তারকারা প্রস্তুত পরিবার নিয়ে

পবিত্র ঈদুল আজহার বাকি মাত্র কয়েক দিন। এ সময়ে ঈদের ছবি ঘিরে দর্শকের আগ্রহ যেমন থাকে, তেমনি তারকারাও নিজেদের ছবি দেখতে যান প্রেক্ষাগৃহে। কেউ পরিবারসহ, কেউবা বন্ধুদের নিয়ে। সেই গল্প বললেন এবারে ঈদে মুক্তির জন্য অপেক্ষায় থাকা ছবিগুলোর তারকারা।

মায়ের উৎসাহে বড় পর্দায় নাম লিখিয়েছিলেন শাকিব খান। শাকিব খানের ছবির দর্শকও তাঁর মা। শুধু মা-ই নন, বাবা, একমাত্র ছোট বোন ও তাঁর স্বামী—সবারই আবদার থাকে প্রেক্ষাগৃহে ছবি মুক্তি পেলেই পরিবারসহ দেখার। আর সবার জন্য টিকিটের ব্যবস্থার দায়িত্ব পড়ে এই নায়কের ঘাড়েই। এবার ঈদে মুক্তি পাবে শাকিব খান অভিনীত ছবি মনের মতো মানুষ পাইলাম না। শাকিব বলেন, ‘২০ বছরে আমার অনেক ছবি মা-বাবা, একমাত্র বোন প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে উপভোগ করেছেন। আমার প্রযোজিত ছবির ক্ষেত্রে বন্ধু ও আত্মীয়দের একটা বায়নাও থাকে। তাঁদের চাওয়া, আমিও যেন তাঁদের সঙ্গী হই। গত ঈদে মুক্তি পাওয়া পাসওয়ার্ড ছবির ক্ষেত্রেও এমনটা ঘটেছে। কোনো দিন ৩৫, আবার কোনো দিন ৪০ জনের টিকিটের ব্যবস্থা করতে হয়েছে। এই ছবি দেখতেও ঈদের পরদিন কোনো প্রেক্ষাগৃহে মা-বাবা, ছোট বোন ও পরিবারের কয়েকজনকে নিয়ে হাজির হব। আব্রাম একটু বড় হলে তাকেও নিয়ে যেতাম।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের পাট চুকিয়ে হয়েছিলেন সংবাদ পাঠিকা। এরপর নাম লেখান সিনেমাতেও। চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী প্রথম সিনেমা বসগিরি দিয়ে রীতিমতো বাজিমাত করেন। তাতে কী! বড় দুই বোন কিছুতেই এটি মন থেকে মেনে নিতে পারেননি। চলচ্চিত্রে আসার কারণে কথা বলাও বন্ধ করে দেন তাঁরা। মনের মতো মানুষ পাইলাম না ছবিটি সেই দুই বোনকে নিয়েই দেখতে চান বুবলী।
বুবলী বলেন, ‘আমি যখন সিনেমায় কাজ শুরুর সিদ্ধান্ত নিই, বড় দুই বোন আমার ওপর ভীষণ রাগ করেন। আট মাস কথাও বলেননি। এতে আমার ভীষণ মন খারাপ হয়। আস্তে আস্তে তাঁদের মান ভাঙাতে পারি। আজ পর্যন্ত যে কয়টি ছবি মুক্তি পেয়েছে, কোনোটিই তাঁরা দেখেননি। এই ঈদে দুই বোনকে নিয়েই প্রেক্ষাগৃহে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছি।’

রক্ত, ধ্যাততেরিকি ও ককপিট নামের তিনটি ছবি মুক্তি পেয়েছিল চিত্রনায়ক রোশানের। এর মধ্যে একটি যৌথ প্রযোজনা, আরেকটি ভারতের এবং অন্যটিতে দুই নায়কের একজন তিনি। এবার বেপরোয়া ছবিতে একক নায়ক হিসেবে দেখা যাবে তাঁকে। এক বছর ধরে তিন দফা বেপরোয়া ছবিটি মুক্তির ঘোষণা দেওয়ার পর এই ঈদে অবশেষে মুক্তি পাচ্ছে। নিজের অভিনয়জীবনের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত ছবি এটি। এ ছবি নিয়ে উচ্ছ্বাসেরও শেষ নেই রোশানের। ছবিটি তিনি দেখতে যাবেন পরিবারসহ। রোশান বলেন, ‘আমার জীবনের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত ছবি এটি। এই ছবি দেখার জন্য পরিবারের সবাইও ভীষণ আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে। আমি আম্মু-আব্বুসহ ছবিটি দেখতে যাব। সঙ্গে থাকবে দুই আপুও।’

চিত্রনায়িকা ববির বাবা মারা গেছেন গেল রোজায়। সে ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ববি অভিনীত নোলক। শোক সামলে ছবিটি দর্শকের কাছে আগ্রহী করে তুলতে ঢাকা ও ঢাকার বাইরের প্রেক্ষাগৃহে ছুটে গেছেন তিনি। বেপরোয়া ছবিটি নিয়েও তেমনই পরিকল্পনা আছে ববির। তিনি বলেন, ‘আমার মা হজে গেছেন। বোন থাকেন অস্ট্রেলিয়ায়। আমার এই ছবির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ছবিটি নিয়ে অনেক পরিকল্পনা করছে। আমি এবার আমার “মনের মানুষ”কে নিয়ে ছবিটি দেখতে যাব।’
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ জানিয়েছেন, এর মধ্যে মাত্র দুটি ছবি মুক্তির ব্যাপারে নিশ্চয়তা পাওয়া গেছে। এর বাইরে আর কোনো ছবি মুক্তি পেতে যাচ্ছে বলে তাঁর জানা নেই।