'ট্রাম্পের উচিত কান পেতে শোনা'

নিউইয়র্কে জাতিসংঘের প্রধান কার্যালয়ের বাইরে হাভিয়ের বারদেম
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের প্রধান কার্যালয়ের বাইরে হাভিয়ের বারদেম

পরিবেশকর্মী হিসেবে অস্কারজয়ী স্প্যানিশ অভিনেতা হাভিয়ের বারদেমের খ্যাতি আছে। গতকাল সোমবার তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের প্রধান কার্যালয়ে প্রতিনিধিদের সামনে বিশেষ ভাষণ দেন। সেই ভাষণে উঠে এসেছে সাগর রক্ষার প্রয়োজনীয়তা ও করণীয়। আর জাতিসংঘের যে প্রতিনিধিদলের সামনে তিনি বক্তব্য দিলেন, তাঁরা ২০২০ সালের মধ্যে সমুদ্র আইনের খসড়া চুক্তি করবেন বলে আশা করা যায়। বাদ যাবে না পানি, বনসহ প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহারবিধি।

বক্তৃতার শুরুতেই তিনি বলেন, ‘আমার সামনে এতগুলো খালি চেয়ার দেখে আমার দুশ্চিন্তা হচ্ছে।’

৫০ বছর বয়সী এই অভিনেতা বলেন, ‘সাগর ধ্বংস করার মূল কুশীলব আমরাই। আর যখনই সাগর রক্ষার বিষয়টি সামনে আসে, তখনই আমরা অন্ধ আর বধির হয়ে যাই। অতীতের যেকোনো সময়ের থেকে সাগর ও সাগরের প্রাণীরা এখন সবচেয়ে খারাপ সময় পার করছে। সাগর আর সাগরের নিচের স্বর্গকে নরকে পরিণত করেছি আমরাই। সমুদ্র রক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে আমাদের। বিশেষ করে এই ঘরে আমার সামনে বসে থাকা মানুষদের।’

৫০ বছর বয়সী হাভিয়ের বারদেম প্রতিনিধিদের সতর্ক করে বলেন, সদস্যরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা যদি সমুদ্র রক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে অবহেলা করেন, সেটি হবে মারাত্মক ভুল।

এ সময় হাভিয়ের বারদেমের কাছে জানতে চাওয়া হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্দেশে তিনি কী বলতে চান। ট্রাম্প ২০১৫ সালের প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে স্বাক্ষর করেননি। অর্থাৎ, বিশ্বের তাপমাত্রা কমাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোনো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে না।

হাভিয়ের বারদেম বলেন, ‘কেউ বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির দায় এড়াতে পারে না। কেউ প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে নিজের, নিজেদের গা বাঁচাতে পারে না।’ তিনি আরও মনে করেন, ‘ট্রাম্পের মতো বিশ্বনেতার উচিত পরিবেশ আমাদের কী বার্তা দিচ্ছে, তা মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। পরিবেশ প্রতিনিয়ত আমাদের সতর্কবাণী দিচ্ছে। ট্রাম্পের উচিত, কান পেতে শোনা, অনুধাবন করা।’

২০০৭ সালে ‘ভিকি ক্রিস্টিনা বার্সেলোনা’ ছবিতে একসঙ্গে অভিনয় করতে গিয়ে আরেক অস্কারজয়ী স্প্যানিশ অভিনয়শিল্পী পেনেলোপে ক্রুজের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান হাভিয়ের বারদেম। ২০১০ সালের জুলাই মাসে তাঁরা বিয়ে করেন। আট এবং ছয় বছর বয়সী দুই সন্তানের এই জনকের মতে, সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য, আগামীর জন্য এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি জরুরি বিশ্বের পরিবেশের প্রতি নজর দেওয়া। তিনি গভীরভাবে ও যৌক্তিকভাবে এই সত্যি অনুভব করেন।