নিজের ছবিই তাঁদের প্রথম পছন্দ

শাকিব খান, বুবলী, রোশান, ববি
শাকিব খান, বুবলী, রোশান, ববি

সাদা একটি গাড়ি থামে প্রেক্ষাগৃহের উল্টো দিকের রাস্তায়। কিছুক্ষণ পর শুরু হবে সিনেমার প্রদর্শনী, তাই সেখানে দর্শকের ভিড়। এই ভিড়টুকু দেখার জন্যই গাড়ির ভেতর থেকে তাকিয়ে থাকেন ছবির হিরো। রোদচশমার আড়ালে ঢাকা থাকে খ্যাতি, জনপ্রিয়তা ও সিনেমাপ্রেমীদের ভালোবাসায় জ্বলজ্বলে চোখ।

ঢালিউডের হিরো শাকিব খান এখন আর প্রেক্ষাগৃহে যেতে পারেন না। পাছে সেলফি তুলতে গিয়ে বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হয়! তবে ছবি মুক্তির পর রাজধানী ও এর আশপাশের এলাকার হলগুলো পরিদর্শন করেন তিনি। গাড়ির ভেতর বসে হলের বাইরের দর্শকদের জটলা দেখেন। ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশের ১৫৪টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে তাঁর ও বুবলীর ছবি মনের মতো মানুষ পাইলাম না।

ঢাকার মধুমিতা, শ্যামলী ও টঙ্গীর চম্পাকলী হলগুলো ঘুরে নিজের ছবিটি নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন শাকিব খান। তিনি বলেন, ‘ছবিটি প্যানেলে বসে দেখেছিলাম। কাছের মানুষেরা, পরিচালকদের অনেকে দেখে প্রশংসা করেছেন। আর এখন তো দর্শক-প্রতিক্রিয়া জানতে পারি ফেসবুক ফ্যানপেজ থেকে।’ অন্যদের ছবি দেখেন কি না—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে দেখার সুযোগ খুব কম। তবে পরে অন্য মাধ্যমে দেখে নিই।’

প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে নিজের ছবি দেখেছেন মনের মতো মানুষ পাইলাম না ছবির নায়িকা বুবলী। তিনি বলেন, ‘ঈদের তৃতীয় দিন মধুমিতায় বেলা তিনটার শোতে গিয়েছিলাম। হাউসফুল ছিল। ছবি নিয়ে ঈদের দিন থেকেই অনেক এসএমএস পাচ্ছি। ছবিতে নায়িকার এন্ট্রি হয় গ্ল্যামারাস। কিন্তু এ ছবিতে আমার এন্ট্রি ছিল একেবারে সাদামাটা। এটাই দর্শকদের আনন্দ দিয়েছে।’ ঈদের অন্য ছবি বেপরোয়া দেখেননি বুবলী। তবে দেখবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন। তিনি মনে করেন, প্রতিটি ছবিই হলে গিয়ে দেখা উচিত।

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত বেপরোয়া ছবির নায়িকা ববি। চলাফেরায় রয়েছে বাধ্যবাধকতা। এর মধ্যেও তিনি গিয়েছিলেন অভিসার সিনেমা ও সিনেপ্লেক্সে। জানালেন দর্শকদের কাছ থেকে বেশ ভালো প্রতিক্রিয়া পেয়েছেন তিনি। ববি বললেন, ‘আমার ও রোশানের রসায়ন পছন্দ করেছেন দর্শক। অভিসার হলে আমাকে চিনতে পেরে দর্শকেরা ঘিরে ধরেছিলেন। পুলিশ এসে পরে আমাকে উদ্ধার করেছে।’ জানালেন, একটু সুস্থ হলেই শাকিব-বুবলীর ছবিটাও দেখে ফেলবেন তিনি।

অনেক দিন আটকে থাকার পর মুক্তি পেয়েছে বেপরোয়া। এ নিয়ে আনন্দে উদ্বেলিত নায়ক রোশান। ছবিটি যে দর্শকেরা ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করবেন, সেটা ভাবতেই পারেননি তিনি। রোশান বলেন, ‘গত দুই দিনে ছবিটা নিয়ে অন্তত ৪০টি ফোনকল পেয়েছি। গত তিন দিনে আটটি ছবির অফার পেয়েছি কেবল বেপরোয়ার কারণে।’

সিনেমা হলে নিজের ছবি দেখতে গিয়ে অন্য রকম এক অভিজ্ঞতা হয়েছে রোশানের। এ পর্যন্ত তিনটি হলে গেছেন তিনি। অভিসার,

মতিমহল আর নারায়ণগঞ্জের গুলশান সিনেমা হলে। একটি হলের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে তিনি বলেন, ‘শো শুরুর পর লুকিয়ে হলে ঢুকেছিলাম। আমাদের নিয়ে এক পাশে বসিয়ে দিয়েছিল হল কর্তৃপক্ষ। এক দর্শক চিনে ফেলার পর চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করে দেন। এতে কিছুক্ষণের জন্য প্রদর্শনী বন্ধ করে দেওয়া হয়। শুরু হয় ছবি তোলা।’

যথারীতি রোশানও দেখেননি শাকিবের ছবি। তিনি বলেছেন, ‘শাকিব ভাই আমার প্রিয় মানুষ। এখনো তাঁর ছবিটা দেখিনি। তবে শিগগিরই দেখতে যাব।’