ভূত হয়ে আসছেন জয়া

জয়া আহসান। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
জয়া আহসান। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

মেয়েটি মারা গেছে ১৯৪৭ সালে। ঘটনাটি তখনই শেষ। এবার গল্পের শুরু ২০১৯ সালে। একটি শিশু বেড়াতে গেছে মামাবড়িতে। ছেলেটি প্রতিদিন অদ্ভুত অদ্ভুত স্বপ্ন দেখে। সে সারা বাড়ি ঘুরে বেড়ায়। নানা কিছু নিয়ে তার যত কৌতূহল। ঘুরতে ঘুরতে সে এই বাড়িতে একটি ‘মেয়ে ভূত’ আবিষ্কার করে। সে ভূতকে দেখতে পায়। তাদের আলাপ হয়। এই ভূতের সঙ্গে শিশুটির বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। সে এই ভূতের নাম দেয় ‘ভূত পরী’।

শিশুটির সামনে চলে আসে ৭২ বছর আগের ঘটনা। জানা যায়, মেয়েটির মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না। তাকে হত্যা করা হয়। এরপর সে ভূত হয়ে গেছে। এবার নিজের হত্যাকারীকে শাস্তি দিতে চায় সে। এই শিশুর সাহায্যে সেই হত্যাকারীকে সামনে নিয়ে আসে। পরিচালক সৌকর্য ঘোষাল বললেন, ‘ভূতের সীমাবদ্ধতা আছে। সে কোনো কিছু ধরতে পারে না। তাই তার অন্যের সাহায্য প্রয়োজন। আবার মানুষের মতোই তার রাগ হয়, হিংসা হয়, অভিমান হয়।’

‘ভূত পরী’ ছবির পোস্টার
‘ভূত পরী’ ছবির পোস্টার

এমনই গল্প নিয়ে সৌকর্য ঘোষাল তৈরি করছেন নতুন ছবি। নাম ‘ভূত পরী’। ছবিতে এই ভূত পরীর চরিত্রে অভিনয় করবেন বাংলাদেশ ও ভারতের বাংলা ছবির এ সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় নায়িকা জয়া আহসান। আর শিশুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিশান্তক মুখোপাধ্যায়। ছবিতে আরও আছেন ঋত্বিক চক্রবর্তী, সুদীপ্তা চক্রবর্তী, শান্তিলাল মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। ছবির শুটিং হবে বর্ধমানের একটি গ্রামে। ছবির সিনেমাটোগ্রাফি করছেন আলোক মাইতি এবং সংগীত পরিচালক নবারুণ বসু।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে সৌকর্য ঘোষাল আরও জানালেন, ভূতের গল্প হলেও ‘ভূত পরী’ ছবিতে ফ্যান্টাসি আছে। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় আর লীলা মজুমদারের ভূতের গল্পের স্বাদ পাওয়া যাবে এই ছবিতে। এই ছবি দেখে দর্শক যেমন ভয় পাবেন, তেমনি ফ্যান্টাসির স্বাদও পাবেন। এটা নতুন ধরনের ছবি।

জয়া আহসান। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
জয়া আহসান। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

সৌকর্য ঘোষাল এর আগে ‘পেন্ডুলাম’ ও ‘রেনবো জেলি’ ছবি তৈরি করে আলোচিত হন।

এদিকে ২০১৭ সালে ‘সেরা আঞ্চলিক ভাষার সিনেমা’ বিভাগে ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছে জয়া আহসান অভিনীত কৌশিক গাঙ্গুলির আলোচিত ছবি ‘বিসর্জন’। এবার জয়া আহসান অভিনীত আরেকটি ছবি ‘সেরা আঞ্চলিক ভাষার সিনেমা’ বিভাগে ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছে। সৃজিত মুখার্জি পরিচালিত এই ছবির নাম ‘এক যে ছিল রাজা’।