে স্নাতক ডিগ্রি নেন প্রিন্স জ্যাকসন। কে জানে বেঁচে থাকলে হয়তো সন্তানের স্নাতক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতেন মাইকেল জ্যাকসন। হয়তো ছেলের জীবনের এই বিশেষ দিনে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে এলএমইউতে উপস্থিত হয়ে চমকে দিতেন সবাইকে।

অন্যান্য সাধারণ পরিবারের মতো এই দিনটি উদ্‌যাপন করেছে প্রিন্স জ্যাকসনের পরিবারও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অনেক পোস্ট থেকে বিষয়টি নিশ্চিত হয়। বাবার মৃত্যুর পর উইল অনুসারে প্রিন্স জ্যাকসনের আইনি অভিভাবক টি জে জ্যাকসন। তিনি টুইট করেছেন, ‘অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে দিয়ে এসেছ। শেখা অব্যাহত রাখো, বড় হও আর কী শিখলে তার প্রতিফলন ঘটাও। তোমাকে নিয়ে আমি গর্বিত।’

মাইকেল জ্যাকসনের অন্য দুই সন্তান ২১ বছর বয়সী প্যারিস আর ১৭ বছর বয়সী প্রিন্স মাইকেল জ্যাকসন। মাইকেল জ্যাকসনের ছোট ছেলে আবার ব্লাঙ্কেট নামেই পরিচিত।

প্রিন্স জ্যাকসন যখন স্কুলে পড়েন, তখন কুয়েতের রাজকুমারী রিমি আলফালাহর সঙ্গে তাঁর প্রেম নিয়ে সরব পশ্চিমা মিডিয়া। এটা ২০১৩ সালের ঘটনা। তখন প্রিন্সের বয়স ছিল ১৬। রিমি আর প্রিন্স একই সঙ্গে পড়তেন। কুয়েত দূতাবাসের এক সূত্র সেই গুজব সত্যি বলেও নিশ্চিত করেছিল।