'নয়ন রহস্য' থেকে আগে ছবি তৈরি হয়নি: আহমেদ রুবেল

আহমেদ রুবেল
আহমেদ রুবেল

সত্যজিৎ রায়ের ‘নয়ন রহস্য’ অবলম্বনে বাংলাদেশে তৈরি হয়েছে ফেলুদা। বৃহস্পতিবার ভিডিও স্ট্রিমিং সাইট বায়োস্কোপে উঠেছে এটি। পরিচালনায় তৌকীর আহমেদ। ফেলুদার চরিত্রে অভিনয় করেছেন আহমেদ রুবেল। তিনি বললেন কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে।

বাংলাদেশের প্রথম ফেলুদা হয়ে কেমন লাগছে?
ভালো লাগছে। সত্যজিৎ রায়ের বিখ্যাত ও বহুল পঠিত গোয়েন্দা সিরিজ এটি। দর্শকেরা বাংলাদেশের ফেলুদাকে দেখার সুযোগ পেতে যাচ্ছেন।

সব্যসাচী চক্রবর্তী, শশী কাপুর, আবির চট্টোপাধ্যায়, পরমব্রতরা ফেলুদার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তালিকায় আপিনও কেমন লাগছে?
বড় বড় শিল্পীদের পাশে আমার নাম যোগ হলো। এটাও ভালো লাগার ব্যাপার। ছবির মতো সুন্দর এই গল্পে নিজের নামটি থেকে যাবে, আমার জন্য এটা অনেক বড় পাওয়া। তবে চিন্তার বিষয়ও আছে।

কেমন?
নাটক, সিনেমায় মানুষ বহুবার ফেলুদাকে দেখেছে। তা ছাড়া বাংলাদেশে বড় অংশের পাঠক ফেলুদা সিরিজ পড়েছে। এখানকার দর্শকের মাথায় আগে থেকেই ফেলুদার একটা ছবি আছে। ফলে এই সিরিজটি দেখতে বসে তারা আগের ফেলুদার সঙ্গে একটা তুলনার সুযোগ পাবে। সে ক্ষেত্রে আমি চরিত্রটি কতটুকু করতে পারলাম, দর্শকেরা সেটাকে কীভাবে নেবে, এসব ভেবে খানিকটা ভয় লাগে।

চরিত্রটি কতটুকু করতে পেরেছেন বলে মনে হয়?
সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। আমাদের এখানে ছোট পর্দার জন্য যেভাবে কাজ করা হয়, কাজটি তার চেয়ে ভালো ছিল। এক সপ্তাহ ধরে শুটিং করেছি।

চরিত্রটির জন্য প্রস্তুতি কেমন ছিল?
খুব যে বড় রকমের প্রস্তুতি নিতে পেরেছিলাম, তা না। হাতে সময় কম ছিল। কাজ শুরু করার আগে সিরিজটি পড়েছি। তারপরও পরিচালক ফেলুদা চরিত্রটিকে উপযুক্তভাবে উপস্থাপনের জন্য পরিকল্পনা করেই কাজটি করেছেন। ফেলুদার সঙ্গে অন্য চরিত্রগুলোর সম্পর্কের জায়গাগুলো, ফেলুদার আচার–আচরণ থেকে শুরু করে পোশাক–আশাকের বিষয়েও যথেষ্ট মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা ছিল পরিচালকের।

ফেলুদা দেখার বা সিরিজটি পড়ার সুযোগ হয়েছে?
ইউটিউব থেকে পুরোনো সিরিজ দেখেছি। ‘নয়ন রহস্য’ থেকে আগে কোনো ছবি তৈরি হয়নি। অনেক আগে ফেলুদা পড়েছিলাম। সিরিজটি আবারও পড়েছি। পাশাপাশি চিত্রনাট্য অনেকবার পড়তেই হয়েছে।

শুটিংয়ের সময়ের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
এই গল্পের ঘটনাগুলো ছবির মতো সাজানো। গল্পের ধারাবাহিকতার সঙ্গে কাজ করেছি। ২১ থেকে ২৭ এপ্রিল। ঢাকার নবাবগঞ্জ থেকে শুরু করে উত্তরা, ধানমন্ডি, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড, কুমিল্লার ময়নামতি হয়ে ঢাকায় এসে শুটিং শেষ হয়েছে। আলফা আই মিডিয়া প্রোডাকশনস লিমিটেডের প্রযোজনায় পরিচালক চমত্কারভাবে শুটিংটা সাজিয়েছিলেন।

ছোট পর্দায় আগের মতো দেখা যায় না কেন?
মাঝে আমার বড় ভাই মারা গেছেন। এখন সংসারে তিন সদস্য, বাবা, মা ও আমি। বাবা-মায়ের বয়স হয়েছে। তাঁরা কিছুটা অসুস্থও ছিলেন। তাঁদের দেখভাল করতে হয়েছে। এখন একটু সুস্থ। এখন কিছু কাজ করতে পারছি। এর মধ্যে আহমদ ছফার অলাতচক্র উপন্যাস নিয়ে অনুদানের একটি ছবিতে কাজ করলাম। প্রথম ধাপের কাজ শেষ। জুন থেকে দ্বিতীয় ধাপের কাজ শুরু হবে।