চ্যানেলগুলোর আগ্রহ যাঁদের নিয়ে

মোশারফ করিম, জাকিয়া বারী মম, অপূর্ব, মেহ্জাবীন চৌধুরী, আফরান নিশো, সাবিলা নূর
মোশারফ করিম, জাকিয়া বারী মম, অপূর্ব, মেহ্জাবীন চৌধুরী, আফরান নিশো, সাবিলা নূর

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর ব্যস্ততা অনেক বেড়ে যায়। বড় বাজেটে, বড় আয়োজনে, বৈচিত্র্যময় গল্পে নাটক নির্মাণের পরিকল্পনা করে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। এসব নাটকে যে তারকারা অভিনয় করেন, তাঁদের নিয়ে থাকে চ্যানেলের বাড়তি আগ্রহ। দর্শক আগ্রহের কথা মাথায় রেখে চ্যানেলের অনুষ্ঠান প্রধানেরা নাটক নির্বাচন করেন। গল্প আর পরিচালকও এখানে বড় ভূমিকা পালন করে।

এবার ঈদের সময় বিশ্বকাপ ক্রিকেট চলবে। বাংলাদেশ খেলছে বিধায় দেশের দর্শকদের আগ্রহ খেলার প্রতি একটু বেশি বলে অনেকের ধারণা। তবে এ নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন চ্যানেল আইয়ের বিপণন বিভাগের প্রধান ইবনে হাসান খান। তিনি বলেন, ‘খেলা থাকলেও ঈদ উৎসবে বাংলাদেশের মানুষের নাটকের প্রতি আগ্রহ মোটেও কমে না। আমরাও দর্শকের আগ্রহকে বরাবরই গুরুত্ব দিয়ে মানসম্মত নাটক নির্মাণে জোর দিয়ে থাকি। অন্যান্যবারের মতো ঈদে যে–সংখ্যক এবং যে মানের নাটক প্রচার করি, এবার তা–ই থাকছে। আমাদের ঈদের নাটকে জাহিদ হাসান যেমন আছেন, তেমনি আছেন মাহফুজ আহমেদ, অপুর্ব, মোশাররম করিম, তিশা, মম, মেহ্জাবীন। বলতে পারেন, যাঁরা জনপ্রিয়, তাঁরা সবাই আছেন। আমি এ–ও বলে রাখি, চ্যানেল আই যখন একটা অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করে, সবকিছু দেখে এবং বিবেচনা করেই করে।’

চ্যানেল আই এবারের ঈদে ২২টি নাটক প্রচারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে। আছে টেলিছবিও।

বাংলাভিশন এবারের ঈদে ৩০টির মতো এক ঘণ্টার নাটক, ৫টি সাত পর্বের ধারাবাহিক এবং ডজনখানেক টেলিছবি প্রচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চ্যানেলটির অনুষ্ঠান প্রধান তারেক আখন্দ বলেন, প্রতিযোগিতার এই বাজারে বিজ্ঞাপনদাতাদের যাঁদের নিয়ে আগ্রহ আছে, দর্শকদেরও বেশি আগ্রহ আছে, তাঁদেরকেই প্রাধান্য দিতে হয়। বাংলাভিশনে এবার যেসব নাটক প্রচারিত হবে, সেগুলোর অভিনয়শিল্পীরা হলেন সালাহউদ্দিন লাভলু, জাহিদ হাসান, মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, তাহসান, অপূর্ব, নিশো, সজল, আনিসুর রহমান মিলন, ইরফান সাজ্জাদ, তৌসিফ, জোভান। তারেক বলেন, ‘এসব শিল্পীদের কারও নাটকের সংখ্যা বেশি, কারও কম। ঘুরেফিরে এসব শিল্পী আমাদের টেলিভিশনের পর্দায় থাকবেন।’

নাগরিক টেলিভিশন এবারের ঈদে ৪টি ৭ পর্বের নাটক এবং ১৪টি খণ্ডনাটক প্রচার করবে। চ্যানেলটির অনুষ্ঠান বিভাগের প্রধান কামরুজ্জামান বাবু বলেন, ‘আমরা বিনোদনে ভরপুর থাকতে চাই। আমাদের চ্যানেলে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা প্রচারিত হয়। খেলা যতক্ষণ প্রচারিত হয়, ততক্ষণ দর্শক খেলা দেখেন। এরপর তাঁরা নাটকের ব্যাপারে আগ্রহী হন। বেশির ভাগ নাটক আমাদের নিজস্ব প্রযোজনায় নির্মিত হচ্ছে। এসব নাটকের অভিনয়শিল্পী যে শুধু আমাদের পছন্দে, তা কিন্তু নয়। দর্শক চাহিদার বিষয়টিও আমরা খেয়াল করি। আমাদের চ্যানেলে যেসব নাটক প্রচারিত হবে, এসবের শিল্পীরা হলেন জাহিদ হাসান, মীর সাব্বির, মোশাররফ করিম, তাহসান, সজল, অপূর্ব, আফরান নিশো, মম, মেহ্জাবীন, প্রভা, ঈশানা, ভাবনা, সাফা কবির, সাবিলা নূর, তৌসিফ।’

ঈদে সাত দিনব্যাপী অনুষ্ঠান প্রচার করবে আরটিভি। এ সময় ২৪টি খণ্ডনাটক, ৪টি ৭ পর্বের ধারাবাহিক এবং ৭টি টেলিছবি প্রচারিত হবে। চ্যানেলটি জনপ্রিয় শিল্পীদের পাশাপাশি তরুণদের নিয়ে ভেবেছে বেশি। তবে কোন শিল্পী তাঁদের আগ্রহের তালিকায় এগিয়ে ছিল, সে নিয়ে সরাসরি কিছু বলতে চাননি আরটিভির অনুষ্ঠান প্রধান দেওয়ান শামসুর রাকিব। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যেসব নাটক প্রচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, উৎসব ব্যাপারটা প্রাধান্য পেয়েছে। আছে কমেডি ধাঁচটাও। চার বছর ধরে আমাদের চ্যানেলে মোশাররফ করিম উৎসব করছি। এবারও সেই ধারাবাহিকতা বজায় থাকছে। এর বাইরেও যেসব শিল্পীর নাটক প্রচার করবে আরটিভি, তাঁরা হলেন জাহিদ হাসান, চঞ্চল, অপূর্ব, আফরান নিশো, তিশা, মম, মেহ্জাবীন, প্রভা, ইরফান সাজ্জাদ, তৌসিফ প্রমুখ।

মাছরাঙা টেলিভিশন ৪৫ দিন ধরে খেলা প্রচার করবে। তবে দুপুরের সময়টায় পুরোনো কিছু নাটক প্রচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান প্রোগ্রাম ইনচার্জ আরিফুর রহমান। এসব নাটকে প্রাধান্য পেয়েছেন জাহিদ হাসান, মোশাররফ করিম, অপূর্ব, সজল, আফরান নিশো, তিশা, মেহ্জাবীন, মম, সাবিলা নূর, তৌসিফ ও জোভানদের মতো অভিনয়শিল্পীরা। আরিফুর রহমান বলেন, ‘ঈদ উৎসবে আমাদের চ্যানেলে নতুন কোনো নাটকই দেখানো হবে না। খেলা ঘিরেই আমাদের সব পরিকল্পনা করতে হয়েছে। বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে চাহিদা আছে, এমন দর্শকপ্রিয় অভিনয়শিল্পীদের নাটকই আমরা চূড়ান্ত করেছি।’