সেটা গোপন কথা, বলা যাবে না: ভাবনা

‘আকাশ ভাঙা বৃষ্টি’ নাটকে ভাবনা
‘আকাশ ভাঙা বৃষ্টি’ নাটকে ভাবনা
>
আশনা হাবিব ভাবনা অভিনয়শিল্পী, নৃত্যশিল্পী ও লেখিকা। নৃত্যের মধ্য দিয়ে বিনোদন অঙ্গনে প্রবেশ করেছিলেন তিনি। অভিনয় দিয়ে কেড়েছেন টিভি দর্শকদের মন। চলচ্চিত্রে তাঁর অভিষেক হয় অনিমেষ আইচ পরিচালিত ‘ভয়ংকর সুন্দর’ দিয়ে। সেখানে তাঁর নায়ক ছিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। ইদানীং কেবল ঈদের মতো উৎসবে টিভি নাটকে কাজ করেন ভাবনা। এই ঈদেও আসছে তাঁর একগুচ্ছ নাটক। তাঁর লেখা, তাঁর অভিনয় ও সাম্প্রতিক ভাবনাগুলো নিয়ে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।

অবশেষে কাজ শেষ। কেমন হলো ঈদের কাজগুলো?
জ্বর নিয়ে কাজ করে দুর্বল হয়ে গেছি। গত ২৩ তারিখে রাজবাড়ীতে ছিল ‘ফেরা’ নাটকের শুটিং। ভীষণ জ্বরে পড়লাম। পরিচালক বললেন বিশ্রাম নিতে। যা হোক, শেষ পর্যন্ত কাজগুলো শেষ করে এখন বাড়িতে বিশ্রাম নিচ্ছি। একে তো জ্বর ছিল, তার ওপর একটা কালো বোরকা পরে শুটিং করতে গিয়ে আমার অবস্থা আরও খারাপ হয়ে গিয়েছিল।

গত বছর থেকে এ বছরের ঈদ, আপনার জন্য আসা চিত্রনাট্যগুলোতে কোনো পরিবর্তন কিংবা ব্যতিক্রম পেয়েছেন?
আমার কাছে যেসব চিত্রনাট্য আসে, সব কটিই একটু ব্যতিক্রম গল্পের আর কঠিন চিত্রনাট্য। হয়তো পরিচালকেরা মনে করেন, সেটা আমিই ভালো পারব। সে জন্যই আমাকে সেগুলো দেন। বলা যায় আমি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ব্যতিক্রম কাজের প্রস্তাবগুলোই পাই।

টেলিছবি ‘ফেরা’র দৃশ্যে ভাবনা
টেলিছবি ‘ফেরা’র দৃশ্যে ভাবনা


এ বছর বইমেলায় আপনার লেখা দ্বিতীয় উপন্যাস প্রকাশিত হলো। পড়ে কেউ কোনো প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন?
এখন ভাইরালের যুগ। কে বই পড়ে প্রতিক্রিয়া জানাবে? এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় মেকআপের ভিডিও, যাকে-তাকে নিয়ে মিম আর তুচ্ছ সব জিনিস নিয়ে তরুণেরা ব্যস্ত থাকে। বই পড়ার অভ্যাস খুব কম মানুষের অবশিষ্ট আছে। এসব দেখে প্রায়ই খুব অস্থির লাগে। মনে হয় ভুল সময়ে জন্ম নিয়েছি। আমার এখনো মনে হয়, একটু সময় নিয়ে অনুশীলন করে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াই। অথচ সেই সুযোগ এখন নেই। তাৎক্ষণিক কাজ করতে হয়। বেশির ভাগ নাটকে দেখবেন মা-বাবার চরিত্রই থাকে না। অথচ আমাদের ‘গুলনেহার’ নাটকে ১৫ জন শিল্পী কাজ করেছিলেন।

কোনো প্রতিক্রিয়া পাননি, সেটা তো হতে পারে না।
বিপাশা (অভিনেত্রী বিপাশা হায়াত) আপু খুব অ্যাপ্রিশিয়েট করেছিলেন। শাহিন আখতার, বন্যা মির্জাও প্রশংসা করেছিলেন। তাঁদের মতো মানুষের প্রশংসা পেলে অনুপ্রাণিত হই। ঈদ উপলক্ষে ডেইলি স্টার-এর ঈদ ম্যাগাজিনে আমার একটা গল্প ছাপা হয়েছে, ‘মিনার ঈদ’।

‘শেষ দেখা’ নাটকে ভাবনা
‘শেষ দেখা’ নাটকে ভাবনা


আপনার লেখায় মেয়েদের চরিত্রগুলোই আসছে কেন?
আমি মেয়েদের নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করি। এ জন্যই মেয়েদের চরিত্রগুলো লিখি। যদি কোনো দিন ইউটিউবে নিজস্ব চ্যানেল করি, সেখানেও মেয়েদের নিয়ে কাজ করব। লাতুপুতু কর্মকাণ্ড করব না।

এবারে ঈদে যে কাজগুলো করলেন, সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে মজা পেয়েছেন কোন কাজটা করে?
আমি আসলে সব চরিত্রই এনজয় করি। টেলিছবি ‘ফেরা’র জন্য ভীষণ কষ্ট করতে হয়েছে। ‘তোমার হাত ধরব বলে’ নাটকে পুলিশের চরিত্র করতে গিয়ে বুঝেছি, রোদের ভেতর দাঁড়িয়ে তাঁদের কী পরিমাণ কষ্ট করতে হয়।

‘তোমার হাত ধরব বলে’ নাটকে ট্রাফিক সার্জেন্ট ভাবনা
‘তোমার হাত ধরব বলে’ নাটকে ট্রাফিক সার্জেন্ট ভাবনা


অনেক কাজ করলেন। মনে আছে সব কটির কথা?
প্রায় সব কটির কথা মনে আছে। শেখ আজিজুল ইসলাম কুয়াশা পরিচালিত নাটক ‘শেষ দেখা’, বিপ্লব কুমার পরিচালিত ‘তোমার হাত ধরব বলে’, বিসমিল্লাহ খান পরিচালিত ‘জলফুল’, এম আই জুয়েল পরিচালিত ‘প্রিয় শেকসপিয়র’, রুবেল রানার ‘আকাশ ভাঙা বৃষ্টি’, আদিবাসী মিজান পরিচালিত ৬ পর্বের ধারাবাহিক ‘ডায়বেটিস’।

ঈদের পরিকল্পনা কী?
ঈদের পরিকল্পনা হচ্ছে ঘুরব, পরিবারের সঙ্গে থাকব। সালামি নেব এবং দেব। আমার প্রিয় অভিনেত্রী বিপাশা হায়াত। তাঁর কোনো কাজ যদি থাকে, দেখব। এখনো জানি না আছে কি না। আর আমি রান্নাবান্না করতে পারি না।

‘জলফুল’ নাটকে বয়োবৃদ্ধার চরিত্রে ভাবনা
‘জলফুল’ নাটকে বয়োবৃদ্ধার চরিত্রে ভাবনা


ঘোরাঘুরি মানে কী?
সড়কপথে, লং ড্রাইভে...

কার সঙ্গে?
সেটা গোপন কথা, বলা যাবে না।