টিজারের আরিয়ান ছবিতে বদলে গেলেন?

‘দ্য লায়ন কিং’ ছবিতে ‘সিমবা’ চরিত্রে আরিয়ান খানের কণ্ঠ নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন করেছেন
‘দ্য লায়ন কিং’ ছবিতে ‘সিমবা’ চরিত্রে আরিয়ান খানের কণ্ঠ নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন করেছেন

‘ম্যায় হু সিমবা। মুফাসা কা বেটা।’

‘দ্য লায়ন কিং’ ছবির ২৯ সেকেন্ডের টিজারের শুরুতেই আরিয়ান খানের কণ্ঠে শোনা যায় বাক্যটি। যেন একটা পিতা-পুত্র মুহূর্ত। আরিয়ান খানের চেহারা থেকে শুরু করে কণ্ঠস্বর, সবখানেই রয়েছে বাবার ছাপ। টিজারে আরিয়ানের কণ্ঠ শুনে একটা মুহূর্তের জন্য যে কেউ দ্বন্দ্বে পড়ে যাবে—এটা কি শাহরুখ খানেরই কণ্ঠ? কিছুক্ষণ মন দিয়ে শোনার পর বাবা আর ছেলের কণ্ঠস্বরের সূক্ষ্ম পার্থক্য বোঝা যাবে।

গতকাল ১৯ জুলাই ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলেগু—এই চার ভাষায় মুক্তি পেয়েছে ‘দ্য লায়ন কিং’। সেখানে হিন্দি ভাষায় মুফাসা আর সিমবা চরিত্রে কণ্ঠ দিয়েছেন শাহরুখ খান আর আরিয়ান খান। এরপর অভিযোগ ওঠে, এত বড় ছবিতে বিনা পরীক্ষায়, শুধু বাবার নাম ভাঙিয়ে সুযোগ পেয়েছেন আরিয়ান। ছবি মুক্তির পরও খুব সহজে পার পাচ্ছেন না আরিয়ান। টিজারে তাঁর কণ্ঠ আর মূল ছবিতে তাঁর কণ্ঠ নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।

টিজারের পর হলে বসে ছবিতে আরিয়ান খানের কণ্ঠ শুনে আরেকবার দ্বন্দ্বে পড়েন দর্শকেরা। তাঁরা নাকি টিজারের কণ্ঠ আর ছবির কণ্ঠ মেলাতে পারছেন না। মনে হচ্ছে টিজারের আরিয়ানের কণ্ঠ আর ছবিতে আরিয়ানের কণ্ঠ এক নয়। কিন্তু কেন?

কারণ, টিজারে আপনি যে কণ্ঠ শুনছেন, ততক্ষণে সিমবা অনেকখানি বড় হয়ে গেছে। টিজারে যখন আরিয়ানের কণ্ঠ শোনেন, সেটা ‘হাকুনা মাতারা’ গানের পরের দৃশ্য। আর যখন ছোটবেলার সিমবার সঙ্গে টিজারে শোনা বড়বেলার সিমবাকে মেলান, তখনই বাঁধে গন্ডগোল। হলে তো দর্শকেরা একে অন্যের মুখ-চাওয়াচাওয়ি শুরু করে দিয়েছিলেন। একসঙ্গে সবার মনেই উঁকি দিয়েছিল একই প্রশ্ন। মানুষের মতো সিংহ শিশু থেকে পরিণত হলে কণ্ঠ বদলে যায়!

এরপরও চলেছে আরিয়ানের কণ্ঠ নিয়ে সমালোচনা। একদল বলেছে, এমনিতে আরিয়ানের কণ্ঠ তাঁর বাবার মতো। কিন্তু সিনেমায় শুনতে কেমন যেন ‘ফ্ল্যাট’ লেগেছে। আরিয়ানের সিমবা নাকি সফল হতে পারেনি। নেতা হওয়ার জন্য যেমন কর্তৃত্বপরায়ণ কণ্ঠ দরকার, সেটা নাকি আরিয়ানের নেই। কিছু কিছু জায়গায় নাকি তাঁর কণ্ঠ বৈচিত্র্য হারিয়েছে। অনেকে আবার এই সমালোচনার সমালোচনা করে বলেছেন, শুধু শুধু এক পক্ষ জোর করে আরিয়ানের কণ্ঠের সমালোচনা করছে, যেন শাহরুখের ছেলে হয়ে সে ভীষণ অপরাধ করে ফেলেছে।

অনেক সমালোচক আবার প্রশংসাও করেছেন। তবে বেশির ভাগ দর্শক-সমালোচক ‘নালা’র কণ্ঠের প্রশংসা করেছেন। একমাত্র তিনিই নাকি এই ছবিতে পুরোটা সময় কণ্ঠ দিয়ে কর্তৃত্ব বজায় রাখতে পেরেছেন। আরিয়ানের কণ্ঠ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া হলেও সার্বিকভাবে এই ছবির রেটিং এসেছে ৫-এর ভেতর ৩।