'আমি ছিলাম শুটিংয়ে, সরয়ার ছিল মিটিংয়ে'

লেডিকিলার নাটকের দুই শিল্পী তিশা ও তাহসান । ছবি: অপূর্ব অভি
লেডিকিলার নাটকের দুই শিল্পী তিশা ও তাহসান । ছবি: অপূর্ব অভি
>গেল ঈদে বাংলাভিশনে প্রচারিত হয় মাবরুর রশীদ বান্নার পরিচালনায় ‘লেডি কিলার’ নাটকটি । নাটকটিতে নুসরাত ইমরোজ তিশা একজন প্রতিবাদী চরিত্রে অভিনয় করে দারুণ আলোচিত হয়েছেন। পরে মোশন রক এন্টারটেইনমেন্ট ইউটিউবে চ্যানেল ওঠে নাটকটি। আজ বুধবার দুপুর পর্যন্ত নাটকটির ভিউ সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩২ লাখ। আগামী ঈদের জন্য নাটকটির দ্বিতীয় কিস্তি ‘লেডি কিলার ২’ তৈরি হচ্ছে। সেখানেও অভিনয় করছেন তিশা। এ ছাড়া ঈদের পরপরই শুরু হচ্ছে তাঁর ‘ঢাকা ২০৪০’ ছবির কাজ। গতকাল ছিল তিশা আর মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর বিয়ের ৯ বছর পূর্তি। এসব নিয়েই আলাপচারিতায় তিশা...

গতকাল তো আপনাদের বিবাহবার্ষিকী গেছে । কেমন কাটালেন দিনটি?
তেমন কিছুই করা হয়নি। আমি শুটিং করেছি, সরয়ার তাঁর বিভিন্ন কাজ নিয়ে মিটিং করেছে। সন্ধ্যায় আমার শুটিং ইউনিটে সবাই মিলে উদযাপন করেছে। পাশের আরেকটি হাউস থেকে এসেছিল মম, শ্যামল মওলা, সুমন আনোয়ারেরা এসেছিল। উদযাপন বলতে এই যা। বাসায় কিছুই করিনি।

লেডি কিলার নাটকের সিকুয়েল পর্বের শুটিংয়ের ফাঁকে পরিচালক মাবরুর রশীদ বান্না, তিশা ও তাহসান। ছবি: অপূর্ব অভি
লেডি কিলার নাটকের সিকুয়েল পর্বের শুটিংয়ের ফাঁকে পরিচালক মাবরুর রশীদ বান্না, তিশা ও তাহসান। ছবি: অপূর্ব অভি

গত ঈদে বাংলাভিশনে ‘লেডি কিলার’ নাটকটি প্রচারিত হয়। প্রচারের পর ইউটিউবে নাটকটির বেশ সাড়া পড়ে। এখন পর্যন্ত নাটকটি নিয়ে প্রতিক্রিয়া কী?
ওই সময় থেকেই আলোচিত হচ্ছিল নাটকটি। যাঁরা টেলিভিশনে নাটকটি দেখার সুযোগ পাননি, তাঁরা ইউটিউবে নাটকটি দেখেছেন। আমার দর্শক-ভক্তদের প্রতিক্রিয়ায় বুঝতে পারছি এখনো নাটকটি দেখছেন অনেক দর্শক। শুধু দেশেই না, দেশের বাইরেও নাটকটির প্রতিক্রিয়া ভালো। সম্প্রতি আমি যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়াতে গিয়েছিলাম, প্রবাসী বাঙালিদের মধ্যেও ‘লেডি কিলার’ সাড়া ফেলেছে। অনেকেই বলেছেন, তাঁরা একাধিকবার নাটকটি দেখেছেন।

নাটকটি আলোচিত হওয়ার কারণ কী মনে করেন?
কাজ ভালো হওয়ার কারণেই আলোচিত হয়েছে, হচ্ছে। আর এর পেছনে পরিচালক থেকে পুরো টিমেরই অবদান রয়েছে। তা ছাড়া আমার চরিত্রটা একটু ভিন্ন ছিল। এ ধরনের চরিত্রে আমার কাজ দর্শকের কাছে একেবারেই নতুন ছিল। আমার মনে হয় যার কারণে দর্শকের একটা বাড়তি আগ্রহও ছিল নাটকটি নিয়ে।

