আফজালের ১১ জন নায়িকা সরাসরি, ভিডিওবার্তায় ২৫ জন

তানভীন সুইটি, আফজাল হোসেন ও তানিয়া আহমেদ
তানভীন সুইটি, আফজাল হোসেন ও তানিয়া আহমেদ

নন্দিত অভিনয়শিল্পী আফজাল হোসেনের সহশিল্পী অনেকে। সহশিল্পীদের কারও বাবাও আবার আফজাল হোসেনেরই সহকর্মী। দর্শক ও গল্পের চাহিদায় এখনো তিনি নায়ক। মায়েদের যেমন পছন্দের শিল্পী তিনি, মেয়েদেরও। কয়েক দশক ধরে অভিনয়জগৎ আলোকিত করে চলা এই অভিনয়শিল্পীকে নিয়ে নতুন একটি অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করেছেন ফারিয়া হোসেন। ‘আফজাল ও তাঁর নায়িকারা’ নামের এই অনুষ্ঠানে যাঁরা তাঁর বিপরীতে জুটি হয়েছেন তাঁদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। সময়স্বল্পতার কারণে অনেকে স্টুডিওতে এসে আড্ডা দিতে না পারলেও ভিডিওবার্তায় অংশ হয়েছেন।

তিন দিন ধরে তেজগাঁওয়ের চ্যানেল আই স্টুডিওতে একে একে এমি রহমান, চম্পা, মৌসুমী, আফসানা মিমি, শম্পা রেজা, সাদিয়া ইসলাম মৌ, তানিয়া আহমেদ, বিপাশা হায়াত, তানভীন সুইটি, তারিন ও অপি করিম অভিনয়শিল্পী, চিত্রশিল্পী ও পরিচালক আফজাল হোসেনের সঙ্গে আড্ডা দেন।

ফারিয়া হোসেন জানান, এই অনুষ্ঠানের জন্য তাঁর দুই বছরের পরিকল্পনা ছিল।

বিপাশা হায়াত ও আফজাল হোসেন
বিপাশা হায়াত ও আফজাল হোসেন

ফারিয়া বলেন, ‘এই অনুষ্ঠান হবে সাত পর্বের। তিন দিনে আমরা শুটিং শেষ করেছি। প্রতি পর্বে আফজাল হোসেনের সঙ্গে থাকবেন তাঁর বিপরীতে বিভিন্ন সময় অভিনয় করেছেন এমন কয়েকজন অভিনেত্রী। ২৫ জন অভিনেত্রী ভিডিওবার্তার মাধ্যমে জানাবেন আফজাল হোসেনের নায়িকা হওয়ার অভিজ্ঞতা, স্মৃতি।’

বাবা আবুল হায়াত সূত্রে আফজাল হোসেনকে আংকেল ডাকেন বিপাশা। কিন্তু অভিনয়শিল্পী বিপাশা এই আংকেলের বিপরীতেও নায়িকা হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘তাঁর সঙ্গে নানান ইস্যু নিয়ে কথা হয়। তাঁর ছেলের সঙ্গে আমার ছেলেরও ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব। তাঁকে আমার ছেলের বন্ধুর বাবা হিসেবে যেমন দেখি, সহশিল্পী হিসেবেও দেখি। চারুকলার শিল্পী হিসেবেও তাঁর সঙ্গে আমার একটা যোগাযোগ আছে। তাঁর কবিতাও পছন্দ করি। তাঁকে এককথায় বর্ণনা করা যাবে না। তাঁর সব কাজের ভেতরে কবিতা আছে।’

শম্পা রেজা, আফজাল হোসেন ও আফসানা মিমি
শম্পা রেজা, আফজাল হোসেন ও আফসানা মিমি

দীর্ঘ অভিনয়জীবনে আফজাল হোসেনের সঙ্গে মাত্র দুটি নাটকে অভিনয় করার সুযোগ হয়েছে। একটিতে শুধুই সহশিল্পী, অন্যটিতে পরিচালক ও সহশিল্পী হিসেবে পেয়েছেন। মিমির নিজের পরিচালিত প্রথম ছবিতেও অতিথি চরিত্রে পাশে পেয়েছেন আফজাল হোসেনকে। আফজাল হোসেনের সঙ্গে অভিনয় করার সময় ভীষণ নার্ভাস থাকলেও আড্ডায় বেশ প্রাণবন্ত থাকেন বলে জানান আফসানা মিমি। বললেন, ‘অনুষ্ঠানে এসে কী চমৎকার আড্ডা দিলাম। অথচ তাঁর সঙ্গে অভিনয়ের সময় বরাবরই নার্ভাস ছিলাম। এতটাই নার্ভাস ছিলাম যে, প্রথম নাটকে কী করেছিলাম কিছুই জানিনি। পরে নাটকটি যখন টেলিভিশনে দেখি, তখন অবশ্য খুব মজা লেগেছে।’

মিমি বলেন, ‘আফজাল হোসেনকে নানানভাবে দেখেছি। যখন কিশোর বাংলার পাঠক ছিলাম, তখন তাঁর অলংকরণের সঙ্গে পরিচয়। যখন দর্শক হয়েছি তখন আফজাল-সুবর্ণার নাটকই দেখেছি। আমার কাছে নায়ক বলতে আফজাল হোসেন। মডেল হিসেবেও কাজ করেছি।’

আফসানা মিমির জীবনে একটি অসাধারণ ঘটনা ঘটেছে। মিমি বলেন, ‘আমি যে ছবিটা বানাতে চেয়েছিলাম, সেটাতে ছোট্ট একটা চরিত্রে আফজাল হোসেন অভিনয় করেছেন শুধু উৎসাহ দেওয়ার জন্য। তিন দিনের শুটিংয়ের ফাঁকে অনেক ছবি তুলেছিলেন। পরে সেসব ছবি ডকুমেন্টেশন করে একটা অ্যালবাম করে বছরখানেক আগে আমাকে উপহার দেন! কী যে অপূর্ব সেই অ্যালবাম।’

যাঁকে নিয়ে এই আয়োজন সেই আফজাল হোসেন বলেন, ‘অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা আমার ভালো লেগেছে।’

অনুষ্ঠানটি প্রযোজনা করছেন রেহানা সামদানি। চ্যানেল আইয়ের জন্য তৈরি হওয়া এই অনুষ্ঠানের প্রচারের দিনক্ষণ শিগগিরই জানানো হবে।