রাজনীতির মাঠে প্রীতি জিনতা!

প্রীতি জিনতা
প্রীতি জিনতা

তবে কি অভিনয় জগৎকে বিদায় জানিয়ে এবার রাজনীতির মাঠে নামতে যাচ্ছেন বলিউডের অভিনেত্রী প্রীতি জিনতা! বলিউডের অভিনেতা সঞ্জয় দত্তের বোন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়া দত্তের সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য তারকা মুখের সন্ধান করছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। এরই মধ্যে বিজেপি’র টিকিটে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য প্রস্তাবও পেয়েছেন প্রীতি জিনতা।
প্রীতির দূর সম্পর্কের আত্মীয় বিজেপি’র জেনারেল সেক্রেটারি রাজীব প্রতাপ রুডি। তিনি প্রীতিকে দলে টানতে সব রকম চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি এক খবরে এমনটিই জানিয়েছে মুম্বাই মিরর।
অবশ্য রাজীব প্রতাপের কাছ থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পর তা ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন প্রীতি। হাতে অনেক কাজ রয়েছে বলে অজুহাত দেখান ৩৯ বছর বয়সী এ তারকা অভিনেত্রী। কিন্তু কোনো অবস্থাতেই হাল ছাড়তে রাজি নয় বিজেপি।
‘দিল সে’, ‘দিল চাহতা হ্যায়’, ‘কোয়ি মিল গয়া’, ‘কাল হো না হো’, ‘ভীর-জারা’, ‘সালাম নমস্তে’, ‘কাভি আলবিদা না কেহ না’সহ অসংখ্য ব্যবসাসফল ছবি উপহার দিলেও গত কয়েক বছর ধরেই ভালো কোনো ছবির কাজ প্রীতির হাতে আসেনি। শেষ পর্যন্ত নিজের প্রযোজিত ‘ইশক ইন প্যারিস’ ছবির মাধ্যমে ২০১৩ সালে বলিউডে ফিরতে চেয়েছিলেন প্রীতি।
‘ইশক ইন প্যারিস’ ছবির চিত্রনাট্য রচনার পাশাপাশি তাতে অভিনয়ও করেন প্রীতি। কিন্তু ছবিটি মুক্তির পর বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে। ১৫০ মিলিয়ন রুপি বাজেটের ছবিটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আয় করে মাত্র ২০ মিলিয়ন রুপি। এর ফলে প্রচণ্ড আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয় প্রীতিকে। বক্স অফিসে ছবিটির এমন ভরাডুবির পর বহু ধার-দেনা করতেও বাধ্য হন প্রীতি।

‘ইশক ইন প্যারিস’ ছবির কিছু অংশের সংলাপ লেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল নির্মাতা, চিত্রনাট্যকার ও সংলাপ রচয়িতা আব্বাস টায়ারওয়ালাকে। কিন্তু ছবি মুক্তির পরও প্রীতির কাছ থেকে পারিশ্রমিকের অর্থ না পাওয়ার অভিযোগে মামলা ঠুকে দেন আব্বাস। আব্বাস তাঁর মামলার অভিযোগে দাবি করেন, প্রীতি তাঁকে ১৮.৯ লাখ রুপির চেক দিয়েছিলেন। কিন্তু চেক বাউন্স করেছে।
অবশ্য প্রীতির আইনজীবী রত্নেশ্বর ঝাঁ দাবি করেছিলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংলাপ লেখা শেষ করতে পারেননি আব্বাস। তিনি যখন সংলাপটি হস্তান্তর করেন তখন দেখা যায় তা যথেষ্ট মানসম্মত নয়। আব্বাসের লেখা সংলাপ ছবিতে ব্যবহারও করা যায়নি। এ ছাড়া চেক বাউন্সের জন্য প্রীতি জিনতা দায়ী নন। কারণ, চেকটি তিনি নিজ হাতে দেননি। সেটি দেওয়া হয়েছিল তাঁর অফিস থেকে।
চেক বাউন্স মামলায় প্রীতিকে বারবার আদালতে হাজিরা দেওয়ার আদেশ দেওয়া হলেও তিনি তা মানেননি। পরপর চারবার তিনি আদালতের আদেশ অমান্য করেন। এ জন্য তাঁকে জরিমানাও করা হয়েছিল। এসব কারণে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে প্রীতির বিরুদ্ধে অজামিনযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন আন্ধেরি আদালত। অবশ্য কিছুদিন আগে চেক বাউন্স মামলা থেকে প্রীতিকে অব্যাহতি দিয়েছেন বোম্বে উচ্চ আদালত।