টম হ্যাঙ্কস আসবেন বলে

টরন্টো চলচ্চিত্র উৎসবের লালগালিচায় হলিউড অভিনেতা টম হ্যাঙ্কস
টরন্টো চলচ্চিত্র উৎসবের লালগালিচায় হলিউড অভিনেতা টম হ্যাঙ্কস

আরও একবার উল্লাসধ্বনি শোনা গেল, সচরাচর যেমনটা শোনা যায়। কিন্তু এবারের উল্লাসধ্বনি সহজে থামে না। চলতেই থাকে। ভিড়ের মধ্যে কেউ একজন গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে ওঠে, টম! সম্মিলিত সেই চিৎকার যেন স্লোগানে রূপ নেয়। লালগালিচার সামনে অপেক্ষমাণ সৌভাগ্যবান আলোকচিত্রীরা তাঁদের ফোকাস দেখে নেন শেষবারের মতো। তিনি এলেন বলে!

সাদা দাড়ি, চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা। কে বলবে, তিনিই সেই ফরেস্ট গাম্প! হাতখানেক দূরে দাঁড়িয়ে। ফরেস্ট গাম্প, ফিলাডেলফিয়া, সেভিং প্রাইভেট রায়ান, ক্যাস্ট অ্যাওয়ে, ইউ হ্যাভ গট মেইল, দ্য টার্মিনাল মনে রাখার মতো কত কত ছবি তাঁর। পরপর দুবার সেরা অভিনেতা হিসেবে অস্কার জেতার অসামান্য রেকর্ড যাঁর। সেসবের বাইরে ‘দিলখোলা মানুষ’ বলেও খ্যাতি আছে টম হ্যাঙ্কসের। মনে হলো, কথা মিথ্যা নয়। কারও প্রশ্নে আপত্তি নেই তাঁর। হাসিমুখে সময় নিয়ে উত্তর দিয়ে যাচ্ছিলেন। পাশের এক সাংবাদিকের কী এক কথায় এমন মজা পেলেন যে রীতিমতো হাত-পা নেড়ে গাইতে শুরু করলেন ‘ট্যাট ট্যাট টারা’। আর সেখানেই মনে হয় বিপত্তিটা বাধল। তার সঙ্গী-সাথিরা সম্ভবত বুঝে গেলেন, বেশি হয়ে যাচ্ছে। হাত দেখিয়ে ইশারা করলেন টমকে। ঝট করে নিজেকে সামলে নিয়ে হাঁটতে শুরু করলেন তিনি। অপেক্ষমাণ বহু সাংবাদিকের হৃদয় ভেঙে দিয়ে ঢুকে গেলেন রয় থমসন হলে। সেখানে শুরু হয়ে গেছে তাঁর অভিনীত এ বিউটিফুল ডে ইন দ্য নেইবারহুড ছবির প্রদর্শনী।

একদিকে টম হ্যাঙ্কস, আরেক দিকে ড্যানিয়েল ক্রেগ। একদিকে জেনিফার লোপেজ তো আরেক দিকে ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট। রবার্ট প্যাটিনসন, ওয়েসলিœস্নাইপস, এডি মারফি নাকি নিকোলাস কেজ। কাকে ফেলে কার কাছে যাই? টরন্টো শহরে প্রতি সপ্তাহান্তই যেন একেকটা আনন্দ উৎসব। শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে উৎসব জেগে উঠবে, সেটা বেশ বোঝা যাচ্ছিল। কিন্তু কে জানত, সাপ্তাহিক ছুটি কাটাতে হলিউডের তারকারা সব টরন্টো চলচ্চিত্র উৎসবের লালগালিচায় এসে হাঁটবেন।