ছেলেদের পারফিউম ব্যবহার করি: আলিয়া ভাট

আলিয়া ভাট
আলিয়া ভাট

আলিয়া ভাট। এখন যে কজন নায়িকা বলিউডকে শাসন করছেন, তাঁদের একজন। বলিউডের প্রখ্যাত পরিচালক মহেশ ভাট আর অভিনেত্রী সোনি রাজদানের কন্যা প্রতিটি ছবিতে নিজেকে ভাঙছেন আবার গড়ছেন। চলচ্চিত্র, ব্যক্তিগত জীবন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, প্রেম, বিয়ে—তিনি যা-ই করেন, অথবা করেন না, তাই-ই খবর হচ্ছে। সম্প্রতি ‘ফিল্মফেয়ার’ আর ‘বিবিসি এশিয়ান নেটওয়ার্ক’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁর শিল্প ও ব্যক্তিসত্তা নিয়ে কথা বলেছেন। তাঁরই কিছু অংশ দেওয়া হলো এখানে।

আপনি নাকি ছেলেদের পারফিউম ব্যবহার করেন?
হ্যাঁ। মেয়েদের পারফিউমে কেমন যেন ফলের গন্ধ। ফলের গন্ধ আমার ভালো লাগে না। আমার পছন্দ মসলার গন্ধ। তাই ছেলেদের পারফিউম ব্যবহার করি। অর্জুন কাপুরের পারফিউমের রুচি খুব ভালো।

আপনার অপছন্দের সহকর্মী কে?
বরুণ ধাওয়ান। ও খুব খুঁতখুঁতে। চরিত্র নিয়ে খুব বেশি নাড়াচাড়া করে। আর সেটা সেটের অন্যদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেয়। যেমন আমাদের জীবনের প্রথম শট, ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’ ছবির ‘রাধা’ গানের জন্য সিদ্ধার্থ মালহোত্রা, বরুণ ধাওয়ান আর আমাকে একবার ঘুরে হাসতে হবে। এটুকুই। প্র্যাকটিস শট। সেই প্র্যাকটিস শটের জন্যও বরুণ অনেকবার প্র্যাকটিস করেছে। সে কোন হাসিটা দেবে। এভাবে, নাকি ওভাবে। তার কাছে কোনোটাই ঠিক পছন্দ হচ্ছিল না। সেই শট ১৪ বার নেওয়া হয়েছে শুধু ওর জন্য।

আলিয়া ভাট
আলিয়া ভাট


টক দই খুব ভালোবাসেন?
হ্যাঁ, খুব। টক দই আমাকে ভেতর থেকে শান্ত করে। খুব সুন্দর অনুভূতি দেয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপনাদের একটা ফ্যামিলি গ্রুপ আছে।
ভাটক্যাম্প। আমি, বাবা, মা, ভাই আর বোন। ওখানে প্রতিদিন একটা করে উদ্ধৃতি লিখতে হয়। যেমন আজ আমার বাবা (মহেশ ভাট) লিখেছেন, ‘স্বপ্ন আর বাস্তবতার মধ্যে যে ফারাক, সেখানেই চলচ্চিত্রের বাস।’

আলিয়া ভাট
আলিয়া ভাট


অভিনেত্রী না হলে কী হতেন?
আমি তো অভিনেত্রীই হতাম। সব সময়ই জানতাম, আমি অভিনয় করব। আর কী হতাম...(খানিক ভেবে)। আমি সব সময়ই সৃষ্টিতে বিশ্বাসী। হয়তো উদ্যোক্তা হওয়ার চেষ্টা করতাম। রেস্টুরেন্ট দিতাম।

আপনার ভেতরের অন্ধকার দিকটা কী?
সবার ভেতরেই অন্ধকার দিক থাকে। মানুষের ভেতর যদি অন্ধকার না থাকে, তাহলে সে নিজের ভেতরের আলোকিত অংশকে উদ্‌যাপন করবে কীভাবে? আমারও আছে। তা বলা যাবে না।

টুইটার বা ইনস্টাগ্রামে কাকে ফলো করতে ভালো লাগে?
ঋষি কাপুর। তিনি কী পোস্ট করলেন, তা দেখার জন্য আমি মুখিয়ে থাকি। কারদিশিয়ান পরিবারের সবাইকেও টিক, টিক, টিক। ফলো, ফলো, ফলো। ভালো লাগে।

আলিয়া ভাট
আলিয়া ভাট


সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপনাকে নিয়ে ট্রল হয়, সেগুলো কীভাবে দেখেন?
আমার তো মজাই লাগে। আমি দেখি, হাসি; ভুলে গিয়ে কাজে মন দিই। এই যেমন একজন লিখেছেন, ‘আজ আইনস্টাইনের জন্মদিন। কাল আলিয়া ভাটের। একটা দিন কত পার্থক্য গড়ে দেয়!’ দেখলাম, মজা পেয়েছি, হেসেছি। স্ক্রল করে পরের পোস্টে চলে যাই।

এমন কোনো ছবি আছে, যেখানে আপনি অভিনয় করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সময়ের অভাবে বা অন্য কোনো কারণে করা হয়নি। অন্য কেউ করেছেন। পরে আফসোস হয়েছে।
আমি যে কাজটা করতে চাই, সেটা কিছুতেই ছাড়ি না। যেমন গত বছর একসঙ্গে ‘গালি বয়’, ‘কলঙ্ক’ আর ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ ছবির কাজ চলেছে। আমি কাজ ছাড়া থাকতে পারি না। একবার রান্না শিখতে চেয়েছি। কিন্তু তার জন্য আমাকে অন্তত এক মাস ছুটি নিতে হবে। কিন্তু আমি ছয় দিনের বেশি অভিনয় ছাড়া থাকতে পারি না। এক সপ্তাহও না। একসময় পর্দায় জুহি চাওলা, কারিশমা কাপুর, কারিনা কাপুর, প্রীতি জিনতা, মাধুরী দীক্ষিতদের দেখতাম, আর ‘গালি বয়’ ছবির গানের মতো বলতাম, ‘আপনা টাইম আয়েগা’ (আমার দিন আসবে)। আর এখন আমার সময়। আমাকে তো কাজ করতেই হবে। আমি প্রতিদিন কাজে যাই। আমার মনে হয়, কাজে না, পার্টিতে যাচ্ছি। প্রতিটি মুহূর্ত আমি অনুভব করি। আমি খুব ভাগ্যবান আর খুব পরিশ্রমী। আমার মনেই পড়ে না, গত বছর কখন ঘুমিয়েছি।

যখন খারাপ সময় আসে?
খারাপ সময় বলে কিছু নেই। খারাপ সময় আসে বলেই ভালো সময়গুলোকে ভালো বলে মনে হয়। পরদিন ঘুম থেকে ওঠে সূর্যের আলোটা চোখে পড়লে ভালো লাগে। খারাপ সময় জীবনের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা দেয়। খারাপ সময় তাই ভালো।