'শহীদের বয়স ওর সম্পদ'

শহীদ কাপুর ও মীরা রাজপুত। ছবি: মীরা রাজপুতের ইনস্টাগ্রাম পেজ থেকে নেওয়া
শহীদ কাপুর ও মীরা রাজপুত। ছবি: মীরা রাজপুতের ইনস্টাগ্রাম পেজ থেকে নেওয়া

‘কবির সিং’ যত বড় হিটই হোক না কেন, শহীদ কাপুরের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন ২০১৫ সালের ৭ জুলাই। সেদিন এই বলিউড তারকা সাত পাকে বাঁধা পড়েন মীরা রাজপুতের সঙ্গে। আর এখন তাঁরা বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় জুটি। মজার বিষয় হলো, যখন তাঁরা বিয়ে করেন, তখন শহীদ কাপুরের বয়স ৩৫ আর মীরা রাজপুতের ২১। তাঁদের বয়সের ফারাক ১৪ বছরের!

শহীদ কাপুর ও মীরা রাজপুত। ছবি: মীরা রাজপুতের ইনস্টাগ্রাম পেজ থেকে নেওয়া
শহীদ কাপুর ও মীরা রাজপুত। ছবি: মীরা রাজপুতের ইনস্টাগ্রাম পেজ থেকে নেওয়া

‘ভোগ’ ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাই অবধারিতভাবে উঠে এসেছে এই বয়সের প্রসঙ্গ। মীরা রাজপুতের মতে, বয়সের পার্থক্য কখনোই তাঁদের সম্পর্কের মাঝে বাগড়া দেয়নি। বরং শহীদ কাপুরের এই বয়সকে তিনি দেখছেন অভিজ্ঞতার ভান্ডার হিসেবে। এই তারকা অভিনেতার বয়সের অভিজ্ঞতা তাঁর সংসার জীবনকে সহজ করেছে। তিনি সব সময় এই অভিজ্ঞতার সুবিধা ভোগ করেন।

মীরা রাজপুতের জন্ম আর বড় হওয়া দিল্লিতে। তাই অল্প বয়সে দিল্লি থেকে মুম্বাই চলে আসার ফলে অসংখ্য বন্ধু আর পরিবারের মানুষজনকে ছেড়ে আসতে হয়েছে। মন দিতে হয়েছে সংসারে। কতটা কঠিন ছিল? মীরা বললেন, ‘দিল্লি থেকে মুম্বাই চলে আসা আমার জীবনের একটা আনন্দের ঘটনা। জীবনের প্রতি তাঁর (শহীদ কাপুরের) উৎসাহ, চাঞ্চল্য আমার খুব ভালো লেগেছে। এটিই আমাকে সবকিছুর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া সহজ করে দিয়েছে।’

মীরা রাজপুত ও শহীদ কাপুর। ছবি: মীরা রাজপুতের ইনস্টাগ্রাম পেজ থেকে নেওয়া
মীরা রাজপুত ও শহীদ কাপুর। ছবি: মীরা রাজপুতের ইনস্টাগ্রাম পেজ থেকে নেওয়া

মীরা আরও বলেন, ‘সবক্ষেত্রেই আমার চেয়ে ওর অভিজ্ঞতা বেশি। এটা ওর সম্পদ। আমার আমার সম্পদ আমার সজীব দৃষ্টিভঙ্গি। দুইয়ে মিলে আমরা জীবনকে চমৎকারভাবে উপভোগ করতে জানি। কোলাবার “দ্য টেবিল”-এ আমরা আমদের বিবাহবার্ষিকী উদযাপন করলাম। খেয়ে, গল্প করে। বিয়ের পর আমি জীবনকে আরও বেশি উপভোগ করতে শিখেছি। আর বিয়ের পর আমি প্রথম রিপড জিনস পরেছি।’

অন্যদিকে শহীদ কাপুরও শেয়ার করেছেন তাঁর বিবাহিত জীবনের অভিজ্ঞতা। তিনি এখন ‘কবির সিং’ ছবির অপ্রত্যাশিতভাবে ব্লকবাস্টার হিট হওয়া উপভোগ করছেন। বললেন, একজন অভিনয়শিল্পী আর ইন্ডাস্ট্রির বাইরের একজন মানুষের দাম্পত্য জীবনের কথা। বলেছেন সেই সময়ের কথা। যখন ‘উড়তা পাঞ্জাব’ ছবিটি মুক্তি পায়। সেখানে শহীদ কাপুরের চরিত্রটি ছিল চরম মাদকাসক্ত এক তরুণ টমি সিংয়ের।

শহীদ কাপুর আর মীরা রাজপুত নাকি একসঙ্গে সোফায় বসে ছবিটি দেখেছেন। মাঝপথে মীরা একেবারে সোফার অন্য কোনায় গিয়ে বসেন। শহীদ কাপুরের ভাষায়, ‘আমার দিকে আড়চোখে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করে, “তুমি নিশ্চয়ই পর্দার ওই মানুষটা নও, তাই তো? আচ্ছা, তোমার ভেতরের কোথাও টমি সিং বেঁচে নেই তো? যদি থাকে তো এখনই বলে দাও। তাহলে আমি আর তোমার সঙ্গে নেই।”’

এই কথা শুনেই শহীদ বুঝেছেন, তিনি খুব ভালো অভিনয় করেছেন।