কেন অশ্রুসজল মৌ

নাচ ও মডেলিংয়ের জনপ্রিয় তারকা সাদিয়া ইসলাম মৌ
নাচ ও মডেলিংয়ের জনপ্রিয় তারকা সাদিয়া ইসলাম মৌ

দীর্ঘদিন পর ছোট পর্দায় দেখা যাবে নাচ ও মডেলিং জগতের জনপ্রিয় তারকা সাদিয়া ইসলাম মৌকে। ছোট পর্দায় তারকাদের টক শোতে তাঁকে খুব একটা পাওয়া যায়নি কখনো। তবে এবার ঈদের দিন মাছরাঙা টেলিভিশনের ‘স্টার নাইট’ অনুষ্ঠানে ব্যক্তি মৌকে খুঁজে পাবেন তাঁর ভক্তরা।

অনুষ্ঠানে কথা বলতে গিয়ে প্রিয়জনদের সারপ্রাইজ ও মায়াভরা মন্তব্য শুনে অনুষ্ঠানের বিভিন্ন সময় অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন মৌ। কৌতুকের ছলে মৌ বলেন, অভিনয় করতে গিয়েও গ্লিসারিনের আশ্রয় নিতে হয়। তবে কাছের মানুষদের নিয়ে মন খুলে কিছু বলতে গেলে ‘আমার আমি’ বেরিয়ে আসে। ২০১৭ সালের ২৯ ডিসেম্বর বোন মিথিকে হারিয়েছেন মৌ। বোনকে জীবনের সেরা বন্ধু মানতেন তিনি।

বাবা প্রয়াত সংগীতশিল্পী সাইফুল ইসলাম ও নৃত্যগুরু রাহিজা খানম ঝুনুকে নিয়েও অসংখ্য স্মৃতি তাঁর। গুরুকে ‘আম্মা’ বলে ডাকতেন মৌ। চলচ্চিত্রেও দেশ-বিদেশ থেকে বেশ কিছু চলচ্চিত্রের প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি। তবে সে সময় নিজেকে বড় পর্দায় দেখবেন, এমন কোনো ইচ্ছে হয়নি তাঁর। তবে এখন ভালো চিত্রনাট্য পেলে পছন্দসই চলচ্চিত্রে অবশ্যই নিজেকে দেখতে চান মৌ।

এ পর্যন্ত আসার পেছনে মৌয়ের সময়নুবর্তিতা, কাজের প্রতি আন্তরিকতাকেই বড় করে দেখেন তাঁর সহকর্মীরা। এ প্রসঙ্গে মৌ বলেন, ‘অভ্যাসটি আমার পরিবার থেকে পাওয়া। ছোটবেলায় বাবা মহড়ার সময় জিজ্ঞাসা করলে আমি হয়তো বলতাম, ১০ টা-সাড়ে ১০টায় যাব। বাবা সংশোধন করিয়ে বলতেন, “যেকোনো একটা সময় বলো। যদি ১০টায় কোথাও যাওয়ার সময় থাকে, ১০টার মধ্যেই চলে যাও। কাজের জায়গায় সব সময় সৎ থাকো।”’

অনুষ্ঠানের বিভিন্ন সময় অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন মৌ
অনুষ্ঠানের বিভিন্ন সময় অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন মৌ

ঈদের এই অনুষ্ঠানের উপস্থাপক মারিয়া নূর। তাঁর বিভিন্ন প্রশ্নের সাবলীলভাবেই উত্তর দেন মৌ। হলিউড ক্ল্যাসিক ‘টাইটানিক’-এর বাংলা রিমেক হলে সেখানে নিজের বিপরীতে সেরা মডেল নোবেলকেই চাইবেন মৌ। রুম্মান রশীদ খানের গ্রন্থনা ও পরিকল্পনায় অজয় পোদ্দারের প্রযোজনায় ‘স্টার নাইট’-এর এই বিশেষ পর্বটি প্রচারিত হবে আজ ঈদের দিন, সোমবার রাত ৮টায়, মাছরাঙা টেলিভিশনে।

১৯৮৯ সালে মিডিয়ায় মডেলিং শুরু করা এই তারকা এক দশকের বেশি সময় ধরে মডেলিং জগতে রাজত্ব করে আজও মানুষের মনে জায়গা করে আছেন। ছোটবেলা থেকেই এক সাংস্কৃতিক আবহে বেড়ে উঠেছেন তিনি। মাত্র সাড়ে তিন বছর বয়সে মৌ যখন স্কুলে ভর্তি হলেন, তখনই তাঁকে নাচের স্কুলে ভর্তি করে দিয়েছিলেন তাঁর মা। মৌয়ের মা রাশা ইসলাম ছিলেন বাংলাদেশের ‘স্টিল অ্যাড মডেলিংয়ের’ পথিকৃৎ এবং বাংলাদেশের প্রথম মডেল ও নৃত্যশিল্পী।

নৃত্যশিল্পীর পাশাপাশি নিজেকে মডেল হিসেবে পরিচিত করতে বেশি সময় লাগেনি তাঁর। মৌ ১৯৯৪ সালে প্রথম অভিনয় করেন টেলিভিশন নাটক ‘অভিমানে অনুভবে’-এ। মডেলিং এবং নৃত্যে তিনি সবলীল। আবার অভিনয় করেন ঠিক বেছে বেছে।