ফেয়ার অ্যান্ড হ্যান্ডসামের সঙ্গে মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশের রানারআপ

উত্তরার একটি শুটিংবাড়িতে গত শুক্রবার ‘স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা’ ছবির মহরত অনুষ্ঠিত হয়
উত্তরার একটি শুটিংবাড়িতে গত শুক্রবার ‘স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা’ ছবির মহরত অনুষ্ঠিত হয়

‘ইমামি ফেয়ার অ্যান্ড হ্যান্ডসাম ২০১৪’ চ্যাম্পিয়ন এ কে আজাদ আদর আর ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ ২০১৮’ প্রতিযোগিতার প্রথম রানারআপ নিশাত সালওয়া একই চলচ্চিত্রে জুটি হয়েছেন। ছবির নাম ‘স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা’। পরিচালনা করছেন মুস্তাফিজুর রহমান মানিক। গত শুক্রবার উত্তরার একটি শুটিংবাড়িতে মহরত হলো ‘স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা’র। সেদিন থেকেই ছবিটির শুটিং হচ্ছে।

এর আগে আদর নাটক, বিজ্ঞাপনচিত্র আর ওয়েব সিরিজ অভিনয় করেছেন। অভিনয় করেছেন ‘ড্রেসিং টেবিল’ নামের একটি ছবিতেও। ছবিটি পরিচালনা করেন আবু সাইয়ীদ।

আদর আর নিশাত সালওয়া চলচ্চিত্রে একসঙ্গে অভিনয় করছেন
আদর আর নিশাত সালওয়া চলচ্চিত্রে একসঙ্গে অভিনয় করছেন

বাণিজ্যিক ছবিতে কীভাবে সুযোগ পেলেন? আদর বলেন, ‘সৈকত নাসিরের “ট্র্যাপ” নামে একটি ওয়েব সিরিজে শুটিং করছিলাম ইন্দোনেশিয়ার বালিতে। ওই সময় ওয়েব সিরিজের একটি পোস্টার ফেসবুকে ছাড়া হয়। ওই পোস্টার দেখে বালিতে সৈকত নাসিরের মাধ্যমে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন ‘স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা’ ছবির প্রযোজক। বাংলাদেশে আসার পর তাঁর সঙ্গে কয়েকটি মিটিং হয়। এভাবেই “স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা” ছবিতে কাজ করার সুযোগ হলো।’

‘স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা’ প্রেমের গল্প নিয়ে। আদরের বিপরীতে নায়িকা হয়েছেন ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ ২১০৮’-এর প্রথম রানারআপ নিশাত সালওয়া। আদর বলেন, ‘তাঁর সঙ্গে প্রথম কাজ করছি। কাজ শুরু করার আগে কয়েকটি গ্রুমিং করেছি একসঙ্গে। নতুন হলেও ভালো কাজ করছেন সালওয়া।’

‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ ২১০৮’-এর প্রথম রানারআপ হওয়ার পর নাটক নয়, ছোট পর্দায় বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করেন সালওয়া। চলচ্চিত্রে এবারই প্রথম। বড় পর্দায় ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে সালওয়া বলেন, ‘অসাধারণ! সিনেমা অনেক বড় ব্যাপার। যাঁরা অভিনয় করেন, তাঁদের স্বপ্ন থাকে বড় পর্দায় কাজের। আমার সেই স্বপ্ন পূরণ হলো।’

তবে এখনই সিনেমাতে কাজ করার পরিকল্পনা ছিল না তাঁর। বললেন, ‘ছবির গানগুলো আগেই তৈরি করা হয়েছে। প্রযোজক আর পরিচালকের সঙ্গে ছবির গল্প ও চরিত্র নিয়ে কথা বলতে গিয়ে গানগুলো শুনেছি। খুব ভালো লেগেছে। একপর্যায়ে কাজটি করতে রাজি হয়ে যাই।’

ছবির সহশিল্পী আদরের প্রশংসা করে বললেন, ‘শুটিং শুরুর আগে কয়েক দিন আমরা গ্রুমিং করেছি। সেখান থেকেই বোঝাপড়াটা তৈরি হয়েছে। আমার অভিনয়ের অভিজ্ঞতা ছিল না। শুটিংয়ের সময় আদর দারুণ সহযোগিতা করছেন।’

পরিচালক জানান, প্রথম ধাপের কাজ বৃষ্টির কারণে একটু পিছিয়ে গেছে। ছবির আউটডোরের কাজ বেশি। ২৫ জুলাই থেকে আগামী ১৫ আগস্ট পর্যন্ত নড়াইলের বিভিন্ন লোকেশনে টানা শুটিং হবে ছবিটির।