দুই বাংলার শিল্পীদের নিয়ে নোবেলের সুনন্দা

নোবেল ও বান্টি
নোবেল ও বান্টি

নতুন গান নিয়ে আসছেন সারেগামাপা-খ্যাত সংগীতশিল্পী মাঈনুল আহসান নোবেল। তাঁর নতুন মৌলিক গানের কাজ শুরু হয়ে গেছে। রেকর্ডিং চলছে। গানের মিউজিক করতে ভারত থেকে এসেছেন দুজন মিউজিশিয়ানস। তাই নোবেলের নতুন গান হতে যাচ্ছে ভারত ও বাংলাদেশের মিউজিশিয়ানদের এক দারুণ সম্মিলন।

সংগীতশিল্পী নোবেল বললেন, ‘আমি সারেগামাপার মাধ্যমে দুই বাংলার মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। তাই আমার নতুন গানে চেষ্টা করেছি দুই বাংলার মিউজিশিয়ানদের সম্মিলন। সবার সহযোগিতা নিয়েই আমি সামনের দিনগুলিতে চলতে চাই।’ তিনি জানান, খুব তাড়াতাড়ি প্রকাশিত হবে ‘সুনন্দা’ নামে একটি নতুন গান। এখানে বাংলাদেশের জাহিন রশীদ ও সাদমান মাতিস বাজিয়েছেন গিটার, কলকাতার বাচস্পতি চক্রবর্তী বাজিয়েছেন বেইজ এবং ফকিরা ব্রান্ডের সদস্য অভিরূপ দাস বান্টি বাজিয়েছেন ড্রামস।

তবে নোবেল জানালেন, গানের কাজ এখনো শেষ হয়নি। আরও কিছু চমক আছে, যা সামনে সবাই জানতে পারবেন। শুধু একটি গানই নয়, আরও বেশ কয়েকটি মৌলিক গান তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন এই শিল্পী।

দেশি-বিদেশি শিল্পীদের দিয়ে মিউজিক করানো প্রসঙ্গে নোবেল বলেন, ‘এখন অনেক গানে প্রোগ্রামিং করে মিউজিক করা হয়। কিন্তু আমি চাই একদম তরতাজা ও রিয়েল মিউজিকের স্বাদ দিতে। এ কারণেই এত কিছু করছি। তবে সব চেষ্টা সার্থক হবে যদি আমার ভক্ত ও শ্রোতাদের ভালো লাগে।’

স্টুডিওতে বাম থেকে জাহিন (গিটারিস্ট), নিলয় (রেকর্ডিং ইঞ্জিনিয়ার), স্টিফেন (টিমমেট), বাচস্পতি (বেসিস্ট) ও নোবেল
স্টুডিওতে বাম থেকে জাহিন (গিটারিস্ট), নিলয় (রেকর্ডিং ইঞ্জিনিয়ার), স্টিফেন (টিমমেট), বাচস্পতি (বেসিস্ট) ও নোবেল

ভারতের টিভি চ্যানেল জি বাংলার সংগীতবিষয়ক রিয়্যালিটি শো সারেগামাপার মাধ্যমে দুই বাংলাতেই জনপ্রিয় হয়েছেন মাঈনুল আহসান নোবেল। এখনো চলছে সেই প্রতিযোগিতা। এ মাসেই প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হবে। শুরুতে বাংলাদেশ থেকে পাঁচজন প্রতিযোগী অংশ নিলেও শেষ অবধি গ্র্যান্ড ফিনালে পর্যন্ত পৌঁছতে পেরেছেন একমাত্র নোবেলই। সারেগামাপার প্রতি পর্বেই নোবেলের গায়কির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিন বিচারক শ্রীকান্ত আচার্য, মোনালী ঠাকুর ও শান্তনু মৈত্র। তবে ফলাফল যা-ই হোক না কেন, সবার ভালোবাসা সঙ্গে নিয়ে এখন শুধু সামনে এগিয়ে যাওয়ার দিন নোবেলের।

গোপালগঞ্জের ছেলে নোবেল বড় হয়েছেন বিভিন্ন জায়গায়। লেখাপড়া করেছেন বাংলাদেশ ও ভারতে। মাথায় গানের পোকা ঢোকে কলকাতায় থাকতেই। মাত্র ৬০০ টাকায় পুরোনো সিগনেচার ব্যান্ডের গিটার কিনে তা দিয়েই শুরু করে দেন সংগীতচর্চা। কলকাতায় মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা শেষ করে ২০১৪ সালে ঢাকায় ফেরেন নোবেল। এভাবে ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা করতে করতে নোবেলের সঙ্গে গানের প্রেম পোক্ত হয়ে যায়।