প্রেম ভেঙে যাওয়ায় দারুণ কষ্ট পেয়েছিলাম: কিয়ারা

কিয়ারা আদভানি
কিয়ারা আদভানি

আলিয়া থেকে কিয়ারা হয়ে ওঠার কারণ কী? 

কিয়ারা আদভানি: ২০১৪ সালে আমার অভিষেক হয় হিন্দি ছবি ফাগলি দিয়ে। আর তখনই ইন্ডাস্ট্রিতে আরেক আলিয়া আসেন। দুই আলিয়া নিয়ে গুলিয়ে ফেলার সম্ভাবনা প্রবল। তাই সিদ্ধান্ত নিই যে নিজের নামটা বদলে ফেলব। তখনই নিজেই নিজের নাম ‘আলিয়া আদভানি’ থেকে ‘কিয়ারা আদভানি’–তে বদলে ফেলি। 

এত নাম থাকতে হঠাৎ কিয়ারা নামটাই কেন বাছলেন? 

কিয়ারা: এর পেছনে ছোট্ট একটা গল্প আছে। আঞ্জানা আঞ্জানি ছবিতে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার নাম ছিল কিয়ারা। ছবির একটা দৃশ্যে প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘আই অ্যাম কিয়ারা’। তাঁর বলার সেই স্টাইল আমাকে মুগ্ধ করে। তখন ঠিক করি আমার মেয়ে হলে নাম রাখব ‘কিয়ারা’। কিন্তু তার আগেই নিজের নাম রাখার সুযোগ হয়ে যায়। কিয়ারা রেখে দিই। 

তাহলে এবার মেয়ের কী নাম রাখবেন? 

কিয়ারা: আগে বিয়েটা হোক। তারপর মেয়ে। 

তার মানে কি খুব শিগগিরই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন? 

কিয়ারা: একদমই না। 

এবার ছবির প্রসঙ্গে আসা যাক। কবির সিং খুবই গভীর প্রেমের ছবি। আপনি নিজে কখনো এ রকম ভালোবাসা কি অনুভব করেছেন? 

কিয়ারা: হ্যাঁ। তবে ব্রেকআপ হয়ে গেছে। প্রেম ভেঙে যাওয়ায় দারুণ কষ্ট পেয়েছিলাম। আমার তখন কিছুই ভালো লাগত না। কোথাও যেতাম না। সকালে বিছানা ছেড়ে উঠতে চাইতাম না। 

এখনো আপনাকে নিয়ে প্রেমের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। কতটা সত্যি? 

কিয়ারা: একদমই না। সময় কোথায়? 

শহীদের জন্য চরিত্রটা খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল। আপনার জন্য কতটা? 

কিয়ারা: আমার জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং। তবে আমার কাজটা শহীদ অনেক সহজ করে দিয়েছে। সে এতটাই ন্যাচারাল অভিনেতা যে ওর পাশে দাঁড়িয়ে কাজটা করায় আমার জন্য সব সহজ হয়ে গেছে। 

শহীদের কোন কোন ছবি দেখেছেন? 

কিয়ারা: আমি শহীদের ভক্ত, এটা স্বীকার করতেই হয়। ইশক ভিশক ছবি থেকে ওকে আমার দারুণ লাগে। কিছু কিছু ছবিতে শহীদ অতুলনীয়। হায়দার, কামিনে, উড়তা পাঞ্জাব, যাব উই মেট ছবিগুলো আমার প্রিয়। এমনকি আমার বিবাহ ছবিটাও পছন্দ। জানেন, আমি স্বপ্নেও কখনো ভাবিনি যে শহীদের নায়িকা হয়ে কাজ করব। 

অর্জুন রেড্ডি ছবিটা কি আগে দেখেছেন? 

কিয়ারা: হ্যাঁ, দেখেছি। এটা এমন এক ছবি যা দেখার পর আমার মধ্যে অনেক দিন তার প্রভাব ছিল। আমি সত্যি খুব লাকি যে এই ধরনের প্রেমের ছবিতে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছি। 

সালমান খানের সঙ্গে আপনাদের পরিবারের ঘনিষ্ঠতার কথা শোনা যায়। কোথাও কি এই সম্পর্ক আপনার ক্যারিয়ারকে মজবুত করতে সাহায্য করছে? 

কিয়ারা: আমার প্রথম ছবি ফাগলি দারুণভাবে ফ্লপ করার পর আমি খুব ভেঙে পড়ি। আমার থেকে সব পরিচালকেরা তখন মুখ ফিরিয়ে নেন। অবশ্য আজ তাঁরা ফোন করে আমাকে কাজের প্রস্তাব দিচ্ছেন। আজ আমি যে জায়গায় পৌঁছেছি তার পেছনে অনেক সংগ্রাম আছে। সালমানের সঙ্গে আমার পরিবার ঘনিষ্ঠ বলে বাড়তি কোনো সুবিধা পাইনি। অনেকেই ধরে নিয়েছেন যে সালমানের জন্য আজ নাকি আমি কাজ পাচ্ছি। এটা যদি সত্যি হতো তাহলে ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই আমি ভালো ভালো ছবির প্রস্তাব পেতাম।