চকবাজারের ঈদমেলায় পুতুল

পুতুল
পুতুল

একুশে বইমেলায় প্রায়ই দেখা যেত ক্লোজআপ ওয়ান তারকা পুতুলকে। মেলায় ঘুরছেন, নিজের বইয়ে অটোগ্রাফ দিচ্ছেন। শনিবার দেখা গেল পুরান ঢাকার চকবাজারে, ঈদমেলায়। দুপুরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন পুতুল। চড়েছেন নগরদোলায়। বললেন, ‘বেশ ভালো সময় কেটেছে। খুব মজা পেয়েছি।’

মেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে পুতুল বলেন, ‘প্রস্তুতি নিয়ে না। হঠাৎ চলে গেলাম। প্রথম আলোতে দেখে চকবাজারের ঈদমেলার কথা জানতে পারি। প্রথম আলোর ফেসবুক পেজে মেলার ভিডিও দেখে বেশ মজা লাগল। আম্মা দুই বোন আর ভাগনিকে নিয়ে চলে যাই। মেলায় গিয়ে প্রথমবারের মতো নগরদোলায় চড়েছি। মজা পেয়েছি, তবে ভয়ও লেগেছে। এ এক অন্য রকমের অভিজ্ঞতা।’

চকবাজারের ঈদমেলায় পুতুল, শনিবার দুপুরে তোলা ছবি
চকবাজারের ঈদমেলায় পুতুল, শনিবার দুপুরে তোলা ছবি

সম্প্রতি নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে ‘পুতুলগান’-এ প্রকাশিত হয়েছে তাঁর নতুন গান ‘সময়ের কাছে মিনতি’। তাঁর পঞ্চম অ্যালবাম ‘পুতুল কাব্য তৃতীয় অধ্যায়’-এর এটি দ্বিতীয় গান। গানের কথা, সুর ও সংগীত করেছেন পুতুল নিজেই। এর আগে পুতুলের গান ছিল ‘মীরা’। গানটি পুতুলের মায়ের নামে করা, কম্পোজিশন ছিল ১৬ মিনিটের। গানের শুরুতে কবিতা, মাঝখানে গান আবার শেষেও কবিতা। ‘সময়ের কাছে মিনতি’ গানটির কম্পোজিশন ১১ মিনিটের। গান ও কবিতার সমন্বয় আছে গানে। সময়ের কাছে মিনতি গানটিতে মানুষের জীবনের দ্রুত ক্ষয়ে যাওয়ার গল্প আছে। পুতুল বললেন, ‘আমাদের দেশে রক মিউজিকের কম্পোজিশনে হারমোনিয়ামকে মূল যন্ত্র হিসেবে আমি বাজতে শুনিনি। আমাদের কম্পোজিশনের মূল যন্ত্র হারমোনিয়াম। এর সঙ্গে হেভি ড্রামিং এবং গিটারের সংমিশ্রণটা আমাদের কম্পোজিশনের মূল বৈশিষ্ট্য। আমার গানে আমি নিজেই হারমোনিয়াম বাজাই।’

নজরুলের গান নিয়ে পূর্ণাঙ্গ একটি অ্যালবাম করার পরিকল্পনার কথা জানালেন পুতুল। বললেন, ‘আমি ক্লোজআপ ওয়ানে আসার আগে শুধুই নজরুলসংগীত শিখেছি। কিন্তু অনেকেই মনে করেন, তরুণ প্রজন্মের শিল্পীরা নজরুলের গান গাইতে পারে না। অথচ আমি যখনই কোনো নজরুলসংগীত গাই, দর্শক খুব পছন্দ করেন। তাই ইচ্ছা আছে নজরুলের গান নিয়ে পূর্ণাঙ্গ একটি অ্যালবাম করার।’

বিয়ের আসরে পুতুল
বিয়ের আসরে পুতুল

‘ক্লোজআপ ওয়ান তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতার আসরে সেরা দশের অন্যতম প্রতিযোগী ছিলেন পুতুল। গান লেখা, সুর করা ও সংগীত পরিচালক হিসেবেও দেখা গেছে তাঁকে। গানের অনুষ্ঠানের উপস্থাপক হয়েও দর্শকের সামনে এসেছেন পুতুল। লেখালেখিও করেন। গেল একুশে বইমেলায় এসেছিল পুতুলের লেখা উপন্যাস ‘জ্যোৎস্নারাতে বনে যেভাবে আমাদের যাওয়া হয়ে ওঠে না’। উপন্যাসটি ছিল নারীর মনস্তত্ত্ব বিষয়ে। পুতুলের প্রথম উপন্যাস ছিল ‘একটি মনস্তাত্ত্বিক আত্মহনন এবং তার পুতুল কাব্যিক প্রতিবেদন’। এর আগে তাঁর দুটি কবিতার বই প্রকাশিত হয়। একটি ‘পুতুল কাব্য উপক্রমণিকা’ এবং অন্যটি ‘পুতুল কাব্য দ্বিতীয় অধ্যায়’।