গরমের ছবি

.
.

গ্রীষ্মের দাবদাহে সবার অবস্থাই বেশ করুণ। আমাদের এখানে এখন আম–কাঁঠালের মৌসুম, কিন্তু মার্কিন মুলুকে এই মৌসুম বড় বাজেটের ছবি মুক্তির। ‘সামার’কে (গ্রীষ্ম) কেন্দ্র করে বছরের বড় ছবিগুলো হানা দিতে যাচ্ছে হলিউড বক্স অফিসে। গরমের দিনের কিছু আলোচিত ছবি নিয়ে এবারের প্রতিবেদন—

ডার্ক ফোনিক্স

উলভারিন বা চার্লসের মতো মিউট্যান্টদের জন্য ছেলেবেলা থেকেই দর্শকদের মনে অনেক ভালোবাসা। লোগান ছবিতে উলভারিনের মৃত্যুও ‘এক্স–মেন’ সিরিজের ভক্তদের বেশ পীড়া দিয়েছে এ জন্য। তবে দেখতে দেখতে চলে এসেছে ‘ডার্ক ফোনিক্স’। ৭ জুন মুক্তি পেয়েছে মুভিটি। ছবিতে এবার ‘এক্স–মেন’ররা মোকাবিলা করবে বন্ধু ও শত্রু জুন গ্রেকে।

এবারের ছবিতে অভিনয় করেছেন সোফি টার্নার (জিন গ্রে), জেনিফার লরেন্স (রেভেন), জেমস ম্যাকাভয়ের (চার্লস) মতো অভিনেতারা। এটি পরিচালনা করেছেন সাইমন কিনবার্গ।

অ্যানাবেল কামস হোম

২০১৪ ও ২০১৭ সালের অ্যানাবেল ও অ্যানাবেল: ক্রিয়েশনের পরের ছবিটি অ্যানাবেল কামস হোম। এটা দ্য ‘কনজুরিং ইউনিভার্স’ ফ্রাঞ্চাইজের সপ্তম কিস্তি।

ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধ করতে বাড়ির ‘আর্টিফ্যাক্টস রুমে’ অ্যানাবেলকে তালাবন্দি করে রাখা হয়। পুরোহিতের আশীর্বাদ দেওয়া কাচের লকারে রাখলেও দেখা দেয় বিপত্তি। এক গভীর রাতে জেগে ওঠে অ্যানাবেলসহ অশরীরি আত্মাগুলো। বাড়িতে শুরু হয় তাণ্ডব। ২৮ জুন মুক্তি পাবে মুভিটি। এই গরমে ভয়ের উষ্ণ ছোঁয়া পেতে এক ফাঁকে দেখে নিতে পারেন ট্রেইলারটি।

টয় স্টোরি ফোর

কেমন হতো যদি বাচ্চাদের খেলনা পুতুলগুলো কথা বলতে পারত? তাদেরও যদি আমাদের মতো আবেগ থাকত? টয় স্টোরির ঘটনাগুলো সে রকমই। পিকচার অ্যানিমেশনের প্রযোজিত আমেরিকান কম্পিউটার অ্যানিমেটেড কমেডি মুভি ফ্র্যাঞ্চাইজির চতুর্থ কিস্তি ‘টয় স্টোরি ফোর’ মুক্তি পেতে যাচ্ছে ২১ জুন।

উডি আর বাজের সঙ্গে নতুন খেলনা বন্ধু ফোর্কি যোগ দিয়েছে এবারের ছবিতে। বোনির নতুন বানানো পুতুলের নামই ফোর্কি। বোনির পরিবারের সঙ্গে রোডট্রিপে যাওয়ার পরেই পালিয়ে যায় নতুন পুতুলটি। বাজ ছোটা শুরু করে তার পিছে। নতুন–পুরোনো পুতুলদের সঙ্গে নিয়েই এগোতে থাকে সেই গল্প। ফোর্কি নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কার করে।

