চেনা রূপে ফিরছেন ব্রিটনি

ব্রিটনি স্পিয়ার্স
ব্রিটনি স্পিয়ার্স

ব্রিটনি স্পিয়ার্স মার্কিন সংগীতজগতের সবচেয়ে বড় তারকাদের একজন। ৩৭ বছর বয়সী এই গায়িকা অভিনেত্রীর দীর্ঘদিনের ম্যানেজার ল্যারি রুডলফ এর আগে আশঙ্কা করেছিলেন, হয়তো আর পারফর্ম করতে দেখা যাবে না তাঁকে। কিন্তু সেসব আশঙ্কা ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দিলেন ব্রিটনি। জানালেন, গাইবেন তিনি, নাচবেন তিনি।

ব্রিটনি তাঁর বাবার অসুস্থতার পর লাস ভেগাসের আবাসিক চুক্তি বাতিল করেছেন। বাবার চিকিৎসার সময় টানা ৩০ দিন তিনি নিজেও মানসিক চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে ছিলেন। তাঁর বাবা জেমি স্পিয়ার্স নাকি বাধ্য করেছিলেন ব্রিটনিকে মানসিক চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকতে। কিন্তু কেন? তবে কি এই তারকা মানসিক ভারসাম্যহীন? আদলতে ব্রিটনি জানিয়েছেন, বাবা নাকি ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে তাঁকে মানসিক রোগের ওষুধ খেতে বাধ্য করেছিলেন।

সপ্তাহের শুরুতে ব্রিটনির ম্যানেজার ল্যারি রুডলফ বলেছেন, তিনি ব্রিটনির জীবনের দুই–তৃতীয়াংশ সময় তাঁর সঙ্গে আছেন। ব্রিটনিকে তিনি তাঁর সন্তানের মতোই দেখেন। তাঁর কাছে ব্রিটনির সুস্থতা আর সুখী হওয়া সবার আগে প্রাধান্য পাবে। তিনি বলেন, ‘আমি চাই না ও শারীরিক আর মানসিক সুস্থতা ফিরে পাওয়ার আগে কাজ করুক।’ সবার আগে সেই সঠিক সময়টা আসা জরুরি বলে জোর দেন রুডলফ।

ব্রিটনি স্পিয়ার্স
ব্রিটনি স্পিয়ার্স

রুডলফের ঘোষণায় ব্রিটনির ভক্তদের ভ্রু কুঞ্চিত হয়েছে, আশঙ্কায় বিমর্ষ হয়েছে মন। কিন্তু ভক্তদের সব দুশ্চিন্তার মেঘ কাটিয়ে ওঠার ঘোষণা দিলেন ব্রিটনি। ই টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্রিটনি জানিয়েছেন, পারফর্ম করা বন্ধ করবেন না তিনি।

গত শুক্রবার বিকেলে এই ‘প্রিন্সেস অব পপ’কে দেখা গেছে তাঁর বয়ফ্রেন্ড স্যাম আসগারির সঙ্গে শপিংয়ের ব্যাগ হাতে। তাঁকে দেখার সঙ্গে সঙ্গে চারপাশ থেকে ঘিরে ধরে পাপারাজ্জি, সাংবাদিক আর ফটোসাংবাদিকেরা। একজন জিজ্ঞেস করেন, ‘ব্রিটনি, অনেকেই মনে করছেন, আপনাকে আর দেখা যাবে না পারফর্ম করতে।’ ভিডিওতে দেখা যায়, এই কথা শুনে ব্রিটনি কেবল একটি শব্দে মন্তব্য করেছেন, ‘ও।’ তাঁরা ব্রিটনিকে পারফর্ম করতে দেখতে চান জানিয়ে ওই সাংবাদিক প্রশ্ন ছুড়ে দেন, ‘আপনি আবারও পারফর্ম করবেন?’ জবাবে ব্রিটনি ছোট্ট করে শুধু বলেন, ‘অবশ্যই।’ আর তাতেই কেটে যায় আশঙ্কার সব কালো মেঘ।

কিছুদিন ধরেই ব্রিটনির মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন সবাই। আবার অন্যদিকে ব্রিটনির বাবার বাড়াবাড়িও পছন্দ করছেন না এই তারকার ভক্ত অনুসারীরা। তাঁরা জেমি স্পিয়ার্সের অযথা কড়াকড়ির যবনিকা টানতে চান, চান অভিভাবকত্বের সমাপ্তি। অনেকে আবার ব্রিটনির মন আর অর্থ-সম্পদের ওপর তাঁর নিজের অধিকার ফিরিয়ে আনতে ‘#ফ্রিব্রিটনি’ আন্দোলন শুরু করেছেন।

ব্রিটনি স্পিয়ার্স
ব্রিটনি স্পিয়ার্স