হৃতিক রোশনের নানা আর নেই!

১৯২৭ সালের ২৪ জানুয়ারি ব্রিটিশ ভারতের পাঞ্জাবে জন্মেছিলেন প্রযোজক ও পরিচালক জয় ওম প্রকাশ। আর আজ সকালে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে ৯৩ বছর বয়সে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ভারতের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের মৃত্যুর সংবাদ শুনে ঘুমিয়ে, ঘুম থেকে উঠে বলিউড জানল, আর নেই ওম প্রকাশ।

জয় ওম প্রকাশের মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করে অভিনয়শিল্পী দীপক পারাসার প্রথম টুইট করেন। আজ সকাল সাড়ে নয়টায় তিনি লেখেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানানো যাচ্ছে যে ঘণ্টাখানেক আগে মিস্টার ওম প্রকাশ মারা গেছেন। তিনিও আমাদের ছেড়ে আমার মামাজি মিস্টার মোহন কুমারের সঙ্গে স্বর্গে যোগ দিলেন। ভারতীয় চলচ্চিত্রে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।’ এর কিছুক্ষণ পরেই বলিউড তারকা টুইট করেন, ‘প্রখ্যাত পরিচালক ও প্রযোজক ওম প্রকাশজি আর নেই। তিনি অত্যন্ত ভদ্র আর ভালো হৃদয়ের মানুষ ছিলেন। তিনি আমার প্রতিবেশী হৃতিক রোশনের নানা। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করছি।’

ওম প্রকাশের মেয়ে পিংকি রোশনের বিয়ে হয় পরিচালক ও প্রযোজক রাকেশ রোশনের সঙ্গে। তাই এই দম্পতির দুই সন্তান—বলিউড তারকা হৃতিক রোশন ও সুনয়না রোশনের নানা হন তিনি।

নানার ৯২তম জন্মদিনে হৃতিক ও তাঁর ছেলে
নানার ৯২তম জন্মদিনে হৃতিক ও তাঁর ছেলে

ওম প্রকাশ সুপারস্টার রাজেশ খান্না অভিনীত ‘আপ কি কাসাম’ (১৯৭৪) ও ‘আঁখির কৌন?’ (১৯৮৫) ছবির পরিচালক। অন্যদিকে, তাঁর পরিচালিত ‘আপনাপন’ (১৯৭৭), ‘আশা’ (১৯৮০), ‘আপনা বানা লো’ (১৯৮২), ‘আদমি খিলোনা হ্যায়’ (১৯৯৩) ছবিগুলোয় নায়কের ভূমিকায় ছিলেন জিতেন্দ্র। তা ছাড়া তাঁর প্রযোজিত ‘আজ কা পাঞ্চালি’ (১৯৬১), ‘আয়ে মিলন কি বেলা’ (১৯৬৪), ‘আয়ে সাওয়ান ঝুম কে’ (১৯৬৬), ‘আঁখির কৌন?’ ছবিগুলো বক্স অফিসে দেখেছিল সফলতার মুখ।

মজার ব্যাপার হচ্ছে, জয় ওম প্রকাশ বিশ্বাস করতেন, ইংরেজি বর্ণমালার প্রথম বর্ণ ‘এ’ তাঁর চলচ্চিত্রের জন্য সৌভাগ্যবান। তাই তাঁর অনেক ছবির নামের শুরু করেছিলেন ‘এ’ দিয়ে। তাঁর পরিচালিত ‘আসরা প্যায়ার দা’ (১৯৮৩) পাঞ্জাবি ভাষার অত্যন্ত জনপ্রিয় চলচ্চিত্র। ‘আন্ধি’ (১৯৭৫) ছবিটিও তাঁর প্রযোজিত। এটি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়লেও কুড়িয়েছে সমালোচকদের প্রশংসা। ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি ভারতীয় ফিল্ম ফেডারেশনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

ঘরের ভেতর ওম প্রকাশ ও হৃতিক রোশন
ঘরের ভেতর ওম প্রকাশ ও হৃতিক রোশন