মানুষ এভাবেও জীবনযাপন করতে পারে!

রুনা খান
রুনা খান
>

গত শুক্রবার ঢাকার দুটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে অভিনয়শিল্পী রুনা খান অভিনীত ‘কালো মেঘের ভেলা’ ছবিটি। নির্মলেন্দু গুণের উপন্যাসে ছবির পরিচালক মৃত্তিকা গুণ। সরকারি অনুদানে নির্মিত ও ইমপ্রেস টেলিফিল্ম প্রযোজিত এই ছবিসহ বিভিন্ন প্রসঙ্গে কথা হলো তাঁর সঙ্গে।

কত দিন পর আপনার অভিনীত সিনেমা মুক্তি পেল?
দুই বছর হবে। বদরুল আনাম সৌদের গহীন বালুচর ছবির পর এটি মুক্তি পেয়েছে।

এই ছবিতে অভিনয়ের ক্ষেত্রে কোন বিষয়টা প্রাধান্য পেয়েছিল?
দুটো বিষয়—প্রথমটি নির্মলেন্দু গুণের উপন্যাস। এত বড় মাপের একজন সাহিত্যিকের গল্পে কাজ করাটা আনন্দের। দ্বিতীয়ত, প্রস্তাবিত চরিত্রটি আমার ভীষণ পছন্দের ছিল।

ছবিতে আপনার চরিত্রটি সম্পর্কে জানতে চাই।
চরিত্রের নাম রোজি। সমাজের একেবারে অবহেলিত একটা অংশের প্রতিনিধিত্ব করি। রেললাইনের ধারে এক বস্তিতে থাকি, সবজি বিক্রি করি। ছেলে টোকাই হিসেবে বড় হয়। এই সিনেমার মূল চরিত্র আসলে দুখু, আমার ছেলে। পরিচালক দেখাতে চেয়েছেন, সাত-আট বছরের একটি বাচ্চার মধ্য দিয়ে তাঁর মনোজগৎ, মায়ের সঙ্গে সম্পর্ক, মায়ের গুরুত্ব, অভাব, প্রয়োজন এবং জীবনের সংগ্রাম।

কোথায় কোথায় শুটিং করেছেন?
তেজগাঁও বস্তি, কমলাপুর রেলস্টেশন, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, পুবাইল এবং বারহাট্টায় কাজ করেছি।

বস্তিতে শুটিংয়ের সময়কার উপলব্ধি কেমন ছিল?
রীতিমতো আঁতকে উঠি, মানুষ এভাবেও জীবনযাপন করতে পারে! আমি নিজেও মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। ছোট শহরে বড় হয়েছি। কৃষিজীবী মানুষের জীবনও দেখেছি। কিন্তু বস্তির জীবনটা অমানবিক, এভাবেও মানুষ বাঁচতে পারে, তা রীতিমতো বিস্ময়।

শেষ তিন প্রশ্ন
পছন্দের তিন পরিচালকের নাম শুনতে চাই।
অমিতাভ রেজা, তৌকীর আহমেদ, অনিমেষ আইচ ও গোলাম সোহরাব দোদুল চারজনের নামই বলতে হয়।

যাঁর অভিনয় দেখে হিংসা হয়?
জয়া আহসান।

পছন্দের অভিনেতা?
মোশাররফ করিম।