আর লাগবে মাত্র ২৭৮ কোটি টাকা

‘অ্যাভেঞ্জার্স: এন্ডগেম’ ছবির পোস্টার
‘অ্যাভেঞ্জার্স: এন্ডগেম’ ছবির পোস্টার

১৯৯৫-৯৬ অর্থবছরের কথা। সে বছর ১৫ জুন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান ২৩ হাজার ১৭০ কোটি টাকার বাজেট দিয়েছিলে। আর ‘অ্যাভেঞ্জার্স: এন্ডগেম’ আজ পর্যন্ত বক্স অফিসে সুনামি তুলে আয় করেছে ২ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। টাকার অঙ্কে তা ২৩ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা, ১৯৯৫-৯৬ অর্থবছরের বাংলাদেশের জাতীয় বাজেট থেকেও বেশি। সময়ের সঙ্গে এই সংখ্যা কেবলই বড় হচ্ছে।

এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আয় করা চলচ্চিত্রের তালিকায় ‘অ্যাভেঞ্জার্স: এন্ডগেম’ দ্বিতীয়। আর প্রথম অবস্থানে রয়েছে জেমস ক্যামেরুনের সায়েন্স ফিকশন ছবি ‘অ্যাভাটার’। ২০০৯ সালের ১০ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়ে এই ছবি বিশ্বজুড়ে আয় করেছে ২৩ হাজার ৯০৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ ফুরিয়ে এসেছে ‘অ্যাভাটার’-এর দিন। আর মাত্র ২৭৮ কোটি টাকা। ব্যাস, এই টাকার অঙ্কটুকু যোগ হলেই বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আয় করা ছবির মুকুট জ্বলজ্বল করে শোভা পাবে ‘অ্যাভেঞ্জার্স: এন্ডগেম’ ছবির মাথায়। আগামীকাল ঘুম ভাঙলেই হয়তো সে খবর পাওয়া যাবে। জেমস ক্যামেরুনও তা ভালোই বুঝতে পেরেছেন। তাই আগেভাগেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ছবির পরিচালক অ্যান্টনি রুশো আর জো রুশোসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে।

আগেই বলা হয়েছিল, অ্যান্টনি রুশো আর জো রুশো পরিচালিত ‘অ্যাভেঞ্জার্স: এন্ডগেম’ বদলে দেবে হলিউডের সব হিসাব-নিকাশ। গত ২২ এপ্রিল বিশ্বজুড়ে ছবিটি মুক্তির মাত্র দুই সপ্তাহের মাথায় আয় করে ২১৮ দশমিক ৯ কোটি মার্কিন ডলার। টাকার অঙ্কে তা ১৮ হাজার ৬০৬ কোটি! আর এই সংখ্যা মাত্র দুই সপ্তাহের ভেতরেই ‘আয়রন ম্যান’, ‘টাইটানিক’, ‘স্টার ওয়ারস: দ্য ফোর্স অ্যাওয়েকেনস’ ও ‘অ্যাভেঞ্জার্স: ইনফিনিটি ওয়ার’ ছবির বক্স অফিসের রেকর্ড ভাঙার জন্য যথেষ্ট ছিল।

এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ফিল্ম রিভিউ ওয়েবসাইট রোটেন টমাটোস ওয়েবসাইটে ৪৬৮ জন সমালোচকের ৪৪১ জন সিনেমাটিকে বলেছেন ‘ফ্রেশ’ আর ২৭ জন বলেছেন ‘রোটেন’। এর ফলে সমালোচকদের পক্ষ থেকে এই ছবির রেটিং ৯৪ %। অন্যদিকে ৫১ হাজার ৬৫১ জন দর্শক ভোট দিয়ে ৯১% রেটিং দিয়েছেন। এই ছবি সম্পর্কে সেখানে লেখা রয়েছে, ‘ছবিটি উত্তেজনাকর, বিনোদনে ভরপুর এবং আবেগে আপ্লুত করার মতো। “অ্যাভেঞ্জার্স: এন্ডগেম” একটা পারফেক্ট মারভেল মহাকাব্যের সমাপ্তি।’

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের চলচ্চিত্র সমালোচক শালিনী মার্ভেল স্টুডিওর এই ব্লকবাস্টার ছবিকে পাঁচের ভেতর দিয়েছেন সাড়ে চার। তাঁর মতে, রবার্ট ডাউনি জুনিয়র এখানে হৃদয় উজাড় করে দিয়েছেন। ৩ ঘণ্টা ১ মিনিটের এই ছবিকে মোটেই লম্বা বলে মনে হয় না। বরং কোনদিক থেকে সময় কেটে যায়, তা-ই টের পেতে দেননি ক্রিস হেমসওয়ার্থ। কমিক থেকে উঠে আসা কোনো চরিত্রে থররূপী ক্রিস হেমসওয়ার্থই জয়ী এই সমালোচকের চোখে। এই ছবিকে বর্ণনা করতে গিয়ে শালিনী বলেছেন, ‘ভোজনরসিক উদরের কাছে গলে যাওয়া আইসক্রিম যেমন, এই ছবিটিও তেমন!’