শোক কাটাতে নির্জনে কাজল-অজয় দম্পতি
অজয়-কাজলের পরিবারের কাছে গত মাসটা ছিল খারাপ সংবাদে ঠাসা। এক মাস আগে বাবাকে হারিয়েছেন বলিউড তারকা অজয় দেবগন। এরপর আবার কাজলের মা তনুজা অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে অবশ্য তিনি সেরে উঠেছেন। শোক-দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে মানসিক প্রশান্তির জন্য সন্তানদের নিয়ে ভ্রমণে গেলেন অজয়-কাজল।
এখন তারা বেড়াচ্ছেন প্রকৃতির কাছাকাছি, পাহাড়ি কোনো অঞ্চলে। নিজেদের সুন্দর মুহূর্তের ছবিগুলো নিজের ইনস্টাগ্রামে দিয়েছেন কাজল। যদিও কোথায় বেড়াতে গেছেন, সেটা জানাননি তিনি।
পারিবারিক সুন্দর মুহূর্তের বেশ কয়েকটি ছবি দিয়েছেন কাজল। যেখানে একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, কোনো এক পাহাড়ি এলাকায় বিলাসবহুল হোটেলের সুইমিং পুলে ছেলে যুগকে নিয়ে জলবিলাস করছেন অজয় দেবগন। আরেকটি ছবিতে দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে কাজল দম্পতি বড় রাস্তার পাশে। গাড়ির পাশে পুরো পরিবার বন্দী ক্যামেরায়। কাজল, অজয় দেবগন এবং তাদের মেয়ে নিশা দেবগন ও ছেলে যুগ দেবগন। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, অজয়ের গায়ে নীল শার্ট ও কালো জিনস। কাজল পরেছেন নীল রঙের জাম্পস্যুট। কন্যা নিশার পরনে বর্ণিল টি-শার্ট ও কালো জিনস। আর যুগ পরেছে মিলিটারি সবুজ টি-শার্ট ও ধূসর হাফপ্যান্ট। ছবিতে অন্যরা হাস্যোজ্জ্বল হলেও অজয় বরাবারের মতোই গম্ভীর।
এই নির্জনতার শতভাগ উপভোগ করতে চাইছেন কাজল। কেননা অবস্থান না জানিয়ে ইনস্টাগ্রামে এই ছবি শেয়ার করে কাজল লিখেছেন, ‘চারপাশের এত উজ্জ্বলতা নিয়ে ভাবছি...কোনো এক পাহাড়ের কোলে।’
ইনস্টাগ্রামে এই দুটি ছবির আগে নিজের একটি একক ছবি পোস্ট করেছেন কাজল। যেখানে সানগ্লাস চোখে, হলুদ জামা গায়ে হাস্যোজ্জ্বল কাজলকে দেখা যাচ্ছে। ছবিটি তুলেছে তাঁর প্রিয় আলোকচিত্রী ছেলে যুগ দেবগন। ক্যাপশনে মা কাজল ইংরেজিতে যা লিখেছেন, তা বাংলা করলে দাঁড়ায়, ‘আবারও আমার প্রিয় আলোকচিত্রীর কাজ। …আমাকে সুন্দর দেখাতে ওর পরিশ্রমের শেষ নেই!’
১৯৯৯ সালে বিয়ে করেন অজয় দেবগন ও কাজল। এর আগে বেশ কয়েকটি ছবিতে একসঙ্গে কাজও করেছেন তিনি। খুব শিগগির ‘তানাজি: দ্য আনসাং ওয়ারিয়র’ ছবিতে ফের জুটি বাঁধবেন অজয়-কাজল। গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যাবে সাইফ আলী খানকেও। ২০২০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাবে এ ছবি।
গত ২৭ মে অজয়ের বাবা বলিউডের বর্ষীয়ান অ্যাকশন কোরিওগ্রাফার, প্রযোজক ও পরিচালক ভীরু দেবগন প্রয়াত হন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। ওই সন্ধ্যায় মুম্বাইয়ের ভিলে পার্লে শ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
সূত্র: ইন্ডিয়া টাইমস ও ডিএনএ