এখন আমি সম্পূর্ণ ক্যানসারমুক্ত: ফুয়াদ

৩০ মে শুরু হচ্ছে ‘আইসিসি বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯’। এবার বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাফল্য কামনা করে একটি ‘ফ্যান অ্যানথেম’ তৈরি করেছে গ্রামীণফোন। এর শিরোনাম ‘চলো বাংলাদেশ ২০১৯ ’। গত শুক্রবার গ্রামীণফোনের ইউটিউব চ্যানেলে এর মিউজিক ভিডিওটি অবমুক্ত করা হয়। গানটির সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন ফুয়াদ আল মুক্তাদির। তিনি এখন আছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে। গতকাল শনিবার দুপুরে সেখান থেকেই কথা বললেন প্রথম আলোর সঙ্গে।

শুক্রবার আপনার গান এসেছে গ্রামীণফোনের ইউটিউব চ্যানেলে। 

ফুয়াদ আল মুক্তাদির
ফুয়াদ আল মুক্তাদির

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাফল্য কামনা করে একটি ‘ফ্যান অ্যানথেম’ তৈরি করেছি। গানটির শিরোনাম ‘চলো বাংলাদেশ ২০১৯ ’। লিখেছেন মেহেদী আনসারি, সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছি আমি। গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছে শুভ, জোহান আলমগীর আর আমি। গত ২৬ এপ্রিল থেকে গানটির কাজ শুরু হয়। ইন্টারনেটেই সব কাজ হয়ে যাচ্ছে। আমি আছি নিউইয়র্কে। এখানে বসে সুর আর সংগীত করেছি। জোহানও নিউইয়র্কেই ভয়েস দিয়েছে আর শুভ ঢাকা থেকে ভয়েস দিয়েছে। এরপর পুরো কাজ শেষ করে গানটি ঢাকায় পাঠিয়ে দিয়েছি।

গানটি নিয়ে একটি মিউজিক ভিডিও তৈরি হয়েছে।
সত্যি বলতে ভিডিওর ভাবনাটা মাথায় রেখে আমি মিউজিকের কাজ করেছি। মিউজিক ভিডিওটি পরিচালনা করেছেন সামিউর রহমান।

আপনি তো এর আগেও ক্রিকেট নিয়ে গান করেছেন।
ক্রিকেট নিয়ে আমার বড় কাজ ছিল ‘চার ছক্কা হই হই’, ২০১৪ সালে আইসিসি টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময়। এ ছাড়া বিপিএলের দূরন্ত রাজশাহী, সিলেট রয়্যালস আর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের থিম সং করেছি।

‘চলো বাংলাদেশ ২০১৯’ গানটি আপনার কাছে কেমন লাগছে?
‘চার ছক্কা হই হই’ গানে খেয়াল করলে বুঝতে পারবেন, তাতে মাঠে লাফালাফি করার একটা ব্যাপার ছিল। টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটের মেজাজ ছিল গানটিতে। কিন্তু ‘চলো বাংলাদেশ ২০১৯’ গানে আছে দেশপ্রেমের অনুভূতি আর বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রতি ভালোবাসা। এই ভালোবাসার সঙ্গে হার–জিতের সম্পর্ক নেই।

শুনেছিলাম, আপনি ক্যানসারে আক্রান্ত। এখন কেমন আছেন?
আমার থাইরয়েডে দুই ধরনের ক্যানসার ধরা পড়ে। আমার দেহে অস্ত্রোপচার হয়েছে। তখন থাইরয়েড ফেলে দেওয়া হয়। এরপর ক্যানসারের চিকিৎসা হয়েছে। এখন আমি সম্পূর্ণ ক্যানসারমুক্ত।

সম্প্রতি আপনি দেশে এসেছিলেন। তখন একেবারেই সময় দিতে পারেননি।
ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে অল্প সময়ের জন্য ঢাকায় গিয়েছিলাম। একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের দুটি শো করেছি। এরপর গিয়েছিলাম পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে। তখন একটা প্রাইভেট শো আর গান বাংলার ‘উইন্ড অব চেঞ্জ’ আয়োজনে গান গেয়েছি।

ঢাকায় স্থায়ীভাবে আসার কোনো সম্ভাবনা আছে?
না, আমি তো যুক্তরাষ্ট্রেই বড় হয়েছি। আমার বাবা–মা, ভাইবোন সবাই এখানে। আমার স্ত্রী আর মেয়েও এখানেই আছে। ঢাকায় হয়তো কাজের জন্য যাব।