অভিবাসী শিশুদের দুঃখে দুঃখী সেলেনা

এই ছবি গতকাল ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন সেলেনা গোমেজ
এই ছবি গতকাল ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন সেলেনা গোমেজ

সেলেনা গোমেজ একজন জনপ্রিয় মার্কিন গায়িকা ও অভিনেত্রী। টেক্সাসের গ্র্যান্ড প্রেইরিতে জন্মেছিলেন বলেই কিনা সীমান্তের বন্দীশালার মানুষগুলোর যন্ত্রণা স্পর্শ করে এই তারকাকে। ইনস্টাগ্রামে গতকাল শনিবার নিজের একটি সাদাকালো চমৎকার ছবি শেয়ার করে অভিবাসন-প্রত্যাশী শিশুদের বিষয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন তিনি।

উন্নত জীবনের আশায় অনেকেই নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে মেক্সিকো সীমান্ত পার হয়ে ঢুকে পড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। যারা অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছে, তাদের শনাক্ত করে আটক রাখা হয়েছে। সেখানকার মানুষের জীবন এক কথায় দুর্বিষহ। সেখানে জন্ম নেওয়া শিশুদের পৃথিবী আটকে আছে দেয়াল দিয়ে ঘেরা পুলিশি পাহারার একটি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে।

এই শিশুদের কোনো অপরাধ নেই। তারা কেন একটা স্বাভাবিক জীবন পাবে না? তাদের শৈশব কেন আর দশটা শিশুর মতো স্বাভাবিক হবে না? তাই ইনস্টাগ্রামে সেই ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘বাচ্চারা জেলখানায়। তারা অ্যালুমিনিয়ামের মতো শক্ত চাদর গায়ে চাপিয়ে মেঝেতে ঘুমাচ্ছে। তাদের জন্য মৌলিক চাহিদা বলে কিছু নেই। এই নিষ্পাপ শিশুদের সঙ্গে যেটা ঘটছে, তা একেবারেই অমানবিক। তারা যে জীবনযাপন করছে, আমরা সেটা কল্পনাও করতে পারি না। এটা বন্ধ করতেই হবে।’

সীমান্তবর্তী ক্যাম্পে এক মা আর সন্তান
সীমান্তবর্তী ক্যাম্পে এক মা আর সন্তান

এ সময় সেলেনা গোমেজ মানবাধিকার লঙ্ঘিত হলে কী করতে হবে, তা বলে দেন। একটি নম্বর দিয়ে সেখানে ফোন করার পরামর্শ দেন তিনি।

এই ঘটনায় সেলেনা গোমেজের অনুসারীরা মন্তব্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। কেউ কেউ সেলেনার পোস্ট করা নিজের ছবির সঙ্গে কিছুতেই মেলাতে পারেননি ক্যাপশনের বার্তাকে। লিখেছেন, ‘আপনার বোধ হয় নিজের সুন্দর মুখের ছবির বদলে ওদের বাস্তবতার একটা ছবি পোস্ট করা উচিত ছিল। তাহলে বিষয়টি বুঝতে সুবিধা হতো। আপনি সুবিধাপ্রাপ্তদের একজন। তারা নয়।’

সেলেনা গোমেজ
সেলেনা গোমেজ

একজন সেলেনা গোমেজকে ‘রানি’ সম্বোধন করে তাঁর সঙ্গে একমত প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘তিনিই রানি, যার কাছে ক্ষমতা আছে। আর তিনি সেই ক্ষমতাকে ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য ব্যবহার করেন।’ আরেকজন সহমত প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘এটাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের সর্বোৎকৃষ্ট উপায়।’

কিছুদিন আগে স্টার ট্রেক সিরিজের হিকারু সুলু চরিত্রের বিখ্যাত অভিনেতা জর্জ তাকেই এই বিষয়ে কথা বলেছেন। ১৯৩৭ সালে জন্ম নেওয়া এই অভিনেতাও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপান-মার্কিন ক্যাম্পে আটকা পরেছিলেন। তিনিও শিশুদের এসব ক্যাম্পে আটক জীবনের ঘোর বিরোধী। ডলি লুসিও সেভিয়ার নামে একজন চিকিৎসক কিছুদিন আগে এ রকম কিছু ক্যাম্প ঘুরে দেখেছেন। তাঁর মনে হয়েছে, সেখানে বাচ্চারা যে ধরনের ‘সুবিধা’ পায়, সেগুলো স্রেফ নির্যাতন।