পাঁচ গান নিয়ে 'নকশীকাঁথা'

ব্যান্ডদল ‘নকশীকাঁথা’র সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত
ব্যান্ডদল ‘নকশীকাঁথা’র সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত

পাঁচটি নতুন গান প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে ব্যান্ডদল ‘নকশীকাঁথা’ । এর মধ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে থাকছে বিশেষ একটি গান। বাকিগুলো ঈদ উপলক্ষে প্রকাশ করছে তারা। গানগুলো হচ্ছে, ‘প্রেম নদীতে তুফান ভারী’, ‘ভালবাসার মালা গেঁথে’, ‘থামলে গাড়ি যাবে ছাড়ি’, ‘বাংলা ভাষার দুর্গতি’ ও ‘মহামানব’।

দলের প্রধান ও ভোকাল সাজেদ ফাতেমী জানান, পাঁচটি গানের মধ্যে ‘প্রেম নদীতে তুফান ভারী’ গানটিতে প্রেমিকদের জন্য সতর্কবার্তা আছে । মেহেদি রাসেলের কথায় ‘ভালোবাসার মালা’ গানটি নিতান্তই বন্ধুত্ব ও প্রেমের। মৃত্যু-ভাবনা নিয়ে তৈরি করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী গীতিকবি ইশতিয়াক রুপুর কথায় ‘থামলে গাড়ি যাবে বাড়ি’ গানটি। দম বন্ধ হয়ে যাওয়া মাত্রই জীবনের সব ডাক ও হাতছানি মিছে হয়ে যাওয়ার কথা আছে এ গানে। ‘বাংলা ভাষার দুর্গতি’ গানটির বিষয়বস্তু বাংলা ভাষার অসংগতি। ‘মহামানব’ গানটি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে তৈরি করা। পুঁথি, জারি ও কীর্তনের মিশ্রণে তৈরি করা হয়েছে গানটি।

এর মধ্যে ‘প্রেম নদীতে’, ‘বাংলা ভাষার দুর্গতি’ ও ‘মহামানব’ গান তিনটি লেখার পাশাপাশি সব গানের সুর করেছেন সাজেদ ফাতেমী। সংগীতায়োজন করেছেন ব্যান্ড দলটির অন্যতম দুই সদস্য জে আর সুমন ও রোমেল হাসান। সাজেদ ফাতেমী জানান, চারটি গানের ভিডিওর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মিউজিক ভিডিও নির্দেশনা দিয়েছেন প্রতিশ্রুতিশীল নির্মাতা ইমরান আহমেদ। ঈদ উপলক্ষে এক মাসের মধ্যে গানগুলো পর্যায়ক্রমে প্রকাশ পাবে।

২০০৭ সালের ২৫ জানুয়ারি শুরু হয়েছিল ‘নকশীকাঁথা’র যাত্রা। নকশীকাঁথা গানের দলের প্রধান ও ভোকাল সাজেদ ফাতেমী বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই গানের দিকে ঝোঁক আমার। সামাজিক সংকট তুলে নিয়ে আসি গানে গানে। তবে গানের সুরটা থাকে লোকজই। সেই ধরন আরও জোরদার করতে নকশীকাঁথা ব্যান্ড গঠন করি। ২০০৮ সালে আমাদের প্রথম অ্যালবাম বের হয় “নজর রাখিস” নামে। এরপর দীর্ঘ ৮ বছরের বিরতিতে ২০১৬ সালে বের হয় দ্বিতীয় গানের অ্যালবাম “নকশীকাঁথার গান”।’ ২০০৭ সালে ব্যান্ডের মাধ্যমে একত্রে কাজ শুরু করলেও ফাতেমী জানালেন, তাঁর গানের সঙ্গে পথচলা শুরু সেই শৈশবে। তবে শুধু গানই তাঁদের মূল উদ্দেশ্য নয়। তাঁরা গাইতে চান শিকড়সন্ধানী গান। সাজেদ ফাতেমী বলেন, ‘আমরা শিকড় নিয়ে কাজ করছি। এতেই সবচেয়ে বেশি আনন্দ পাই। বাংলাদেশের লোকসংগীত বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত করতে সামান্য হলেও ভূমিকা রাখতে চাই। তাই নকশীকাঁথার মায়ায় এভাবে জড়িয়ে আছি।’