এত এত আলোচনা হওয়ার কারণেই কি ‘লেডি কিলার ২’ তৈরি হচ্ছে?
তা তো একটা ব্যাপার আছেই। একটা নাটক বা সিনেমার সিকুয়েল তখনই তৈরি হয়, যখন ওই নাটক বা সিনেমাটি সব মহলে আলোচনা হয়, দর্শক পছন্দ করেন। ‘লেডি কিলার’ নাটকটির বেলায় তাই-ই হয়েছে। দেশ-বিদেশের বাঙালিরা নাটকটি দারুণ পছন্দ করেছেন।

তিশা ছবি সংগৃহীত
তিশা ছবি সংগৃহীত

‘লেডি কিলার’ নাটকটিতে আপনাকে একজন প্রতিবাদী নারীর চরিত্রে দেখা গেছে। চরিত্রটি করতে নিজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
আগে এ ধরনের অভিজ্ঞতা একেবারেই ছিল না। চরিত্রটি করার আগে পরিচালকের সঙ্গে চরিত্রটি নিয়ে বসেছিলাম। এরপর দুজনের আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে চরিত্রটি করার জায়গা তৈরি করেছি। এবং সেটা পর্দায় কতটুকু করতে পেরেছি, তা দর্শকেরা এরই মধ্যে ভালোভাবেই দেখেছেন।

‘লেডি কিলার’-এর গল্প ছিল ইভ টিজিং ও প্রেমের সম্পর্কের। ‘লেডি কিলাল ২-তে কী থাকছে?
সিকুয়েলে ইভ টিজিং থাকছে না। এই কিস্তির গল্পে খাদ্যে ভেজাল মেশানোর বিষয় থাকছে। পাশাপাশি প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টিও এই কিস্তিতে থাকছে। সেই ক্ষেত্রে সম্পর্কের জায়গাটাকে আরও শক্তিশালী দেখানো হয়েছে সিকুয়েলে। এবারও আমার বিপরীতে অভিনয় করছেন তাহসান খান।

শুটিংয়ের ফাঁকে তিশা ও মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বিবাহবার্ষিকী উদযাপন করেন ছবি: ফেসবুক থেকে
শুটিংয়ের ফাঁকে তিশা ও মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বিবাহবার্ষিকী উদযাপন করেন ছবি: ফেসবুক থেকে

আগামী ঈদের জন্য কতগুলো নাটকে অভিনয় করছেন?
এখন উত্তরার লোকেশনে মাবরুর রশীদ বান্নার ‘মিস্টার পরিষ্কার’ নামে একটি ঈদের নাটকের শুটিং করছি। এখানেও আমার সহশিল্পী তাহসান খান। তা ছাড়া চাঁদরাত পর্যন্ত ঈদের নাটকের শিডিউল দেওয়া আছে। সংখ্যা এখনই বলা যাচ্ছে না।

দীপংকর দীপনের ‘ঢাকা ২০৪০’ সিনেমাতে কাজ করার কথা। এরই মধ্যে ঢাকার লোকেশনে ছবির প্রথম ধাপের কাজ শেষ হয়েছে। আপনার অংশের শুটিং কবে?

নাটকের শুটিংয়ে তিশা ও তাহসান। ছবি: অপূর্ব অভি
নাটকের শুটিংয়ে তিশা ও তাহসান। ছবি: অপূর্ব অভি

যত দূর জানি, ঈদের পর থেকে শুটিং শুরু হবে। তবে ছবিটি নিয়ে এখনো পরিষ্কারভাবে বলার কিছু নেই। ছবির গল্প ও আমার চরিত্র নিয়ে পরিচালকের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তবে আমার চরিত্রের পুরো বিষয়টি নিয়ে এখনো আলাপ আলোচনার দরকার আছে। সেই সঙ্গে চরিত্রের কস্টিউমের বিষয়টিও আছে। শুটিংয়ের আগে আগে আরও একবার পরিচালকের সঙ্গে আমার বসতে হবে। এরপর সবকিছু বলা যাবে।

‘শনিবার বিকেল’ ছবিটির সবশেষ খবর কী? 

এই ছবির অভিনেত্রী হিসেবে আমার কাছে সব খবর নেই। পরিচালক ও প্রযোজকেরা ভালো বলতে পারবেন। তবে আমি যতটুকু শুনেছি, তাতে সেন্সর বোর্ড ছবি আটকে দেওয়ার পর প্রযোজক ও পরিচালক মাস দু-এক আগে আপিল করেছিলেন। ছবিটি আপিল বোর্ড দেখেছেন। পরিচালকের কাছ থেকে শুনেছি, সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান নাকি ছবিটি দেখে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন। এটি কোনো একটি পত্রিকায় ছাপাও হয়েছে। এখন সেন্সর থেকে ছাড়পত্র পেয়ে গেলেই ছবিটি দ্রুতই মুক্তি পাবে।