টয় স্টোরি ফোর–এ কণ্ঠ দিয়েছেন জন উইকখ্যাত কিয়ানু রিভস, ক্রিস্টিনা হেনড্রিকস, টম হ্যাংকসসহ আরও অনেকে।

গডজিলা: দ্য কিং অব দ্য মনস্টারস

গডজিলা, বাস্তবে যার কোনো অস্তিত্ব নেই। কিন্তু ছবিটি দেখে সিনেমা হল থেকে বের হওয়ার পর আপনার মনে হতেই পারে, ‘ইশ্‌, এমন একটি প্রাণী যদি আসলেই থাকত!’ আসলেই তো, গডজিলাকে এখন পর্যন্ত মানুষের বন্ধু হিসেবেই বেশি দেখা গেছে। গডজিলা মূলত জাপানি ফ্র্যাঞ্চাইজ। এর প্রযোজনা ও পরিবেশক প্রতিষ্ঠান তোহো। এখন পর্যন্ত গডজিলার ৩৫টি ছবি মুক্তি পেয়েছে। এদের ৩২টিই তোহো প্রযোজিত ও নির্মিত। বাকি তিনটি হলিউডের।

২০১৪ সালে মুক্তি পাওয়া গডজিলার সিকুয়েলের নাম ছিল দ্য কিং অব দ্য মনস্টারস। এই মুভিতে গডজিলাকে দেখা যাবে আরও তিন দানবের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হতে। এদের মধ্যে একটি দানবের তিন মাথা, আরেকটি শতপদী আর তৃতীয়টি হচ্ছে ডানাওয়ালা একধরনের সরীসৃপ।

এবারের ছবিতে অভিনয় করেছেন কাইল শ্যান্ডলার, ভেরা ফারমিগার মতো বড়মাপের অভিনেতারা। পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মাইকেল ডোয়ার্থি। ২ ঘণ্টা ১১ মিনিটের মুভিটি মুক্তি পায় ৩১ মে। তবে এখানেই শেষ নয়, আগামী বছর মুক্তি পেতে চলেছে এ ছবির তৃতীয় অধ্যায় গডজিলা ভার্সেস কং।

মেন ইন ব্ল্যাক: ইন্টারন্যাশনাল

ক্রিস হেমসওর্থকে সবাই ‘থর’ হিসেবেই এত দিন চিনে এসেছেন। সেই থর এবার স্টর্মব্রেকার বা হ্যামারের পরিবর্তে হাতে তুলে নিয়েছে নতুন এক অস্ত্র। এলিয়েনদের থেকে পৃথিবীকে রক্ষার্থে যোগ দিয়েছে মেন ইন ব্ল্যাকে (এমআইবি)। সায়েন্স ফিকশন অ্যাকশন কমেডি ছবি ‘মেন ইন ব্ল্যাক’–এর আগের তিনটি সিনেমায় মূল চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন উইল স্মিথ ও টমি লি জোনস।

এমআইবি সব সময় ভিন গ্রহের যেকোনো হুমকি থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করে গেছে। কিন্তু কী হবে যদি নিজেদের প্রতিষ্ঠানের মধ্যেই সমস্যার সৃষ্টি হয়? সবচেয়ে বড় হুমকি তখনই হয়ে দাঁড়ায়, যখন নিজেদেরই কেউ প্রতারণা করতে শুরু করে। আর তা নিয়েই এবারের এমআইবি ইন্টারন্যাশনালের যাত্রা।

১৪ জুন মুক্তি পেতে যাওয়া ছবিতে রয়েছে একঝাঁক তারকা। ক্রিস হেমসওর্থের সঙ্গে আরও অভিনয় করেছেন টেসা থম্পসন, লিয়াম নেসন, রেবেকা ফার্গুসনসহ অনেকে। ১ ঘণ্টা ৫৫ মিনিটের ছবিটির পরিচালক এফ গ্যারি গ্রে।

গ্রন্থনা: মুসাব্বির হুসাইন