রণবীর আমার প্রথম আর শেষ 'ড্রিম বয়': নুসরাত

আয়ুষ্মান ও নুসরাত। ছবি: আইএএনএস
আয়ুষ্মান ও নুসরাত। ছবি: আইএএনএস
>

সোনু কে টিটু কি সুইটি ছবির সাফল্যের পর আবার ফিরছেন নুসরাত। এবার তাঁকে দেখা যাবে রাজ সান্ধিল্যা পরিচালিত ড্রিম গার্ল ছবিতে। তবে এই ছবির ড্রিম গার্ল তিনি নন। ড্রিম গার্ল-এ তাঁর নায়ক আয়ুষ্মান খুরানা! হাসি–মজায় ভরপুর এ ছবি মুক্তি পাবে ১৩ সেপ্টেম্বর। ভারতের মুম্বাইয়ের এক স্টুডিওতে প্রথম আলোর মুখোমুখি বলিউড অভিনেত্রী নুসরাত ভারুছা

ড্রিম গার্ল ছবির কোন কোন বিষয় আপনাকে আকর্ষণ করেছে?

নুসরাত ভারুছা: সবার আগে বলব, ছবির সংলাপ আমার দারুণ লেগেছিল। এটা ভিন্নধারার কমেডি ছবি। ছবির কনসেপ্ট দুর্দান্ত। একটা ছেলে মেয়ের গলায় কথা বলে। আর তাকে কেউ না দেখে শুধু কণ্ঠ শুনে তাঁর প্রেমে পড়ে যায়। 

আপনি কখনো কারও কণ্ঠ শুনেই প্রেমে পড়েছেন কি?

নুসরাত: হা, হা, হা। না, আমার জীবনে এ রকম ঘটনা কখনো ঘটেনি। আমি ফোনে কথা বলতে খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি না। ফোনে ২০ মিনিটের বেশি কথা বললে আমার মাথা ঘোরে। অথচ আমি সামনে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলতে পারি। কারণ সামনে বসে কথা বললে তাঁর অভিব্যক্তি দেখা যায়। কিন্তু ফোনে কথা বললে সেই অনুভূতিটা পাওয়া যায় না। 

ড্রিম গার্লজুড়ে শুধুই আয়ুষ্মান। তাই এ ছবিটা করার আগে কোথাও মনে হয়নি আপনার চরিত্রটা কম গুরুত্বপূর্ণ?

নুসরাত: দেখুন, ছবির নাম ড্রিম গার্ল। আর সেটা হলেন আয়ুষ্মান। তাই ছবিতে ওর প্রভাব বেশি থাকবেই। তবে সিনেমার সংজ্ঞা এখন বদলেছে। দর্শকের রুচি বদলেছে। এখন দর্শক ভালো গল্প, চরিত্র আর ভালো কাজের কদর করেন। তাই ছবি মানেই নায়ক-নায়িকা, সেই ধারণা বদলে গেছে। এখন চরিত্রটাই সবাই মনে রাখে। আমিও তাই ছবির গল্প পছন্দ হলেই সেটা করতে রাজি হই। পর্দাজুড়ে আমি কতক্ষণ থাকব, সেটা আমার কাছে অর্থহীন। 

ছবির নাম যদিও ড্রিম গার্ল। আপনার ‘ড্রিম বয়’ কেউ কি আছে?

নুসরাত: আমার প্রথম আর শেষ ‘ড্রিম বয়’ (স্বপ্নের পুরুষ) রণবীর কাপুর। অভিনেতা হিসেবে তিনি দুর্দান্ত। এর বাইরে আমি তাঁর ব্যাপারে বেশি জানি না। তাঁর অভিনয় আমাকে মুগ্ধ করে। আমি বুঝে উঠতে পারি না যে রণবীর এত ভালো অভিনয় কীভাবে করে! আমি অবাক হয়ে যাই।

রণবীরের সঙ্গে দেখা হয়েছে কখনো?

নুসরাত: তা তো হয়েছেই। রণবীরকে প্রথম দেখে আমি কথা বলতে পারিনি। গতবার আমার জন্মদিনের পার্টিতে রণবীর এসেছিলেন। ১৫ মিনিটের মতো ছিলেন। আমি তখন ঘোরের মধ্যে ছিলাম। 

বলিউডে আপনার অভিনয়জীবন ছোট অথচ সুন্দর। এ ব্যাপারে আপনি কী বলবেন?

নুসরাত: ভাগ্য আমার সঙ্গে ছিল। আমি বিশ্বাস করি, আপনার ভাগ্যে যা লেখা আছে তার বেশি আপনি পাবেন না। আর যে সময়ে লেখা আছে, তখনই সেটা হবে। সময়ের আগে কিছু হবে না। আপনি যত চেষ্টা করুন না কেন। আর আমি মানুষ হিসেবে খুব সাধারণ। আমার কোনো অবাস্তব লক্ষ্য নেই। 

বলিউডে আসার ক্ষেত্রে পরিবারকে কতটা পাশে পেয়েছেন?

নুসরাত: পরিবারের জন্যই আজ আমার সবকিছু। পরিবার পাশে ছিল বলেই আমি মুম্বাইয়ে আসার সাহস পেয়েছি। একা আসতে হলে সাহস পেতাম না। শুটিং শেষে বাড়ি ফিরলে আমার ৮৫ বছরের বৃদ্ধা দাদি আমাকে গরম গরম চা বানিয়ে দেন। মা আমার জন্য নানান পদ রান্না করেন। ড্রাইভার না এলে বাবা ড্রাইভ করে আমাকে সেটে নিয়ে যান।